ক্রোয়েশিয়া ভিসার দাম কত ও কোন কাজের চাহিদা বেশি

ক্রোয়েশিয়া ভিসার দাম বিভিন্ন এজেন্সি অন্যান্য আরো সকল কার্যক্রমের উপর নির্ভর করে। ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভিসা রয়েছে তাই এর দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ক্রোয়েশিয়া আবেদন ফি আনুমানিক ৮০ ইউরো বাংলাদেশী ৯০০০ টাকা।
ক্রোয়েশিয়া-ভিসার-দাম-কততবে বাংলাদেশ থেকে ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য ভিসার দাম অনেকের অজানা। এছাড়া ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে। ভিসা অনুযায়ী নির্ধারণ হয় ভিসার দাম। ক্রোয়েশিয়া ভিসার দাম জানতে চাইলে আজকের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন। 

সূচিপত্রঃ ক্রোয়েশিয়া ভিসার দাম কত 

ক্রোয়েশিয়া ভিসা দাম কত 

ক্রোয়েশিয়া ভিসা দাম অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। ক্রোয়েশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্যভুক্ত একটি দেশ। এছাড়া ক্রোয়েশিয়া এখন শেনজেনভুক্ত একটি দেশ। কারণ ২০২৩ সালে ক্রোয়েশিয়া শেনজেন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শেনজেন ভুক্ত দেশে ভিসার দাম বেশি। বর্তমানে ক্রোয়েশিয়ায় বিভিন্ন কাজের জন্য লোক নিয়োগ করা হচ্ছে। 

তবে ক্রোয়েশিয়া ভিসার দাম প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মতো। তবে যারা ক্রোয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক তাদের অবশ্যই কিছু দক্ষতা অর্জন করে যেতে হবে। কারণ শেনজেনভুক্ত এলাকায় কাজের সর্বনিম্ন বেতন ধার্য করা আছে। তবে যারা দক্ষতা অর্জন করে যাবে তাদের জন্য কিছুটা ভিসা ফি কম হবে। দক্ষতা অর্জন করে গেলে খুব দ্রুত আপনার কাজের জন্য আপনি অনুমোদন পাবেন।

আরো পড়ুনঃ লিথুনিয়া যেতে কত টাকা লাগে

তবে ভিসা ফি অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে এজেন্সি বা দালালদের উপরে। আপনি যদি ভালো কোন দালাল বা এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চান তাহলে তাদের যে মূল্য তালিকা সেটাই তারা ধার্য করেন। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা ভিসার যে দাম তার চাইতে তুলনামূলক বেশি টাকা নিয়ে থাকে। তাই যে সকল কোম্পানি বা দালালের মাধ্যমে যাবেন পূর্বে তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই করে নেবেন।

ক্রোয়েশিয়া ভিসা ক্যাটাগরি

বিভিন্ন ধরনের ভিসায় ক্রোয়েশিয়া যাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ মানুষ ক্রোয়েশিয়া যাই ওয়ার্কার হিসেবে। চলুন ওয়ার্কার ছাড়াও ক্রোয়েশিয়ার কোন কোন ভিসায় যাওয়া যায় সেই সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা যায়। ক্রোয়েশিয়া ভিসার ক্যাটাগরি গুলো উল্লেখ করা হলো।

  • ওয়ার্কার ভিসা 
  • স্টুডেন্ট ভিসা 
  • ভিজিট ভিসা 
  • বিজনেস ভিসা 
  • ট্রানজিট ভিসা 
  • ফ্যামিলির রিইউনিয়ন ভিসা 
  • মেডিকেল ভিসা 
  • রেসিডেন্ট ভিসা 
  • বৈজ্ঞানিক কাজের ভিসা বা গবেষণা ভিসা 

