কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম ও জাদুকরি সমাধান

কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। তুলসী পাতা এক ধরনের ভেষজ ঔষধ হিসেবে কাজ করে। বর্তমান যুগে এর ব্যবহার অনেক কম হলেও আগের বয়স্ক লোকজন এ প্রাকৃতিক গাছ দিয়েই কিন্তু ঠান্ডা, সর্দি, কাশির ঔষধ বানিয়ে সেবন করতেন।
কাশির-জন্য-তুলসী-পাতা-খাওয়াতুলসী পাতায় এমন কিছু যাদু জাদুকরি উপকারিতা আছে যা আপনারা এটি না খেলে বুঝতে পারবেন না। ঠান্ডা, সর্দি, কাশি এ সকলের ওষুধ হিসেবে তুলসী পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধি গাছ। তুলসী পাতা দিয়ে কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে কাশির ঔষধ বানিয়ে খাওয়া যায় আলোচনা করা যাক।

সুচিপত্রঃ কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

তুলসী পাতা কিভাবে খায়? যারা এ বিষয়ে জানেন না তারা আজকের এই পোষ্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ আমরা প্রায়ই ঠান্ডা, সর্দি, কাশিতে ভুগে থাকি। এবং এর জন্য অনেকেই আমরা দোকান থেকে মেডিসিন ক্রয় করে খেয়ে থাকি। অনেক টাকা খরচ করি কিন্তু আমাদের কোন কাজে আসে না। তাই আজকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে তুলসী পাতা খেলে কাশি নির্মূল করা যায় সেই নিয়ে আলোচনা করি।

শুকনা তুলসী পাতা 

১-২ মুঠো তুলসী পাতা গাছ থেকে তুলে সেগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। তুলসী পাতাগুলো শুকিয়ে যাওয়ার পর এগুলো গুড়া করে শুকনা কাচের বোতলে সংরক্ষণ করতে পারেন। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর হালকা কুসুম গরম পানিতে আধা চামচ তুলসীপাতার গুড়া এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন এতে কাশি অনেকটাই কমে যাবে। 

এলাচি ও তুলসী পাতা 

বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে তুলসী পাতায় কিছু অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে। যেমন ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের সমস্যা, অ্যাজমা ইত্যাদির জন্য খুবই উপকারী। ৬-৭ টা তুলসী পাতা ও ১-২ এলাচি দিয়ে এক গ্লাস পানি ভালোভাবে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খেলে এ সকল রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

তুলসী পাতার রস 

পরিষ্কার দেখে কিছু তুলসী পাতা গাছ থেকে সংগ্রহ করুন এবং সেগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর পাতাগুলো ভালোভাবে পিষে নিয়ে রস বের করুন। এ রস খেলে শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ তিলের তেলের ১০ উপকারিতা পুষ্টিগুণ ব্যবহার সতর্কতা

তুলসী পাতার চা 

তুলসী পাতার চা পান করেও নির্মূল করা যায় কাশি। এক কাপ পানিতে ৫-৬ টি তুলসী পাতা, কিছু আদাকুচি দিয়ে ভালোভাবে ফুটান। পানি যখন ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফোটানো হবে। এরপর পানি গুলো  ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করুন। হালকা গরম থাকা অবস্থায় এটি পান করতে পারেন। তবে পান করার আগে সাথে সামান্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। 

এছাড়া ৫-৭ তুলসী পাতা, এক কাপ পানি দিয়ে ভালোভাবে চুলাতে ফুটাতে হবে। এর সাথে সামান্য একটু চায়ের পাতি দিয়ে ফুটাতে পারেন। যখন একটি কালার চলে আসবে তখন পানি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করবেন। হালকা কুসুম গরম থাকার সময় এ পানি পান করতে পারেন এভাবে নিয়মিত খেলে কাশি ভালো হয়ে যাবে।

তুলসী পাতা পানি 

এক কাপ পানি এবং কয়েকটি তুলসী পাতা ভালোভাবে ফুটিয়ে পানি ঠান্ডা করে পান করতে পারেন। এভাবে কাশি অনেকটাই কমে যাবে। সকালে খালি পেটে তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। তবে চিবিয়ে রস খাওয়ার পরে মুখ ভালো হবে কুলকুচি করে নেবেন। যেন দাঁতের ফাঁকে পাতাগুলো লেগে না থাকে। এর পাতা দাঁতে লেগে থাকলে কাভেটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

