বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবসা মানে মানুষ মনে করে দোকান ভাড়া নিয়ে পণ্য বিক্রি করা। কিন্তু যুগের পরিবর্তনের ফলে ব্যবসা ঘরে বসেই করা সম্ভব। প্রযুক্তির বিকাশ, অনলাইন প্লাটফর্ম, সৃজনশীল ব্যবসার কারণে নতুন উদ্যোক্তারা সহজেই লাভবান হচ্ছে।
সূচিপত্রঃ বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
- বাংলাদেশের বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
- গ্রামীণ অঞ্চলে লাভজনক কিছু ব্যবসা
- শহরাঞ্চলের লাভজনক ব্যবসা
- ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসা
- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কিত (FAQ) প্রশ্নোত্তর
- শেষ মন্তব্যঃ বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা প্রায় অনেকগুলি লক্ষ্য করা যায়। তবে এমন একটি ব্যবসা করা উচিত যা শুধু বর্তমানে নয় ভবিষ্যতেও লাভজনক হবে। তবে এটা প্রত্যেক মানুষকে স্বীকার করতে হবে ব্যবসা করতে গেলে কিছু লস স্বীকার করলে লাভের পরিমাণ ভবিষ্যতে আরো বেশি হবে। যদি আপনি নিজের মেধা বুদ্ধি খাটিয়ে ব্যবসা করেন তাহলে লস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
বর্তমানে লাভজনক ব্যবসা অনেক রয়েছে। বুদ্ধি খাটিয়ে করলে লস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। চাকরি করলে যেমন বেতন নির্ধারিত থাকে। যেকোনো ধরনের ব্যবসা লাভজনক হতে পারে যদি আপনি যথেষ্ট পরিমাণ সময় এবং মেধা পরিশ্রম দিয়ে কাজ করেন। প্রত্যেকটা ব্যবসায় লাভজনক তবে ব্যবসার কৌশল জানা অত্যন্ত জরুরী।
আরো পড়ুনঃ পডকাস্ট থেকে অর্থ উপার্জন করার ৮ পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
চাকরির চাইতে ব্যবসাতে ইনকাম বেশি করা যায় কারণ এতে আনলিমিটেড ইনকামের সুযোগ রয়েছে। যারা বেকার আছেন চাকরি পাচ্ছেন না হতাশায় ভুগছেন তাদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলব যদি আপনাদের সামান্য পরিমাণ পুঁজি থাকে তাহলে অবশ্যই যেকোনো একটা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তবে ছোট হোক নিজের পয়সাই ব্যবসা শুরু করলে অন্যরকম সন্তুষ্টি রয়েছে।
যারা শহরে বাস করেন কিংবা গ্রামে বা পৃথিবীতে যে কোন জায়গাতেই থাকুন না কেন সব ক্ষেত্রেই অনেক লোভনীয় ব্যবসা বা ট্রেনিং ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনি করতে পারেন চলুন সে ধরনের কিছু লাভজনক ব্যবসার কথা তুলে ধরা যাক।
গ্রামীণ অঞ্চলে লাভজনক কিছু ব্যবসা।
গ্রামীণ অঞ্চলে লাভজনক অনেক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো করলে খুব সহজেই আপনি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবেন। ব্যবসা হচ্ছে এক ধরনের মুক্ত স্বাধীন পেশা এখানে কারো হস্তক্ষেপ থাকবে না। চলুন গ্রাম অঞ্চলে কোন কোন ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায় সেগুলো উল্লেখ করি।
হাঁস মুরগি পালন ব্যবসা
গ্রাম অঞ্চলে হাঁস, মুরগি, কবুতর পালন ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এ ধরনের ব্যবসা খুব ক্ষুদ্র পুজিতে শুরু করা যায়। অনেক বেকার শিক্ষিত ছেলে মেয়েরা এই হাঁস মুরগি পালন করে মাসে লাখ টাকার মত ইনকাম করছে। কারণ খুব সহজেই কম জায়গাতে হাঁস মুরগি পালন করা সম্ভব। যদি আপনি পাঁচটি হাঁস কিংবা পাঁচটি মুরগি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন পরবর্তীতে এর থেকে বৃদ্ধি হয়ে অনেক লাভবান হতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম জনপ্রিয় ১৭ টি অ্যাপস
