তিলের তেলের ১০ উপকারিতা পুষ্টিগুণ ব্যবহার সতর্কতা





তিলের তেলের উপকারিতা পুষ্টিগুণ ও ব্যবহার সম্পর্কে জানা দরকার। কারণ এ তেলের অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি। খাওয়া থেকে শুরু করে ত্বকে, চুলে বিভিন্ন ধরনের কাজে এ তেল ব্যবহার করা যায়।
তিলের-তেলের-উপকারিতাতবে আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না তিলের তেলের কি উপকারিতা রয়েছে। এবং এ তেল কোথা থেকে সংগ্রহ করা যায় এবং কিভাবে ব্যবহার করা যায় এ সম্পর্কে আজকের পোস্টে আপনাদের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। 

সূচিপত্রঃ তিলের তেলের উপকারিতা পুষ্টিগুণ ব্যবহার 

তিলের তেলের উপকারিতা 

তিলের তেলের উপকারিতা অনেক। কারণ উপকারিতা না থাকলে এই তেল কখনো ব্যবহার হতো না। তাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে এই তেলের দ্বারা কি কি উপকার হয়ে থাকে। চলুন তিলের তেলের উপকারিতা গুলো আলোচনা করা যাক।

মুখ ও দাঁতের যত্নেঃ মুখ ও দাঁতের যত্নে তিলের তেল ব্যবহার করা হয়। এটি মুখের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে সাহায্য করে থাকে। 

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেঃ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে তীরের তেল। এ তেলের এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আন্টি ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকার ফলে রক্তচাপ কমায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেঃ বিভিন্ন গবেষণা দেখা গেছে তিলের তেল ব্যবহার করার ফলে ডায়াবেটিস অনেক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। অর্থাৎ এই তেল ব্যবহারের ফলে রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ থাকে। 

ডিটক্সিফিকেশনঃ তিলের তেল বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বেশি ব্যবহার করা হয় এটি শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে এবং মুখের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। 

হাড়ের জন্য উপকারঃ তিলের তেল বিশেষ করে হারের জন্য খুবই উপকার। কারণ এই তেলের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং জিংক সহ আরো অন্যান্য উপাদান যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। 

চুলের যত্নেঃ তিলের তেল চুলের যত্নে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারণ এদের ব্যবহার ফলে চুলের গোড়া শক্ত হয়, চুল দ্রুত লম্বা, খুশকি কমে যায় এবং চুল পড়া বন্ধ করে।

আরো পড়ুনঃ শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত

ত্বকের যত্নেঃ তিলের তেল ব্যবহারের ফলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল এবং সুন্দর মসৃণ দেখায়। তিলের তেল ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যরশী থেকে রক্ষা করে থাকে। ত্বকের বিভিন্ন ধরনের ছাপ, বলি রাখা, বয়সের ছাপ সাহায্য করে।

উন্নত হজম শক্তি বৃদ্ধিতেঃ তিলের তেল খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা সমাধানের সহায়তা করে এছাড়াও অন্ত্রের বিভিন্ন ধরনের কার্যকারিতা সক্ষম হয়েছে।

প্রদাহ নাশক হিসেবেঃ তিলের তেল ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের ব্যথা বা উপশম কমাতে সাহায্য করে। আর্থাইটিস এবং প্রদাহ জনিত বিভিন্ন ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই তিলের তেল।

হৃদযন্ত্রের যত্নঃ তিলের তেল হৃদয় যন্ত্রের অনেক উপকার করে থাকে। অর্থাৎ এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 

তিলের তেলে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে

তিলের তেল বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। তিলের তেলে পুষ্টিপাদন গুলো আমরা জানলে সকলেই তিলের তেল ব্যবহার সম্পর্কে অনেক আগ্রহী হয়ে যাব। এত পুষ্টিগুণ রয়েছে যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রে বাড়িয়ে দেয়। চলুন তাইলে কি কি পুষ্টি উপাদান রয়েছে নিজে আলোচনা করা যাক।