বাচ্চার কাশি নির্মূল করতে তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম 

বাচ্চার কাশি নির্মল করতে তুলসী পাতা একটি জাদুকরি উপায়। কারণ তুলসী পাতা দিয়ে অতি সহজেই একটা বাচ্চার খুসখুসে কাশি দূর করা যায় এ সম্পর্ক আমরা অনেকে জানিনা। তুলসী পাতা বাচ্চাকে খাইয়ে কাশি দূর করা যায়।

 তুলসী পাতা পিষে এর সাথে মধু যুক্ত করে বাচ্চাকে খাওয়ালে বাচ্চার কাশি অনেকটাই কমে যাবে। 

এছাড়া ৫-৬ টি তুলসী পাতা বেটে এর সাথে সামান্য আদা এবং জোয়ান মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এইভাবে উপকার মিলবে।

তুলসী পাতা শুকিয়ে গুড়ো করে নিতে হবে। এরপর সেই গুঁড়ো করা তুলসী পাতার সাথে সামান্য ঘি মিশিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। ভাতের সাথে অথবা রুটির সাথেও খাওয়াতে পারেন। এভাবে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারলে অনেকটাই উপকারে আসবে। বাচ্চার বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ সজিনা পাতার পাউডার খাওয়ার নিয়ম

গুড় ও তুলসী পাতা বাচ্চাকে খাওয়াতে পারলে সর্দি কাশি এ ধরনের সমস্যাগুলো দূর হয়ে যাবে। শীতকালে বেশিরভাগ বাচ্চারায় সর্দি কাশিতে ভুগে থাকে। তখন এই তুলসী পাতার রস করে খাওয়াতে পারেন বাচ্চা শারীরিকভাবে সুস্থতা মিলবে।

শুকনো কাশির জন্য কিভাবে তুলসী খাওয়া যায় 

শুকনো কাশির জন্য কিভাবে তুলসী খাওয়া যায় অনেকেই জানেন না। শুকনো কাশি শরীরের জন্য খুবই খারাপ। কারণ এই কাশি হলে গলা খুসখুস করে যা শরীরে অশান্তি বাড়ায়। তাই শুকনো কাশি দূর করার জন্য কিভাবে তুলসী পাতা খাওয়া যায় চলুন আলোচনা করি। 

তুলসী পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন। এটি খাওয়ার ফলে শুকনা কাশি অনেকটাই কমে যাবে। এবং শরীরে একটু হলেও প্রশান্তি পাবেন। কারণ শুকনা কাশি হলে গলা শুকিয়ে যায় এছাড়াও গলা অনেক ক্ষেত্রে চুলকায় তখন অশান্তি অনুভব হয়। এই সকল সমস্যা দূর করতে তুলসী পাতার রস এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। 

আরো অন্যান্য পদ্ধতিতে খাওয়া যায় যেমন ৫-৬ টি তুলসী পাতা এবং ২-৩ টি গোলমরিচ ও এক কাপ পানি নিয়ে ভালোভাবে চুলায় ফুটিয়ে নিন। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে এসেই পানি দিনে দুই থেকে তিনবার পান করুন এভাবে খেলে শুকনা কাশি চিরতরে কমে যাবে এবং গলায় শান্তি অনুভব করবেন। 

তুলসী পাতার ভেষজ সিরাপ খাওয়ার নিয়ম 

তুলসী পাতার বেসন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম অবশ্যই রয়েছে। যদি এই সিরাপ খাওয়ার নিয়ম না জানেন তাহলে আপনি কাশি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন না। কাশি খুবই খারাপ একটি জিনিস। কারণ যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে তাদের খুব দ্রুত ঠান্ডা এবং কাশি লেগে যায়। তাই যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তারা তুলসী পাতার সিরাপ করে খেতে পারেন। 
কাশির-জন্য-তুলসী-পাতা-খাওয়া৬-৭ টি তুলসী পাতা, ১ চামচ আদা বাটা, ১-২ চামচ মধু একসাথে তিনটি উপাদান যুক্ত করে প্রতিদিন ১-২ বার খেতে পারেন। এভাবে খেলে চিরতরে কাশি নির্মূল হয়ে যাবে। কাশির জন্য আপনারা বাইরে থেকে যে সকল সিরাপ খেয়ে থাকেন তার চেয়ে এটা বেশি কার্যকরী হবে। এছাড়াও এটি ভেষজ এক ধরনের প্রাকৃতিক উপায় তৈরি যা গলার খুসখুসে কাশি দূর করতে সাহায্য করে।