ক্রোয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে 

ক্রোয়েশিয়া যেতে তুলনামূলক অন্যান্য দেশের চাইতে টাকা বেশি লাগে। যেহেতু ক্রোয়েশিয়া সেনজেনভুক্ত একটি দেশ সেহেতু এ দেশের ভিসার জন্য টাকা বেশি লাগে। এরপরও ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার যে খরচ সেটি নির্ভর করবে আপনি কার মাধ্যমে যাচ্ছেন। যদি ভালো এজেন্সির মাধ্যমে যান তাহলে যে পরিমাণ টাকা লাগার কথা সে পরিমাণে লাগবে। 
ক্রোয়েশিয়া-ভিসার-দাম-কতকিন্তু অনেক ফ্রড কোম্পানি আছে টাকা নিয়ে কাজ করে না। সে সকল ডট কোম্পানি থেকে সাবধানতা অর্জন করবেন। তবে অবশ্যই যে এজেন্সির মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তাদের ব্যাপারে আগে রিভিউ এবং ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপরে যোগাযোগ করবেন। ক্রোয়েশিয়া যেতে কত টাকা লাগে এটি নির্ভর করবে আপনার যাওয়ার ধরন অর্থাৎ ভিসা ধরন, উদ্দেশ্য এবং অন্যান্য বিষয়াদির উপরে।

আরো পড়ুনঃ দুবাই থেকে ইতালি যেতে কত টাকা লাগে বিস্তারিত জানুন

ক্রোয়েশিয়া বিভিন্ন ভিসার দাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। ক্রোয়েশিয়ার ভিসার দাম ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী নির্ধারণ করা হয়। কোন ভিসায় আনুমানিক কত টাকা লাগে নিচে দেখানো হল।

  1. ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ৮ -১২ লক্ষ টাকা 
  2. স্টুডেন্ট ভিসা ৪-৫ লক্ষ টাকা 
  3. ভিজিট ভিসা ৩-৪ লক্ষ টাকা 

ক্রোয়েশিয়া ভিসা আবেদনের জন্য কাগজপত্র 

ক্রোয়েশিয়া ভিসা আবেদন সকল নিয়ম অনলাইনে করা যায়। যদি এ ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে আপনি নিজেই ঘরে বসেই আপনার ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।ক্রোয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র অবশ্যই প্রয়োজন আছে। তবে আবেদনের সকল কাগজপত্র সঠিক হতে হবে। ভিসা প্রক্রিয়া সফল করার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে চলুন আলোচনা করা যাক। 

  • ক্রোয়েশিয়া ভিসার জন্য পূরণকৃত আবেদন পত্র 
  • বৈধ একটি পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে 
  • শুধু তুলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি 
  • ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হবে 
  • ভিসার জন্য টাকা জমা দেওয়ার রশিদ 
  • বৈধ ট্রাভেল লাইসেন্স 
  • ব্যাংক স্টেটমেন্ট সর্বশেষ তিন থেকে ছয় মাস 
  • জাতীয় পরিচয় পাত্রের ফটোকপি 
  • মেডিকেল রিপোর্টের স্টেটমেন্ট 
  • কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট
  • করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট 
  • ক্রোয়েশিয়া কাজের অফার লেটার

এছাড়াও আপনি ক্রোয়েশিয়ায় যে কাজের উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন সে কাজের বিভিন্ন ধরনের স্টেটমেন্ট চাইতে পারে। যে বিষয় ক্রোয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক সেই ধরনের কাগজপত্র লাগবে। ভিসা আবেদনের পূর্বে উপরোক্ত সকল কাগজপত্র তৈরি করে রাখতে হবে। যেন চাওয়া মাত্র আপনি দিতে প্রস্তুত থাকেন।

ক্রোয়েশিয়া যে সকল কাজের চাহিদা বেশি 

ক্রোয়েশিয়া যে সকল কাজের চাহিদা বেশি যারা ক্রোয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক তাদের এ বিষয়ে জানা উচিত।। যারা কাজের জন্য ক্রোয়েশিয়ায় যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের পোস্টটি খুব উপকার হবে। ক্রোয়েশিয়া তে যেহেতু কর্মী সংকট সেহেতু আপনি যদি একজন দক্ষ কর্মী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২৫

