ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার ও ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায়
ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ কফি দিয়ে ত্বকের যত্ন নেয়া বা রূপচর্চা করা যায় ঘরোয়া ভাবে। কফিতে যেহেতু এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে এবং কফি একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা দিয়ে ত্বক সুন্দর এবং মসৃণ করা যায়।
সূচিপত্রঃ ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার
- ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার
- কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
- কফি দিয়ে রূপচর্চা
- তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার
- কপি ও মুলতানি মাটি ত্বকে ব্যবহার
- কফি ও বেসনের ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহার
- কফির ফেসপ্যাক এর উপকারিতা
- শেষ কথাঃ ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার
ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার
ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার অনেক ভাবে করা যায়। এক এক জনের ত্বকে ভিন্ন ভিন্ন সমস্যা হতে পারে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের উপকারের জন্য ত্বকে কফি ব্যবহার করা যায়। চলুন কিভাবে ত্বকে কফি ব্যবহার করে ত্বক উজ্জ্বল এবং বিভিন্ন সমস্যার জন্য সমাধান পাওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা যাক।
কফির যে সকল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানা গুলো থাকে সেগুলো ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বকের মৃত যে কোষগুলো সেগুলো নির্মূল করতে দ্রুত সাহায্য করে থাকে।
- প্রথমে এক টেবিল চামচ কফি।
- এক টেবিল চামচ নারকেল তেল।
- আপনার পছন্দমত অর্থাৎ পরিমাণ মতো সামান্য মধু।
- একসাথে তিনটি উপাদান মিশিয়ে ভালোভাবে নেড়ে একটি স্ক্রাব তৈরি করে নিন।
- এরপর এই স্ক্রাবটি মুখে ভালোভাবে লেয়ার করে লাগিয়ে দিন। এছাড়াও আপনি যদি চান হাতে, শরীরে, পায়ে লাগাতে পারেন।
- এরপরে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর হালকা কুসুম গরম পানি দ্বারা মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এরপর আপনি নিজেই ফলাফল বুঝতে পারবেন।
ত্বকের ডার্ক সার্কেল দূর করতে কফির ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যেহেতু কফিতে ক্যাফেইন রয়েছে আর ক্যাফেইন রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে থাকে ত্বকের বিভিন্ন ফুলে থাকা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া অনেকের চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকে যা ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে।
আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত
চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকার কারণ হচ্ছে খুব বেশি রাত জাগার ফলে অথবা পরিশ্রম করার ফলে চোখের নিচে কালো হয়ে যায় এই চোখের নিচে কালো হয়ে যাওয়াটাই ডার্ক সার্কেল নামে পরিচিত। এই ডার্ক সার্কেল কমাতে চাইলে অবশ্যই কফি ব্যবহার করতে পারেন চলুন কিভাবে কফির ব্যবহার করে ডার্ক সার্কেল কমানো যায় আলোচনা করা যাক।
- কফি দানা অথবা কফি পাউডার এবং টক দই একসাথে যুক্ত করে এক ধরনের পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
- পেস্ট বানানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন কোন দানাদার হয়ে না থাকে।
- তারপর এই পেস্টটি ভালোভাবে চোখের নিচে আঙ্গুল অথবা ফেশ ব্রাশ দিয়ে ভালোভাবে আলতো করে লাগিয়ে রাখতে হবে।