কাদের তুলসী খাওয়া উচিত নয় 

তুলসী কাশির জন্য উপকারী হলেও অনেকের এই তুলসী খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সবার জন্য এই সকল ভেষজ উদ্ভিদ কার্যকরী নাও হতে পারে। কাদের তুলসী খাওয়া যাবে এবং তাদের যাবে না এ বিষয়ে বিস্তারিত ভালোভাবে জেনে তারপরে খাওয়া শুরু করবেন।

ডায়াবেটিসের রোগী 

যারা ডায়াবেটিকস রোগে আক্রান্ত তাদের তুলসী খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকেই মনে করেন তুলসী খেলে ডায়াবেটিসের কোন সমস্যা হয় না। এটি ভুল ধারণা। যারা ডায়াবেটিসের এবং সুগারের ওষুধ খান এবং এর সাথে তুলসী পাতাও খেয়ে থাকেন ফলে তাদের রক্তে শর্করা অনেক ক্ষেত্রে কমে যেতে পারে এবং শরীরের জন্য মোটেও ভালো হবে না।

গর্ভবতী মহিলারা 

গর্ভবতী মহিলাদের ও তুলসী খাওয়া উচিত নয়। কারণ গর্ভাবস্থায় অনেক ভেষজ উদ্ভিদ বা ওষুধ আছে যেগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এর মধ্যে তুলসী একটি। কারণ তুলসী খেলে অনেক ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঝুঁকি থাকে। যদিও তুলসী খাওয়ার নিরাপদ কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত খেলে গর্ভাবস্থায় সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

আরো পড়ুনঃ সোনা পাতা কি ওজন কমায় সোনা পাতার কার্যকারিতা

রক্ত পাতলা হওয়ার ঔষধ গ্রহণকারী 

এমন অনেকে আছেন যারা রক্ত পাতলা করার ঔষধ সেবন করে থাকেন। তাদের জন্য তুলসী ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যারা রক্ত পাতলা করার জন্য ঔষধ সেবন করেন তারা তুলসী খেলে অনেক ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধতে প্রতিরোধ করে। তাই তাদের জন্য তুলসী খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বলা যায়। 

হরমোন জনিত সমস্যা 

যারা হরমোন জনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তারা তুলসী খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে জেনে নেবেন। যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তুলসি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। কারণ কারণ এ ধরনের সমস্যা থাকলে তুলসি খাওয়ার ফলে সেটি আরো বেড়ে যেতে পারে। 

খালি পেটে তুলসি খাওয়ার উপকারিতা 

খালি পেটে তুলসী খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। তুলসী পাতা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এবং এর উপকারী রয়েছে অনেক। শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা এই তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়। খালি পেটে কিভাবে তুলসী পাতা খাওয়া যায় এ সম্পর্কে অনেকে জানলেও আবার অনেকেরই অজানা। খালি পেটে তুলসী খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি জানা যাক। 

  • বর্ষাকালে তুলসী পাতা খেলে বেশি উপকার হয়। কারণ বর্ষাকালে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বিভিন্ন ধরনের সিজনাল জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি নিরাময়ে তুলসী পাতা খুবই উপকারী।
  •  আয়ুর্বেদিক হিসেবে তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয় যা সর্দি এবং কাশি দূর করতে সাহায্য করে।
  • শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা শ্লেস্মা নিরাময়ে তুলসী খুবই কার্যকরী।
  • ঠান্ডা জনিত সমস্যাই গলা ব্যথা করলে তুলসীর রস খেলে সেটি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 
  • কিডনিতে পাথর রোগীদের তুলসী পাতার রস খেলে মূত্রনালীর সাথে সে পাথর অপসারণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য দীর্ঘ সময় প্রায় ৫-৬ মাসের মতো খেতে হবে।