তাদের চাহিদা সম্পন্ন কাজ ভালোভাবে জেনে গেলে সে কাজের জন্য ভালো পরিমাণে বেতন পাওয়া যাবে। তাই দুঃখ তর্জন করে গেলে বেতনও বেশি হয়। তাই আপনি যদি ভালো একটি বেতনে জব করতে চান তাহলে তাদের চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো ভালোভাবে শিখে এবং একটি সার্টিফিকেট অর্জন করে তারপরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। 
ক্রোয়েশিয়া-ভিসার-দাম-কতচলুন কি কি কাজের চাহিদা বেশি সেগুলো উল্লেখ করা যাক। তবে ক্রোয়েশিয়াতে কনস্ট্রাকশনের কাজে সবচেয়ে বেশি কর্মী তারা নিয়োগ দিচ্ছেন। কনস্ট্রাকশন এর কাজ গুলো হলো-

  • স্টেপ হোল্ডার 
  • প্লাম্বার
  • পাইপ ফিটার 
  • মেশন 
  • স্টিল ফিক্সচার 
  • টাইলস মিস্ত্রি 
  • কার্পন্টার
  • ইলেকট্রিশিয়ান 
  • মেকানিক 
  • ড্রাইভার
  • ডেলিভারি বয়

ক্রোয়েশিয়া কোন কাজের বেতন কত 

ক্রোয়েশিয়া বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের বেতন হয়ে থাকে। তবে বেতন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সর্ব প্রথমে আপনাকে কাজের কথা ভাবতে হবে। প্রত্যেকটা কাজের বেতন ভিন্ন। যেমন কনস্ট্রাকশনের কাজ গুলোর বেতন প্রায় ১ লাখ টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে। তারপর যখন কাজ করার অভিজ্ঞতা ৬ মাসের বেশি হবে বা এর চাইতে বেশি তখন বেতনও বৃদ্ধি পাবে।

তবে যারা একবারে নতুন বিন অভিজ্ঞতাই ক্রোয়েশিয়া কাজের জন্য যাই তাদের বেতন সর্বনিম্ন ৬০ হাজার থেকে শুরু হয়। পরবর্তীতে ৮০-৯০ হাজার হয়ে থাকে। ক্রোয়েশিয়া যাওয়ার জন্য যেহেতু টাকা বেশি লাগে সেই হিসেবে বেতন অনেক বেশি। তবে কোন একটা স্কেল বা কনস্ট্রাকশনের কোন কাজ অভিজ্ঞতা থাকলে  ১-২ লক্ষ টাকার মত ইনকাম করা যাবে।

শেষ কথাঃ ক্রোয়েশিয়া ভিসা খরচ কত 

অবশেষে আমরা বলতে পারি ক্রোয়েশিয়া ভিসা খরচ নির্ধারণ করা হয় বিভিন্ন বিষয়ের উপরে। ওয়ার্ক পারমিট, স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিট ভিসা, বিজনেস ভিসা সকল ভিসা খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কারণ এগুলো নির্ভর করে ভিসার ধরন, উদ্দেশ্য এবং এজেন্সিদের উপরে এছাড়াও আরো অন্যান্য আনুষঙ্গিক কারণ রয়েছে। 

যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ ক্রোয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক তারা সকল কিছু ভালোভাবে জেনে তারপর ভিসার জন্য আবেদন করবেন। ভিসার জন্য সঠিক এজেন্সি এবং তাদের সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিয়ে তারপরে আবেদন করবেন। এ ধরনের প্রবাস ভ্রমণ এবং গাইড সম্পর্কে জানতে চাইলে আমাদের আরো পোস্ট আছে সেগুলো ভিজিট করে আসতে পারেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url