- ১০-১৫ মিনিট পর ভালো হয় পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- প্রতিনিয়ত এভাবে ব্যবহার ফলে চোখের ডার্ক সার্কেল অনেক কমে যাবে।
কফি দিয়ে খুব সহজেই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাক্স তৈরি করে ত্বকে যত্ন নিতে পারবেন। অনেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নিয়ে থাকে তবে কফি দিয়ে ত্বকের যত্ন নেয়া যায় এ ব্যাপারে অনেকেই জানে না তাই আজকে কফি দিয়ে কিভাবে মাস্ক তৈরি করা যায় চলুন আলোচনা করি। এ মাক্স ত্বকে লাগালে ত্বক মসৃণ এবং টানটান করতে সাহায্য করবে।
- প্রথমত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মাস্ক তৈরি করার জন্য কফি নিতে হবে।
- এর সাথে কাঁচা দুধ যুক্ত করতে হবে।
- আরো একটি উপাদান কোকো পাউডার যুক্ত করতে হবে।
- এই তিনটি উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিক্সড করে নিতে হবে।
- তারপর আপনি এটি আপনার ত্বকে অর্থাৎ মুখে ভালোভাবে লেয়ার করে লাগিয়ে দিতে পারেন।
- যখন এই ফেস মার্কস টি শুকিয়ে যাবে তখন এটি পানি দিয়ে ভালো হবে ধুয়ে নেবেন।
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
কফি দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি? এ ধরনের অনেকেই প্রশ্ন থাকে তাই না? আসলে ফর্সা হওয়া এটা আমাদের হাতে নয়। হ্যাঁ, তবে একটু উজ্জ্বল করতে তক্তা সুন্দর এবং চকচকে দেখাতে চাইলে আমরা কিছু উপকরণ ব্যবহার করতে পারি । তার মধ্যে কফি একটি অন্যতম। কারণ চেহারা বা গায়ের রং এটা আল্লাহ প্রদত্ত। চাইলেই একটা কালো মানুষকে ফর্সা বানানো যায় না।
অনেক কারণে ফর্সা ত্বক কালো হয়ে যায় অথবা স্পট পড়ে যায় এটি নির্ভর করে আমাদের পরিশ্রম এবং ধুলাবালি ত্বকে পড়ার ফলে। তাই কফি ব্যবহার করে ত্বক উজ্জ্বল করার কিছু ঘরোয়া উপায় নিয়ে আজকে আপনাদের সামনে উপস্থিত করার চেষ্টা করছি। প্রথমে কি কি উপাদান কফির সাথে যুক্ত করে ত্বকের যত্ন নেয় যায়।
কফি দিয়ে স্ক্রাব তৈরি
- কফি অথবা কফির গুড়া দুই টেবিল চামচ।
- মধু নিতে পারেন এক টেবিল চামচ।
- নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল দিতে পারেন এক টেবিল চামচ।
- এই তিনটি উপাদান একসাথে যুক্ত করে ভালোভাবে একটি স্ক্রাব বানিয়ে নিতে পারেন।
- বানানো হয়ে গেলে এই স্ক্রাবটি মুখের ত্বকে আলতো করে মেসেজ করে লাগিয়ে দিন।
- ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর মুখ হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
- এই ব্যক্তি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল এবং ত্বকের বিভিন্ন মৃত কোষগুলো দ্রুত কমাতে সাহায্য করবে।
কফি দিয়ে ফেস মাস্ক
কফি দিয়ে ফেস মাস্ক তৈরি করে খুব সহজে আপনি ঘরে বসেই ত্বকের যত্ন নিতে পারবেন। এই ফেস মাস্ক তৈরি করে আপনার ত্বকে এপ্লাই করলে আপনার ত্বকের কোষগুলো খুব দ্রুত পুনরায় জীবিত করতে সাহায্য করবে। যেহেতু কফিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হয়েছে তাই এটি দ্রুত কার্যকর ভাবে কাজ করে।
- ২-৩ চা চামচ কফি গুড়া।
- ২-৩ চা চামচ দই অথবা টক দই ।
- লেবুর রস ১ চা চামচ
- এই তিনটি উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন।
- তারপরে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে রাখুন।
- ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
কফি ও অ্যালোভেরা
কফি ও এলোভেরা দিয়েও ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। কফি যদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ তাই এটি ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কালচে দাগ এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সহযোগিতা করে। তবে কবে সাথে এলোভেরা যুক্ত করে ঘর ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায় চলুন কিভাবে সেটি আলোচনা করা যাবে।