ব্রয়লার মুরগি পালনে সবচাইতে বেশি লাভ মনে করি। কারণ বাজারে এ ধরনের মুরগির চাহিদা বেশি কারণ দাম কম জন্য মানুষের চাহিদা বেশি থাকে। অন্যান্য আরো মুরগি আছে যেগুলো দিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায় তবে বয়লার মুরগি লাভজনক। আর হাঁসের মধ্যে পাতে হাঁস বালি হাঁস বিভিন্ন ধরনের হাঁস পালন করা যায়। কবুতরের অনেক ধরনের কবুতর আছে যেগুলো নিয়ে আপনি ফার্মিং শুরু করতে পারেন।
গবাদি পশু বা গরু পালন
গরু পালন করে এখন অনেক লাভবান হচ্ছে গ্রাম অঞ্চলের লোকজন। গরু এক ধরনের গৃহপালিত পশু এবং পালন করা খুব সহজ। অনেকে দেখে গরু কিংবা অস্ট্রেলিয়ান গাভী পালন করে অনেক ইনকাম করতে পারছে। কারণ গরুতে দুই দিক থেকে লাভ হয় যদি আপনি গরু মাংসের জন্য কোন একটা উপলক্ষ যেমন ঈদ বিয়েতে বিক্রয় করতে পারেন তাহলে খুবই লাভবান হওয়া যায়। এছাড়া গরুর দুধ বিক্রি করে বাড়তি ইনকামের সুযোগ রয়েছে।
ধান, চাউলের ব্যবসা
গ্রামাঞ্চলে যেহেতু কৃষিকাজের জন্য উপযোগী তাই বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করা যায়। অনেকে ধানের সময় ধান অল্প দামে ক্রয় করে গুদামজাত করার পরে বেশি দামে বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। এভাবে আপনি পাঁচ মন ধান ক্রয় করে পরবর্তীতে দাম বাড়ার পরে বিক্রয় করলে ভালো এক ধরনের প্রফিট পাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে চাউলের ব্যবসা বাড়িতে বসে থেকে ৫০ কেজির দুইটি চাউলের বস্তা ক্রয় করে খুচরা হিসেবে বিক্রয় করতে পারেন।
লাভজনক কলার ব্যবসা
গ্রাম অঞ্চলে অল্প জায়গাতে কলার গাছ লাগিয়ে সেখান থেকে কলা উৎপাদন হওয়ার পরে আপনি বিক্রয় করতে পারেন। কারণ কলার গাছ চাষে কোন খরচ নাই। খরচ ছাড়াই আপনি কলার গাছ চাষ করা যায়। আর আপনি যদি একটি কলার গাছেও লাগান তাহলে সেখান থেকে হাজার হাজার কলার গাছ উৎপাদন হয়। কারণ এর শিকড় থেকে চারা উৎপাদন হয়। তাই অতিরিক্ত কলার গাছ লাগানোর প্রয়োজন হয় না।
তাছাড়া কলা সারা বছর মানুষ খাই। আর বিভিন্ন ধরনের কলার জাত আছে যেগুলো দাম সারা বছর একই রকম থাকে। যেমন সাগর কলা, সবরি কলা, মানিক কলা, চিনি কলা ইত্যাদি এ ধরনের কলার গাছ লাগিয়ে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে লাভবান হতে পারবেন। বিশেষ করে বর্ষাকালে যদি আপনি কলার গাছ লাগান তাহলে এর বৃদ্ধি দ্রুত হয়।
আরো পড়ুনঃ লুডু গেম খেলে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
পানির সংস্পর্শে খুব দ্রুত কলার চারা বড় হতে থাকে এবং ছোট ছোট আরো কলার গাছ উৎপাদন হয়। এছাড়া কলা পাইকারি বিক্রি করা যায় এবং খুচরা বিক্রি করা যায় এবং বাড়িতে বসে থেকেই আপনি এ ধরনের কাজগুলো খুব সহজেই করে ফেলতে পারবেন।
সরিষার তেলের লাভজনক ব্যবসা