হলুদ ও তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম 

হলুদ ও তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আমরা অসুস্থ হলে কেবল ওষুধের উপরই নির্ভরশীল হয়ে যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক উপায়ও কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করেও যে অসুস্থতা সারানো যায় সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। হলুদ ও তুলসী পাতা খাওয়ার ফলে কি ধরনের সমস্যা থেকে আমরা সমাধান পায় চলুন দেখে নেয়া যাক। 
কাশির-জন্য-তুলসী-পাতা-খাওয়াহলুদ ও তুলসী পাতা একসঙ্গে খেলে মৃত্যু ছাড়া বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এটি খাওয়ার ফলে দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন সমস্যায় গলা ব্যথায় এই তুলসী পাতার রস খেলে ব্যথার উপশম হবে এবং রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। হলুদ ও তুলসী পাতার রস তৈরি পদ্ধতি।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন টক দই খাওয়ার বিস্ময়কর উপকারিতা ও সতর্কতা

প্রথমে একটি পাত্রে একগ্লাস পরিমান পানি নিতে হবে। এ পানিতে তুলসী পাতা ৮-১০ টি, মধু দুই টেবিল চামচ, লবঙ্গ তিন চারটি,ছোট দারুচিনির টুকরা ১ টি নিয়ে পানি ভালোভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটান। পানি ফোটানোর পরে ভালো হয়েছে কে নিতে হবে। হালকা কুসুম গরম থাকা অবস্থায় সে পানি পান করতে হবে। চলে এর সাথে ১-২ চা চামচ মধু যুক্ত করতে পারেন।

কাশির জন্য কোন তুলসী ভালো 

কাশির নিরাময়ে তুলসীর ব্যবহার অতি প্রাচীন কাল থেকেই কার্যকর। তবে অনেকেই আমরা জানি না তুলসির বিভিন্ন জাত রয়েছে। কোন কোন ধরনের তুলসী পাতা খেলে কাশি নিরাময় করা যায় চলুন দেখে নেয়া যাক। কাশির জন্য দুই ধরনের তুলসী বেশি ভালো।

  1. কৃষ্ণ তুলসী 
  2. শ্রী তুলসী 

তুলসির পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্ড অক্সিডেন্ট এবং এন্টিফ্লামেটরি উপাদান থাকার ফলে এটি কাশি দ্রুত নির্মূল করতে সাহায্য করে। এবং শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধানে সাহায্য করে থাকে। কৃষ্ণ তুলসী খাওয়ার ফলে বাচ্চাদের সর্দি, কাশি, জ্বর এবং বড়দের হাটের স্বাস্থ্য এবং ডায়াবেটিকস রোগীদের জন্য ভালো। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না অতিরিক্ত খেলে সমস্যা হতে পারে।

কৃষ্ণ তুলসী আদা, এবং মধু একসাথে রস পান করলে এটি সকল ধরনের ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে সমাধান দিয়ে থাকে। শীতকালে ঠান্ডা জমিতে বিভিন্ন সমস্যা থেকে সমাধান পেতে তুলসী জল পান করতে পারেন ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পাবে এছাড়াও তুলসীকে প্রাকৃতিক ভেষজ ঔষধ বলা হয়।

শেষ কথাঃ কাশির জন্য তুলসী পাতা খাওয়ার নিয়ম

পরিশেষে বলা যায় কাশির জন্য তুলসী পাতার কোন বিকল্প নাই। শুকনা কাশি অথবা খুসখুসে কাশি আমাদের শরীর এবং মন দুটোই খিটখিটে করে এবং অশান্তিতে ভুগে থাকি। তাই যাদের বর্ষাকালে অথবা শীতকালে বিভিন্ন মৌসুমে সর্দি, কাশি, জ্বরের অথবা ঠান্ডা জ্বরের সমস্যা ভোগেন তারা নিয়মিত এই তুলসী পাতার জাদুকরী পানীয় পান করে সমাধান পেতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url