আরো পড়ুনঃ কলার খোসা দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করা যায়
- ২ চা চামচ কপি গুড়ো
- ২ চা চামচ এলোভেরা জেল
- ২-৩ ফোটা নারিকেল তেল
- এই তিনটি উপকরণ একসাথে ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে আলতো ভাবে লাগিয়ে রাখুন।
- ১৫ মিনিট পরে ত্বক পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
- নিয়মিত এভাবে ব্যবহার বলে ত্বকে পোড়া কালচে দাগ অনেক কমে যাবে।
কফি দিয়ে রূপচর্চা
কফি দিয়ে রূপচর্চা করা নতুন কিছু নয়। অনেকেই এখন চেহারা এবং রূপচর্চা অনেকটাই সচেতন। তাই অনেকেই হয়তো জানেন কফি দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করা যায়। অনেকেই আবার জানেন না যে কফি দিয়ে কি আদৌ রূপচর্চা করা যায়? চলুন কফি দিয়ে কিভাবে ফেসপ্যাক বানিয়ে রূপচর্চা করা যায় সে নিয়ে আলোচনা করি।
কফি খাওয়ার পর অনেক সময় আমরা কফি দানা গুলো ফেলে দেই। সেই কফি দানা গুলো ফেলে না দিয়ে আপনি আপনার চোখের নিচে ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ কফি খাওয়ার পর কফি দানা গুলো যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন সেগুলো আলতো করে চোখের নিচে লাগিয়ে দিবেন এরপর ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
- এছাড়াও কফি দানা ১ টেবিল চামচ।
- ১ চা চামচ মধু।
- ভিটামিন ই তেল অথবা ই ক্যাপসুল কয়েক ফোঁটা।
- এই তিনটি প্রধান ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে দিতে হবে।
- এর পরে চোখের চারপাশে ভালোভাবে ঘুষে নিতে হবে।
- ১০ মিনিট রাখার পরে পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন।
- এটি ব্যবহারে বলে চোখের নিচে কালো দাগ বিভিন্ন ধরনের দাগ কমে যাবে।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার খুবই কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে। কারণ কফিতে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাফেইন থাকার ফলে এটি ত্বকের তৈলাক্ততা শোষণ করে নেয়। ফলের ত্বকে অনেক মসৃণ এবং সতেজ করতে সাহায্য করে। ত্বকে এবং নাকের উপর বিভিন্ন ব্ল্যাক হেডস দূর করতে কফি ব্যবহার করা হয়। কফি ব্যবহার করে কিভাবে তৈলাক্ত ত্বক সুরক্ষিত রাখা যায় আলোচনা করা যাক।
আরো পড়ুনঃ কলার খোসার ব্যবহার ১০ টি কার্যকরী ব্যবহার
- কপি গুড়া এক টেবিল চামচ।
- ২ চা চামচ চিনি।
- ১ চা চামচ লেবুর রস।
- উপরোক্ত উপকরণ তিনটি একসাথে নিয়ে ভালোভাবে একটি স্ক্রাব তৈরি করে নিতে হবে।
- স্ক্রাব তৈরি হয়ে গেলে এটি মুখে ভালো হবে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে দিতে হবে।
- ৭-৮ মিনিট পরে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ফেস ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
- এটি ব্যবহারের ফলে তৈলাক্ত ত্বক এবং ব্রণ, বিভিন্ন ধরনের ব্ল্যাকহেডস সকল কিছু কমে যাবে।
কফি ও মুলতানি মাটি ত্বকে ব্যবহার
কফি ও মুলতানি মাটি ত্বকে ব্যবহার করে উজ্জ্বল সুন্দর করা যায়। অনেকেই শুধু মুলতানি মাটি মুখে ব্যবহার করে থাকেন। তবে এর সাথে যে কফি যুক্ত করে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করা যায় এটি অনেকে জানেন না। কিভাবে কফির সাথে মুলতানি মাটি ব্যবহার করে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায় আলোচনা করি।
- ২-৩ চামচ কফি গুড়া নিতে হবে।
- ২-৩ চামচ মুলতানি মাটি।
- গোলাপজল ১ চা চামচ।
- এ সকল উপাদান একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
- পেস্ট টি ভালো করে আপনার পুরা ফেসে ত্বকে লাগিয়ে দেবেন।