সরিষার তেলের লাভজনক ব্যবসা করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। সরিষার তেলের ব্যবসা করলে দুইভাবে ইনকাম সম্ভব। যদি আপনি এক মন সরিষা ক্রয় করে সেগুলো ভাঙ্গিয়ে তেল বের করেন তাহলে তেল বিক্রি করে এবং সেইসাথে সরিষার খৈল বিক্রয় করতে পারে। কারণ বর্তমানে বাজারে সরিষার তেলের প্রচুর চাহিদা। মানুষ সয়াবিনের চাইতে সরিষার তেল খাঁটি এজন্য খেয়ে থাকেন।
আর সরিষার খৈল মানুষ পুকুরে কিংবা গরুকে খাওয়ার জন্য ক্রয় করে থাকেন। পুকুরে মাছের খাবারের খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার সরিষা ভাঙ্গানো খৈল। খুচরা এবং পাইকারি দুইভাবেই বিক্রয় করতে পারেন।
নকশি কাঁথা কিংবা বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প ব্যবসা
গ্রাম অঞ্চলের নকশি কাঁথা কিংবা বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্পের ব্যবসা খুবই জনপ্রিয়। কারণ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ নকশি কাঁথা এবং হাতের তৈরি বিভিন্ন হস্তশিল্প গুলো পছন্দ করেন। তাই এ ধরনের ব্যবসা করে খুব সহজেই নিজেকে স্বাবলম্বী করা যায়।
মধুর ব্যবসা
গ্রাম অঞ্চলে এখন বিভিন্ন জায়গায় মধুর ব্যবসা করে অনেক অল্প বয়সে ছেলেমেয়েরা লাভবান হচ্ছে। অর্গানিক মধু সকলের পছন্দ করে তাই আপনি চাইলে এ ধরনের ব্যবসা গুলো করতে পারেন। গ্রামে মৌমাছির চাষ করা খুবই সহজ যেহেতু গাছপালা বেশি তাই বিভিন্ন ধরনের মৌমাছি চাষ করে মধু উৎপাদন করে অনলাইনে কিংবা ঘরে বসেই বিক্রয় করতে পারেন।
শহরাঞ্চলের লাভজনক ব্যবসা
শহরাঞ্চলের লাভজনক ব্যবসা অনেক আছে তবে আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে ইচ্ছুক সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে। ব্যবসা করার আগে পুরো প্রস্তুতি নিয়ে এবং ভালোভাবে চিন্তা ভাবনা করে আরম্ভ করার চেষ্টা করুন। চলুন শহরের কি ধরনের ব্যবসা গুলো করা যায় কিছু আইডিয়া নেয়া যাক।
পার্লার অথবা সেলুন
শহরের মধ্যে পার্লার এবং সেলুনের জমজমাট ব্যবসা চলে। কারণসহ অঞ্চলের মানুষ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ই পার্লারে যেতে পছন্দ করেন তাদের ডিউটি কেয়ার করার জন্য। ছেলে মেয়ে ভাই এখন পার্লার যায় এবং তাদের ফেসিয়াল থেকে শুরু করে পেডিকিউর মেডিকিউর সকল কিছু এখন পার্লারে করে।
আরো পড়ুনঃ অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
বর্তমানে ছেলেরা এখন তাদের রূপচর্চা করার জন্য ছেলেদের পার্লারে গিয়ে থাকেন। এছাড়াও বিয়ে-শাদীতে ছেলেরা মেয়েদের পাশাপাশি পার্লারে সাজগোজ করেন। তাই এ ধরনের একটি বিজনেস বা পাল্লার যদি করতে পারেন তাহলে খুব সহজেই একজন সফল বিজনেসম্যান হয়ে উঠতে পারবেন। এ ধরনের ব্যবসা অনেক লাভজনক হয়।
রেস্টুরেন্টের ব্যবসা
শহরাঞ্চলে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যবসার মধ্যে হচ্ছে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা। প্রত্যেকটা মানুষ খাবার খেতে পছন্দ করে আর এজন্য একটু কিছু ইভেন্ট পেলেই তারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে থাকে বিভিন্ন ধরনের ফাস্টফুড থেকে শুরু করে স্পাইসি খাবার খাওয়ার জন্য। তাই আপনি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতে পারেন।
কসমেটিকসের ব্যবসা
