চুলের যত্নে সিডারউড তেল

চুলের যত্নে সিডারউড তেল ব্যবহারের উপায় জানা থাকলে খুব সহজেই চুলের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। চুলের যত্ন নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন না করে সিডারউড তেল ব্যবহারের ফলে চুল পড়া বন্ধ, চুলের খুশকি ইত্যাদি আরো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। 
চুলের-যত্নে-সিডারউড-তেলঅনেকেই আছে যারা সিডারউড তেল সম্পর্কে ধারণা নেই। তাই আজকে আপনাদের সিডারউড তেলের বিভিন্ন ব্যবহার এবং এটি কিভাবে ব্যবহার করে চুলের যত্ন নেওয়া যায় এ নিয়ে এ পোস্টে আলোচনা করব। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে সিডারউড তেল 

চুলের যত্নের সিডারউড তেল

চুলের যত্নে সিডারউড তেল চুলের বৃদ্ধি, চুল পড়া বন্ধ, চুল শুষ্কতা থেকে রক্ষা, চুল লম্বা, চুলের খুশকি দূর করতে সাহায্য করে। সিডার উড তেল এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল যা সিডার পাতা, কাঠ এবং শিকড় থেকে উৎপাদন করা হয়। এই তেলে এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে। সিডার উড তেল চুলে ব্যবহারের জন্য এর সাথে অন্যান্য কয়েকটি তেল যুক্ত করতে পারেন ফলে এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে। 

চুলের যত্নে সিডারউড তেল এক ধরনের আয়ুর্বেদিক তেল হিসেবেও অনেকে ব্যবহার করে থাকে। তবে এই তেল অন্য কোন তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করলে সবচাইতে চুলের জন্য কার্যকরী হবে। যে সকল তেলের সাথে ব্যবহার করলে এটি কার্যকর হবে সেগুলো হল নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল, জোজোবা এবং ক্যাস্টর অয়েল ইত্যাদি।

চুলের বৃদ্ধিতে সিডারউড তেলের ভূমিকা 

চুলের বৃদ্ধিতে সিডারউড তেলের ভূমিকা জানতে চান তাহলে আপনি এই পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন তাহলে আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। চুলের যত্নে সিডারউড তেল ব্যবহার করলে চুল বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। চুলে সিডারউড তেল চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পরিবহনের সহযোগিতা করে এবং নতুন চুল গজায়।  

নারিকেল তেল ও সিডারউড তেলের মিশ্রণ

পরিমাণ মতো নারিকেল তেল এবং এর সাথে ৪/৫ ফোঁটা শিরা রোড তেল যুক্ত করে চুলের গোড়ায় এবং সম্পূর্ণ চুলে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে দিতে পারেন। একদিন লাগিয়ে রাখলে ভালো হয়। এছাড়া এ তেল লাগানোর পর এক থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে দুই বার ব্যবহার করতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ  তিসির তেলের ব্যবহার ২৩ উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত

অ্যালোভেরা ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল এর সঙ্গে

অ্যালোভেরা জেল এর সাথে এই তেল ব্যবহার করা যায়। ২ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল নিয়ে তিন চার ফোটা সিডারউড এবং ২ চা চামচ ভিটামিন ই ওয়েল যুক্ত করে মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে মাসাজ করে লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪০ মিনিট পরে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে দিয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন। 

চুল পড়া কমাতে সিডারউড তেলের কার্যকরী ব্যবহার 

চুল পড়া কমাতে সিডারউড তেলের কার্যকরী ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হলে আপনাদের এই পোস্টটি পড়তে হবে। হেয়ার ফল বা চুল পড়া নিয়ে বেশিরভাগ লোকজন চিন্তা করে থাকেন। তাই এ ধরনের চিন্তা থেকে সমাধান পেতে সিডারউড তেল ব্যবহার করতে পারেন। এই তেল ব্যবহারের ফলে মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। 

ক্যাস্টর অয়েল ও নারিকেল তেলের সঙ্গে

এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল, দুই চা চামচ ক্যাস্টর অয়েল ও তিন চার ফোটা সিডারউড তেল একসাথে যুক্ত করে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে পারেন মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে দেওয়ার পরে ৪০ থেকে ১ ঘন্টা পরে ভালোভাবে ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে পারেন। এভাবে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যাবে।