তিলের-তেলের-উপকারিতা

  • ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড 
  • ওমেগা ৯ ফ্যাটি এসিড
  • ভিটামিন কে 
  • ভিটামিন ই 
  • ক্যালসিয়াম 
  • ম্যাগনেসিয়াম 
  • ফসফরাস 

তিলের তেলের বৈশিষ্ট্য সমূহ

তিলের তেলের বৈশিষ্ট্য অনেক। ব্যবহার করলে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পেয়ে থাকবো। সাধারণত তিলে যে সকল বৈশিষ্ট্য গুলো রয়েছে সেগুলো নিচে দেয়া হল। 

  • প্রদাহ নাশক হিসেবে কাজ করে 
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ 
  • হৃদয় যন্ত্রের জন্য উপকারী 
  • প্রাকৃতিক সানস্ক্রিম হিসেবে 
  • হজম শক্তি উন্নত করার ক্ষেত্রে 
  • ত্বক ও চুলের যত্নে 
  • মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি 
  • হাড় মজবুত ও হাড়ের ক্ষয় রোধ করে 
  • ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস প্রতিরোধে 
  • ওজন নিয়ন্ত্রণে  
  • উন্নত ঘুমে 
  • মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে 
  • ত্বক উজ্জ্বল করতে
  • দীর্ঘস্থায়ী সংরক্ষণশীল

তিলের তেল শরীরে দিলে কি হয় 

তিলের তেল শরীরে দিলে কি হয় এ সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের পোস্টটি যত্ন সহকারে পড়তে হবে। তিলের তেল শরীরে ব্যবহার করলে অনেক উপকার লক্ষ্য করা যায়। 

তিলের তেল শরীরে মালিশ করলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা উপশম কমে যায়। বিশেষ করে বয়স হয়ে গেলে হাড়ের এবং জয়েন্টে ব্যাথা হলে সে জায়গাতে তিলে তেল মালিশ করা যায়। মালিশ করার ফলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয় এবং শরীরে স্বস্তি অনুভব হয়। যাদের শরীর অনেক জ্বালাপোড়া করে তারা তিলের তেল শরীরে মালিশ করতে পারেন জ্বালাপোড়া অনেক ক্ষেত্রে কমে যাবে।

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারের ১০ উপায়

তিলের তেল আয়ুর্বেদিক হিসেবে কাজ করে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকে চিকিৎসকরা। যারা নিদ্রাহীনতায় ভোগেন তারা এতিরা তেল শরীরে মালিশ করতে পারেন এবং তুলে দিতে পারেন। কারণ এটি মালয়েশিয়ার ফলে মানসিক চাপ অত্যন্ত কমে যায় এবং শরীর আরাম উপভোগ করে এবং ঘুম ভালো হয়।

বাচ্চাদের তিলের তেল খাওয়া যাবে কি 

বাচ্চাদের তিলের তেল খাওয়া যাবে কি না এটা নিয়ে অনেকের দ্বিধা দ্বন্দ রয়েছে। অবশ্যই বলা যেতে পারে বাচ্চাদের তিলের খাওয়ানো যাবে তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত এবং এর ব্যবহার সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। শিশুর মানসিক বিকাশে অনেকটাই তেলের তেল সহযোগিতা করে। 

তিলের তেলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই এবং ক্যালসিয়াম শিশুর হাড় গঠনে সহায়তা করে। তিলের তেল বাচ্চাদের খাবারের উপর কয়েক ফোঁটা দিয়ে খাওয়ালে এদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার সমাধান করে। এতে থাকা ফ্যাটি এসিড শিশুদের মানসিক বিকাশের সহায়তা করে।