কসমেটিকসের ব্যবসা করলে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। প্রায় সারা বছর কসমেটিকের চাহিদা থাকে। লোকাল কসমেটিক এবং বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের কসমেটিক বিক্রি করলে ভালো লাভ করা যায়। শপিংমলে রোডসাইড শপিং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মেও বিক্রি করা যায়। অল্প পুঁজিএবং কম বাজেটে করা যায়।
কফি শপ ব্যবসা
বর্তমানে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে কফি শপের ব্যবসা লাভজনক বলা যায়। শহরের লোকজন প্রায় কম বেশি সকলেই কফি খেতে পছন্দ করে যার ফলে কফি সবগুলোতে অনেক চাহিদা থাকে। কবে উৎপাদন খরচ কম কিন্তু লাভের পরিমাণ বেশি। কফের সাথে সামান্য কিছু ফাস্ট ফুড ওঠ আইটেম বিক্রি করলে লাভ করা যায়। কম পূঁজিতে ব্যবসা আরম্ভ করা যায়।
কাপড়ের ব্যবসা
বাংলাদেশে কাপড়ের লাভজনক ব্যবসা চলে। পোশাক প্রত্যেকটা মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে পড়ে। এছাড়া কাপড়ের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ সব শ্রেণীর মানুষ প্রায় কম বেশি কাপড় ক্রয় করে। ফেসবুক থেকে শুরু করে অনলাইনে সব ধরনের সব থেকে মানুষ কাপড় ক্রয় করে।এছাড়া নিজের ডিজাইন করা ব্র্যান্ড তৈরি করে কাস্টমাইজ করে পোশাক বিক্রি করতে পারেন। অনলাইনে কাপড়ের ব্যবসা এখন জমজমাট চলে।
ই কমার্স ও অনলাইন ব্যবসা
ই কমার্সে অনলাইন ব্যবসা বর্তমান ডিজিটাল যুগে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম পুজিতে ব্যবসা শুরু করা যায় এবং ২৪ ঘন্টা বিক্রয় সুবিধা, পাওয়ার ফলে উদ্যোক্তাদের জন্য দারুন একটি সুবর্ণ সুযোগ থাকে। বিশেষ করে যারা নতুন উদ্যোক্তা হতে চান তাদের জন্য এই কমার্স ব্যবসা খুবই ভালো একটি সিদ্ধান্ত মনে করি।
আরো পড়ুনঃ ডলার ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
কম খরচে দোকান ভাড়া বা স্টাফ সকলের ঝামেলা থাকে না বাড়িতে বসে থেকে করা যায়। এছাড়াও দেশসহ দেশের বাইরেও পণ্য পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। মার্কেটে দোকান করলে নির্দিষ্ট টাইমে সেটা বন্ধ করতে হয় এবং খুলতে হয়। কিন্তু অনলাইন শপিং কখনো বন্ধ করার প্রয়োজন হয় না। নিজ স্বাধীন মত করা যায়।
- কাপড় কাপড়ের ব্যবসা
- জুতার ব্যবসা
- ব্যাগ এর ব্যবসা
- ইলেকট্রনিক্স এর ব্যবসা
- ফুট ও অর্গানিক প্রোডাক্ট এর ব্যবসা
- ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি সার্ভিস এর ব্যবসা (ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, SEO)
- অনলাইন কোচিং ও কোর্স বিক্রি
- অনলাইন খাবার ডেলিভারি
- নিজের তৈরি যেকোনো পণ্য বিক্রি করা
- ড্রপ শিপিং ও এফিলেট মার্কেটিং
- Youtube চ্যানেলে কন্টেন্ট তৈরি
- পড কাস্টিং
- ফটোগ্রাফি ও ভিডিও বিক্রি
- সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সিং
- ব্লগিং ব্যবসা ইত্যাদি।
উপরোক্ত সকল লাভজনক ব্যবসার আইডিয়াগুলো নিয়ে যদি সঠিক পরিকল্পনা প্রোডাক্ট সার্ভিস ডিজিটাল মার্কেটিং ও কাস্টমার সাপোর্ট ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারেন তাহলে এটি হতে পারে একটি দীর্ঘমেয়াদী লাভজনক ব্যবসা। ওপরের যেকোনো একটি সেক্টর নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কিত (FAQ) প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি?