রোজমেরি ও পেপার মিন্ট তেলের সঙ্গে 

চুলের-যত্নে-সিডারউড-তেল
এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, দুই তিন ফোঁটা পিপারমিন্ট, দুই-তিন ফোটা রোজ মেরি, দুই-তিন ফোটা সিডারউড একসাথে সকল উপাদান মিশিয়ে মাথার ত্বক সহ চুলে ভালোভাবে মেসেজ করে লাগিয়ে দিতে হবে। লাগানোর এক ঘন্টা পরে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে চুল দিয়ে ফেলুন। এভাবে ১-২ বার লাগাতে পারেন। এভাবে লাগালে চুল পড়া নিয়ে টেনশন মুক্ত হবেন। 

খুশকি দূর করতে সিডারউড তেলের ব্যবহার 

খুশকি দূর করতে সিডারউড তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। মাথার ত্বকের কোষগুলো মরে গিয়ে এবং ছত্রাক সংক্রমণের ফলে খুশকি হয়। আর এ খুশকির কারণে চুল পড়ে যায়। সিডারউড তেল এন্টিফাঙ্গাল এসেনশিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন তেল। তাই এই তেল ব্যবহারের ফলে খুশকি দ্রুত নির্মূল করা যায়।

ট্রি  ট্রি এসেনশিয়াল তেল তিন ফোঁটা, চার ফোটা সিডারউড তেল, নারিকেল তেল পরিমান মত নিয়ে একসাথে মিশিয়ে চুলে মেসেজ করে লাগিয়ে দিন। এক ঘন্টা পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে চুল খুশকি মুক্ত হবে। 

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারের ১০ উপায়

১ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল। দুই চা চামচ লেবুর রস, চার ফোটা সিডারউড তেল একসাথে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। ৪০-৫০ মিনিট পর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে দিয়ে বলুন। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করলে খুশকি দূর হয়ে যাবে।

এক টেবিল চামচ এলোভেরা জেল, আধা কাপ পানিতে এক চা চামচ চা পাতা ফুটিয়ে নিতে হবে এবং চা ফোটানোর সময় এতে দুইটা লং দিতে হবে, এক কাপ মেহেদি পাতা বাটা, এক চা চামচ লেবুর রস একসাথে যুক্ত করে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সম্পূর্ণ চুলে এবং চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। এক থেকে দেড় ঘন্টা পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করা যেতে পারে। 

চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে 

চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধি করতে কে না পছন্দ করে। চুলের সৌন্দর্য নিয়ে সকলে কম বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন। চুলের উজ্জলতা বৃদ্ধির জন্য অনেক কিছুই ব্যবহার করে থাকেন। তাই চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য নতুন আরেকটি পদ্ধতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। 

৪-৫ ফোটা সিডারউড তেল, এভোকেডোর তেল অথবা নারিকেল তেল আপনার চুলের পরিমান মত একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। চুলের গোড়া থেকে আগ পর্যন্ত এই চুল ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। নারিকেল তেল এবং ৪০ মিনিট রাখার পর চুল ভালোভাবে সব করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। 

রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ চুলের সমস্যা সমাধানে 

রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ চুলের সমস্যা সমাধান করার জন্য সিডারউড খুবই কার্যকরী একটি উপাদান। বিভিন্ন ধুলাবালি এবং কেমিক্যাল যুক্ত পণ্য চুলের ব্যবহারের ফলে চুল রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে চুলকে রক্ষা করতে সিডারউড ব্যবহার করা যেতে পারে।

এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল হালকা গরম, ৩ ফোঁটা সিডার উড তেল, চার পাঁচ ফোঁটা মধু একসাথে মিশে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। চুলের ব্যবহারের ৪০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে একদিন ব্যবহার করলে চুল অনেক  সিল্কি ও নরম হয়।

একটা এভোকাডো হালকা থেঁতো করে নিয়ে বা ভালোভাবে গুড়া করে এর সাথে অলিভ অয়েল ও সিডারউড তেল যুক্ত করে মাথার ত্বকে লাগিয়ে দিতে পারেন। লাগানোর ৪০ ৫০ মিনিট পরে চুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন শ্যাম্পু দিয়ে। এভাবে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে চুল অনেক পুষ্টি পাবে এবং রুক্ষতা থেকে রক্ষা পাবে।

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কালোকেশীর ব্যবহার কেশরাজ পাতার উপকারিতা

সিডার উড তেল চার ফোটা, আর গান অয়েল এক টেবিল চামচ, ক্যাস্টর অয়েল চার ফোঁটা একসাথে তিনটি উপাদান মিশিয়ে চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। ৪০ মিনিট পর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে ফেলুন। এভাবে ব্যবহার করলে চুল অনেক মসৃণ এবং স্বাস্থ্যকর হবে।

মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সিডারউড তেল 

মাথার ত্বকের সস্তা উন্নত করতে সিডারউড তেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চুল সুন্দর ঘন এবং মসৃণ করার জন্য মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করা একান্তই কাম্য। মাথার ত্বক সুস্থ না থাকলে চুল ঝরে যায়, খুশকি হয় এবং অনেক ধরনের চুলের সমস্যা দেখা দেয়। চুলের যত্নে সিডারউড তেল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে। 
চুলের-যত্নে-সিডারউড-তেলসিডার উড তেল স্কাল্প পরিষ্কার করতে এবং ব্যাকটেরিয়া ও ফাংগাল সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। মাথার রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত নতুন চুল গজাতে সহযোগিতা করে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব কমায়। সিডার উড তেল অন্যান্য যেকোনো তেলের সাথে মিশিয়ে মাথার ত্বকে এবং সম্পূর্ণ চুলে ব্যবহার করলে স্কালপের রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে।

সিডারউড তেল দিয়ে ঘরে তৈরি হেয়ার মাক্স 

সিডার উড তেল দিয়ে ঘরে তৈরি হেয়ার মাক্স বানানো খুবই সহজ। একটি ডিম কতবার ডিমের সাদা অংশ, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, চার ফোটা সিডার উড তেল একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। ৪০ থেকে ৫০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে পানি দিয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে চুল তাড়াতাড়ি বড় হবে।

আরো পড়ুনঃ লেবু দিয়ে খুশকি দূর করার ঘরোয়া ৮ উপায় সম্পর্কে জানুন

এক টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, হাফ চামচ আপেল সিডার ভিনেগার, ৪ ফোটা সিডার উড তেল, ২ চা চামচ গোলাপ জল একসাথে সকল উপাদান নিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর চুলে ভালোভাবে উপাদানটি লাগিয়ে নিতে হবে এবং আধাঘন্টা পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এভাবে সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে চুলে জমে থাকা অতিরিক্ত ময়লা খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে। 

সিডারউড তেল ব্যবহারের সর্তকতা 

সিডারউড তেল ব্যবহারের সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যে কারণে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন যদি সতর্কতা না জানেন তাহলে ভালোর চাইতে ক্ষতি হতে পারে। এই তেল ব্যবহারের আগে মাথার নিচে অর্থাৎ ঘাড়ের উপরে সামান্য তেল লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। যদি চুলকানি অথবা জ্বালাপোড়া হয় তাহলে এতে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। 

আরো পড়ুনঃ তিলের তেলের ১০ উপকারিতা পুষ্টিগুণ ব্যবহার সতর্কতা

সিডার উড তেল সরাসরি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। অন্য কোন তেলের সাথে মিশিয়ে এটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা বা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করা উচিত। অতিরিক্ত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত নয়। সপ্তাহে এক দুই বার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। সর্বোচ্চ ৫ ফোটার বেশি এটেল ব্যবহার করা উচিত হবে না। 

 চুলের যত্নে সিডারউড তেল ব্যবহারের পরে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। কারণ কোন কারনে হাত চোখে মুখে গেলে সমস্যা হতে পারে। তবে এই তেল ব্যবহারের পরে সূর্যের তাপে যাওয়া উচিত নয়। দিনের চাইতে এদের রাতে ব্যবহার করলে ভালো। তবে রাতে ব্যবহারের সময় মাথার ত্বকে লাগাবেন না। শুধু চুলে ম্যাসাজ করবেন। আর দিনে ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে এবং চুলে উভয় ব্যবহার করতে পারেন।

শেষ বক্তব্যঃ চুলের যত্নে সিডারউড তেল

উপরোক্ত আলোচনা থেকে আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন সিডার উট তেল কেন চুলের জন্য উপযোগী। এই তেলের অনেক গুনাগুন রয়েছে যেগুলো হয়তো আমাদের জানার বাইরে। চুল দ্রুত লম্বা এবং খুশকি মুক্ত করতে আপনারা সিডারউড তেল ব্যবহার করে নিজে প্রমাণ অর্জন করতে পারেন। প্রমাণ ছাড়া কেউ বিশ্বাস করতে পারবে না। সন্দেহ যদি থাকে তাহলে অবশ্যই নিজে ব্যবহার করে যথাযথ ফলাফল গ্রহণ করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url