আরো পড়ুনঃ সোনা পাতা কি ওজন কমায় সোনা পাতার কার্যকারিতা

শিশুদের খাওয়ার পাশাপাশি ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বক আদ্রতা থেকে রক্ষা পায়। তিলের তেল উচ্চ ক্যালোরি থাকার ফলে শিশুদের শক্তি জোগাতে সহযোগিতা করে। তিলে তিলে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটি শিশুদের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। দৈনিক শিশুদের এক থেকে দুই চা চামচ খাওয়ালে যথেষ্ট।

তিলের তেল কিভাবে ব্যবহার করা যায় 

তিলের তেল কিভাবে ব্যবহার করা যায় এরকম প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। তবে যারা এ সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আজকের পোস্টে তিলের তেল ব্যবহার পদ্ধতির সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। কারণ অনেকেই তিলের তেলের সাথে পরিচিত নন। তাই চলুন কিভাবে তেলের তেল ব্যবহার করা যায় নিচে আলোচনা করা যাক। 

রান্না করার কাজে ব্যবহার 

  • রান্না করার কাজের ব্যবহার করলে এটি খাবারের স্বাদ  বৃদ্ধি করে।
  • এটি বিভিন্ন ধরনের সালাদ এ ব্যবহার করা যেতে পারে।
  •  অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবেনা। হালকা ভাজা বা ফ্রাইয়ের জন্য তিলে তেল ব্যবহার করা যায়।
  • মাছ, মাংস গ্রিল করার জন্য এই তিলের তেল প্রলেপ দিয়ে রান্না করতে পারেন। 
  • খাবার রান্না করার পর এক থেকে দুই চা চামচ খাবারের উপরে দিয়ে দিতে পারেন। 

ত্বকের যত্নে ব্যবহার 

  • তিলের তেল ত্বকের যত্নে খুবই উপকারী। তিলের মুখে মাখলে এটি মুখের শুষ্কতা কমিয়ে দেয়।
  • প্রতিদিন গোসলের আগে হালকা গরম করে তিলের তেল শরীরে মারিস করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। 
  • তিলের তেল ত্বকে ব্যবহার করলে সূর্যের uv রশি ত্বকে সুরক্ষিত করে।
  • ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফোলা এবং ফুসকুড়ি ছোট সংক্রমণ গুলো দূর করতে এই তেল ব্যবহার করা যায়।

চুলের যত্নে ব্যবহার

তিলের-তেলের-উপকারিতা

  • চুলের যত্নে তীরে তেল ব্যবহার করা যায়। চুলের যত্নে ব্যবহার করলে চুল অনেক সুন্দর মসৃণ এবং চুল পড়া থেকে শক্ত হয।
  •  চুলে দেওয়ার আগে হালকা গরম করে নিতে হবে তারপরে চুলের গোড়ায় মালিশ করে দিতে হবে।
  •  এই তেল ব্যবহারের ফলে খুশকি দূর করে।
  • এ তেল ব্যবহারের ফলে চুল কালো হয়। 

জয়েন্টে এবং পেশি ব্যথায় ব্যবহার 

  • হাত পায়ের বিভিন্ন জয়েন্টে জয়েন্টে এ তেল মালিশ করলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। 
  • হালকা গরম করে এই তেল শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে জয়েন্টে মালিশ করতে পারেন। 
  • এটি মালিশ করলে হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। 

তিলের তেল ব্যবহারের সর্তকতা 

তিলের তেল ব্যবহারে সর্তকতা অবশ্যই আছে। এর উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি এর অপকারিতা ও হয়েছে। এর ক্ষতিকারক দিকগুলো আলোচনা করা হলো। চলুন আমরা নিচে তিলের তেলের ব্যবহারের সর্তকতা গুলো দেখে নেই। 

আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কালোকেশীর ব্যবহার কেশরাজ পাতার উপকারিতা