উত্তর: বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক লাভজনক ব্যবসা আছে তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুলো হল ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, কসমেটিক ব্যবসা, রিয়েল স্টেট, পোশাক ব্যবসা, মোবাইল ও ল্যাপটপ সার্ভিসিং সেন্টার, কফি শপ এবং অর্গানিক ফার্মিং।
প্রশ্ন: ব্যবসার জন্য কিভাবে বিনিয়োগ সংগ্রহ করব?
উত্তর: ব্যক্তিগত সঞ্চয় পারিবারিক ঋণ ব্যাংক লোন বা সরকারি অনুদান নিতে পারেন।
প্রশ্ন: নতুন ব্যবসার জন্য সরকারি কোন সহায়তা আছে কি?
উত্তর: SME লোন, যুব উন্নয়ন অনুদান এবং স্টার্টআপ ফান্ডিং পাওয়া যায়।
প্রশ্ন: অনলাইন ও অফলাইন ব্যবসার মধ্যে কোনটি বেশি লাভজনক?
উত্তর: উভয় লাভজনক, তবে অনলাইন খরচ কম আর অফলাইনে গ্রাহকের সাথে সরাসরি যোগাযোগের সুবিধা বেশি।
প্রশ্ন: ব্যবসার ব্যর্থতার প্রধান কারণ কি
উত্তর: ভুল পরিকল্পনা, দুর্বল মার্কেটিং, আর্থিক ব্যবস্থাপনার অভাব এবং প্রতিযোগিতা বোঝার অভাব।
প্রশ্ন: একটি ব্যবসা সফল হতে কত সময় লাগে?
উত্তর: একটি ব্যবসা সফল হতে কত সময় লাগবে এটি সম্পূর্ণটা নির্ভর করে আপনার নিজের উপর। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি খুব দ্রুত সফলতা অর্জন করতে পারবেন হতে পারে ৬ মাস আবার অনেক ক্ষেত্রে ১/২ বছর।
শেষ মন্তব্যঃ বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
বাংলাদেশে বর্তমানে অর্থনৈতিক অবস্থার দিকে দেখে এবং তাল মিলিয়ে যদি লাভজনক ব্যবসার কথা বলতে হয় তাহলে অনেক ধরনের লাভজনক ব্যবসা রয়েছে। উপরে অনেকগুলো ব্যবসার আইডিয়া দেওয়া হয়েছে যেগুলো শহর গ্রামে কিংবা বিভিন্নভাবে অনলাইনে করার সুযোগ রয়েছে। আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান তাহলে এখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
তাই আপনারা যারা বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা করছেন সঠিক পরিকল্পনা করে নির্দিষ্ট একটি টপিক্স বেছে নিতে পারেন। বাজার বিশ্লেষণ করে যদি আপনি বিনিয়োগ করেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করলে আপনার ব্যবসা সহজেই লাভজনক হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url