ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম


ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও প্রস্তুতকারকের উপর নির্ভরশীল। কোম্পানির ভিন্নতার কারণে এর দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেক উপকারী একটি উপাদান যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
ভিটামিন-ই-ক্যাপসুল-এর-দামভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেকে ব্যবহার করে থাকেন। এই ক্যাপসুল এর অনেক প্রয়োজনীয়তা দিয়েছে আজকের পোস্টে এই ক্যাপসুল এর দাম সহ বিভিন্ন কোম্পানির এই ক্যাপসুল এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম বিভিন্ন ফার্মেসি উৎপাদন পদ্ধতি এবং কোম্পানির উপর অনেকটা নির্ভরশীল। সাধারণত ৪০০ আই ইউ ডোজের এই ই ক্যাপসুল গুলো বেশি প্রচলিত। ই ক্যাপসুল গুলোর দাম বিভিন্ন কোম্পানি অনুযায়ী নিচে করে দেয়া হলো।

E-Cap 400 IU(drug international Ltd) 

প্রতি পিচ ৭ টাকা

E-Gel DS 400 IU(renata Ltd)

প্রতি পিস ৫.৫০-৬ টাকার

Evion 400 IU(Merck Ltd) 

১০ টি ক্যাপসুল প্রতি পাতা ৩০-৫০ টাকা

Vita-E 400 (ACI Ltd) 

প্রতি পিস ৭.৫০-৮ টাকা

Neurovit-E 400 (Eskayef pharmaceutical Ltd)

প্রতি পিস ৬-৭ টাকা

চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম

 চুলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহারের নিয়ম কম বেশি সকলেই জানে। চুলের সরাসরি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করা যায় এবং তেল অথবা মেহেদি পাতার সাথে মিশে চুলের ব্যবহার করা যায়। অলিভ অয়েল নারিকেল অথবা বিভিন্ন ধরনের মাথায় ব্যবহার করার তেলের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করা যায়। 

আরো পড়ুনঃ অ্যাসিড রিফ্লাক্স এর প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ২০টি কার্যকরী সমাধান

মেহেদি পাতা গুড়া, টক দই, ডিমের সাদা অংশ ও ২ টা ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মাথার চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে মাথার চুলে লাগিয়ে রেখে এক ঘন্টা পরে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। কিভাবে সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করলে চুল অনেক সিল্কি, নরম এবং উজ্জ্বল হয় এবং মাথার খুশকি কমে যায়।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহারের নিয়ম 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল মুখে ব্যবহার করা যায়। ভিটামিন ই ক্যাপশন দিয়ে মুখের দাগ সম্পন্ন দূর করা সম্ভব হয় না তবে ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। একটি ভিটামিন এই ক্যাপসুল নিয়ে এর ভেতর থেকে তেল বের করে মুখের ত্বকে পরিমাণ মতো লাগিয়ে দিতে পারেন যাদের ত্বক শুষ্ক তারা সারারাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। এছাড়া লাগানোর ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলে দিতে পারেন।
ভিটামিন-ই-ক্যাপসুল-এর-দামভিটামিন ই ক্যাপসুল দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে দাঁড়াতে পারেন। প্রথমত ফেসপ্যাক বানানোর জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল পরিমাণ মত মধু এবং পরিমাণ মতো টক দই একসাথে মিশিয়ে মুখে লেয়ার করে লাগিয়ে দিন। পনেরো বিশ মিনিট পর মুখ ভালো হবে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি খুবই উপকারী। 

আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের দাঁত ওঠার সময় করণীয় কি কি

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগাতে পারেন। কিভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে অর্থ সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে ২-৩ বার ব্যবহার করলে মুখের ব্রণ এবং কাল যে ভাব দূর হয়ে যায়। এটি কোন সময় সাপেক্ষ টানা দুই মাস ব্যবহার করতে হবে তাহলে ফলাফল বুঝতে পারবেন। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম যেত তুলনামূলক কম তাই মেকআপ এর আগে এটি ব্যবহার করতে পারেন। এক দুই ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে দিন। ১০ মিনিট পর মেকআপ করা শুরু করেন। তাহলে মেকআপ অনেক দীর্ঘস্থায়ী হবে।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায় 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে কি ফর্সা হওয়া যায় এ ধরনের চিন্তাভাবনা যদি কারো মাথায় আসে তাহলে আপনারা এটি খেয়ে দেখতে পারেন। কারণ বলার চাইতে সরাসরি প্রমাণ নেওয়াটা বেশি বুদ্ধিমানের কাজ। তবে বলতে গেলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেলে ফর্সা হওয়া যায় না। তবে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয়। 