  • যারা এলার্জিজনিত সমস্যায় ভুগেন তারা এই তিলের তেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেনা কারণ এটি ব্যবহারে ফলে অনেক ক্ষেত্রে বা চুলকাতে পারে এবং ফুসকুড়ি বের হতে পারে। 
  • অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে তাই এটি পরিমাণে বেশি খাওয়ার থেকে বিরত থাকবেন। 
  • যারা বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ জনিত সমস্যায় জীবন যাপনে করে থাকেন তারা এই তেল সাবধানতা অর্জন করে খাবেন। এটি ভিটামিন কে থাকার ফলে অনেক ক্ষেত্রে রক্ত জামাট বাঁধতে পারে।
  • তিলের তেল অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা পেট খারাপ সম্ভাবনা থাকতে পারে তাই পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত।
  • যাদের হজম প্রক্রিয়া ভালো না তারা এটি কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন কারণ এটি পরিপাকতন্ত্রে বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। 
  • অতিরিক্ত তাপে এই তেল দিয়ে রান্না করা উচিত নয় কারণ এর কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়। 
  • গর্ভবতী মহিলারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এই তেল গ্রহণ করতে পারেন। 
  • বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও এদের ব্যবহার করা যায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সুপরামর্শ নিতে পারেন। 
  • হে তেলের ব্যবহার বিধি জেনে তারপরে এই তেল ব্যবহার করা আরম্ভ করতে পারেন। 

তিলের তেল তৈরি পদ্ধতি 

তিলের তেল তৈরি পদ্ধতি জানলে আপনি বাড়িতে বসেই খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন। যদিও বর্তমানে বাজারে এখন তিলের তেল ক্রয় করতে পাওয়া যায়। বিভিন্নভাবে তীরের তেল তৈরি করে বাজার করছে সেখান থেকে উপকরণ তৈরি পদ্ধতি দেখে ভালো দেখে তিলের তেল সংগ্রহ করতে পারেন। চলুন কিভাবে তিলের তৈরি করা যায় আলোচনা করা যাক। 

  • প্রথমে দুই কাপ মত তিল বা এর চাইতে বেশিও নিতে পারেন আপনি যতটুকু সংরক্ষণ করে রাখতে চান ততটুকু নিতে পারেন।
  • প্রথমত তিল গুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নেবেন যেন এর ভিতরে কোন ময়লা মাটি না থাকে। 
  • এরপর তিল গুলো থেকে পানি ভালোভাবে জড়িয়ে নিয়ে অথবা শুকিয়ে নিতে পারেন। শুকানো হয়ে গেলে চুলাই হালকা আছে দিনগুলো ভেজে নেবেন তবে খেয়াল রাখবেন যেন তীর গুলো পুড়ে না যায় পুড়ে গেলে এরশাদ এবং গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
  •  তিল গুলো সিল পাঠাতে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। ব্লেন্ড করার সময় এর সাথে সামান্য পানি যুক্ত করবেন।
  • তারপর পেস্ট বানা হলে তিলের পেস্ট গুলো কড়াইতে চুলার উপর হালকা আঁচে রেখে নাড়তে থাকবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তিল থেকে তেল না বের হচ্ছে ততক্ষণ। 
  • পেস্টগুলো আছে যখন শুকিয়ে যাবে এবং তেল আলাদা হয়ে যাবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নেবেন। নামানোর পর তেল যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন শুকনা কাপড়ে অথবা ছাকনি দিয়ে ভালোভাবে ছেঁকে নিবেন। 
  • এরপর তেল গুলো আপনি কোন একটা ভালো কাঁচের কৌটাতে অথবা বোতলে সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারেন।

শেষ কথা তিলের তেলের উপকারিতা 

তিলের তেলের উপকারিতা অবlশ্যই রয়েছে তবে এর আগে আমাদের তিলের তেল খাওয়া ভালো কিনা এর ব্যবহারবিধি সম্পূর্ণ জেনে এটি আমাদের গ্রহণ করা উচিত। যারা এখন পর্যন্ত তিলের তেলের উপকারিতা এবং ব্যবহার সম্পর্কে সঠিকভাবে জানেন না তারা আজকে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন। 

তিলের তেল সম্পর্কে আজকে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেছি যদি এই পোস্টটা আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টে জানাবেন আর এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url