- যখন মুখে শুকিয়ে যাবে অর্থাৎ ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
- এটি ব্যবহার ফলে তখন অনেক উজ্জ্বল এবং মসৃণ এবং শুষ্কতা থেকে রক্ষা পাবে।
কফি ও বেসনের ফেসপ্যাক ত্বকে ব্যবহার
কফি ও বেসনের ফেসপ্যাক \ত্বকে ব্যবহার করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায়। তবে এই উপকরণ ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল, তেলমুক্ত এবং ব্রণের দাগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। চলুন কিভাবে কফি ও বেসনের ফেসপ্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করা যায় সেটি উল্লেখ করা যাক।
- কফি গুড়া এক টেবিল চামচ।
- ২ থেকে দেড় টেবিল চামচ বেসন।
- টক দই ১ টেবিল চামচ।
- আপনার ইচ্ছামত কয়েক ফটো গোলাপজল।
- ভালো একটা পরিষ্কার পাত্রে কফিগুড়া ও বেসন ভালো ভাবে মিশিয়ে নেবেন।
- এরপর দই অথবা টক দই অথবা লেবুর রস যুক্ত করবেন না।
- মিশ্রণটি যখন পাতলা হয়ে যাবে তখন এর সাথে গোলাপজল যুক্ত করবেন।
- প্যাক তৈরি হয়ে গেলে মিশ্রণটি ভালোভাবে মুখের ত্বকে এবং গলায় চাইলে হাত-পা ও ব্যবহার করতে পারেন ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন।
- যখন একটি শুকিয়ে যাবে তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন।
- নিয়মিত ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক অনেকটা স্বাস্থ্যজ্জ্বল এবং সুন্দর দেখাবে।
কফির ফেসপ্যাক এর উপকারিতা
কফির ফেসপ্যাক এর উপকারিতা অবশ্যই রয়েছে। কফিতে ক্যাফেইন, পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে এছাড়াও রয়েছে আন্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের বিভিন্ন কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের রূপচর্চা করা যায়। চলুন কফির ফেসপ্যাক এর উপকারিতা গুলো কি কি সেগুলো দেখে নেয়া যাক।
- ত্বকের বিভিন্ন মৃত কোষ গুলো দূর করতে সাহায্য করে ত্বক উজ্জ্বল করে।
- ত্বকে ব্যবহারে ফলে ত্বক সুরক্ষিত করে এবং সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
- ব্রণ এবং অন্যান্য দাগ হালকা বা কমাতে সাহায্য করে।
- কফিতে ক্যাফেইন থাকার ফলে এটি রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়িয়ে দেয়।
- এছাড়া ও চোখের নিচে ফোলা ভাব এবং ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে।
- কফির ফেসপ্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বকের বয়সের ছাপ, টক টান টান করতে সাহায্য করে।
- এছাড়াও ত্বকে কফির ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা দুর করতে সাহায্য করে।
শেষ কথাঃ ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার
ত্বকের যত্নে কফির ব্যবহার বলে শেষ করা যাবে না। কারণ বর্তমানে কফি দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে ফেসপ্যাক অথবা স্ক্রাব তৈরি করে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। উপরোক্ত আলোচনায় যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে কফি দিয়ে ত্বকের যত্ন নেয়া যায় সকল বিষয়ে আলোচনা করা হলো। যারা কপি দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে চান তারা উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো মেনে চলতে পারেন।
পরিশেষে বলা যায় কফি ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকরী একটি উপাদান, যা খুব সহজে ত্বকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়। তবে শুধু টক ত্বক নয় শরীরের বিভিন্ন অংশে কফি দিয়ে যত্ন নেওয়া যায়। তবে অবশ্যই এর ব্যবহার বিধি জেনে আপনি এটি ত্বকে অথবা শরীরে ব্যবহার করতে পারেন। আজকে কফি দিয়ে ত্বকের যত্ন পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url