যেমন ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়, ত্বকের বিভিন্ন ধরনের দাগ ছোপ, ত্বক পরিষ্কার করে। কারণ বাজারে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম যেহেতু কম প্রথমত এক দুইটা কিনে খেয়ে দেখতে পারেন। এক দুইটা খেলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তবে একবারের বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন না।

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখন ও কিভাবে খেতে হয় 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল কখনো কিভাবে খেতে হয় এ ব্যাপারে যদি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রাত্রে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ এটি খালি পেটে খাওয়া উচিত নয়। আপনি যদি ত্বক কিংবা চুলের জন্য খান তাহলে অবশ্যই রাতে খাবার পরে অথবা ঘুমানোর আগে খেতে পারেন। তবে দীর্ঘ দিন এই ক্যাপসুল খাওয়া উচিত নয়। 

আরো পড়ুনঃ জাফরান দুধ খাওয়ার নিয়ম ও দৈনন্দিন পুষ্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস

যদি ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন তাহলে সবচাইতে বেশি ভালো হয়। এছাড়া যদি ভিটামিন ই ক্যাপসুল নিয়মিত খান তাহলে এক মাসের বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ আপনি যে কারণে খাচ্ছেন তার সঠিক ফলাফল না পেলে দীর্ঘই খাওয়া উচিত নয়। একমাস খাওয়ার পর আপনি কিছুদিন বিরতি নিতে পারেন। 
ভিটামিন-ই-ক্যাপসুল-এর-দামরাতে ঘুমানোর আগে একটি ক্যাপসুল পানি দিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এছাড়া আপনি যদি শারীরিক দুর্বলতা চুল পড়া এবং ত্বকের জেলা ফেরানোর জন্য খেতে চান তাহলে দুই মাস খেতে পারেন। তবে একটার বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন না। যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি খাবেন সেহেতু একটাই যথেষ্ট। ছেলে মেয়ে উভয় এই ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সতর্কতা 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সতর্কতা অবশ্যই রয়েছে। কারণ আপনি প্রয়োজন ছাড়া এটি খেতে পারেন না। যদি আপনার শারীরিক কোন সমস্যা থাকে অথবা চুল ত্বকের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি এটি খেতে পারেন। এছাড়াও চুল ও ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন ই ক্যাপসুল খাওয়ার সতর্কতা হলো। 

  • যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা অতিরিক্ত খেলে এলার্জি বেড়ে যেতে পারে। 
  • অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেটের সমস্যা হতে পারে যেমন বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া, আমাশয় ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • যাদের হরমোন জনিত সমস্যা আছে এবং শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম অর্থাৎ ব্লাড পাতলা হওয়ার ওষুধ সেবন করেন তারা তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অতিরিক্ত খাওয়া উচিত নয়। 
  • এছাড়া ত্বকে ব্যবহার করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অতিরিক্ত ব্যবহার করা যাবে না একটার বেশি ব্যবহার করলে যাদের ত্বক পাতলা তাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি কিংবা ব্রণ বের হতে পারে। 
  • ত্বকে যদি আগে থেকেই অতিরিক্ত ব্রণ থাকে তাহলে এটি ব্যবহার করবেন না।
  • অতিরিক্ত চুলে ব্যবহারের ফলে চুল তেলতেলে হয়ে যায়। চুল শ্যাম্পু করার সময় পরিষ্কার করা অসম্ভব হয়ে যায়।
  • অনেকের মাথার ত্বকে সমস্যা থাকতে পারে তাই এটি ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন এবং ব্যবহার করা বন্ধ করবেন। 

শেষ কথাঃ ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম 

অবশেষে বলা যেতে পারে ভিটামিন এই ক্যাপসুল এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান যা চুল ত্বক এবং শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান দেয়। এছাড়াও ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর দাম তুলনামূলক কম তবে অনেক ভালো দামের ও আছে তাই যারা এটি ব্যবহার করতে চান প্রথমত দুই একটা কিনে ব্যবহার করতে পারেন। 

ভিটামিন ই ক্যাপসুল আরো কিছু প্রাকৃতিক উৎস আছে যেগুলো থেকে ভিটামিন এ পাওয়া যায় সেগুলো হল বাদাম, সূর্যমুখী বীজ, অলিভ অয়েল, ডিম, সবুজ শাকসবজি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url