অ্যাসিড রিফ্লাক্স এর প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ২০টি কার্যকরী সমাধান
অ্যাসিড রিফ্লাক্স অর্থাৎ অতিরিক্ত এসিড পেটের এবং হজম শক্তির ব্যাঘাত ঘটায়। যখন
মানুষের শরীরে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয় তখন সেটি কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন
করে থাকে। কিন্তু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে এটি কমানো সম্ভব।
আজকের এই পোস্টে আপনাদের এসিড রিফ্লাক্স এবং অম্লতা দূর করার আয়ুর্বেদিক
চিকিৎসার কিছু কার্যকরী সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। কারণ বর্তমানে আমাদের খাবারের
অনিয়ম এবং বিভিন্ন ধরনের ভেজালের কারণে এসিড রিফ্লাক্স প্রতিনিয়ত বেড়েই
চলেছে।
সূচিপত্রঃ এসিডের রিফ্লাক্স এর প্রাকৃতিক চিকিৎসা
- অ্যাসিড রিপ্লাই কি এটি হওয়ার কারণ
- আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে এসিড রিফ্লাক্স নিরাময়ের উপায়
- প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
- দৈনন্দিন জীবনে অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমানোর সহজ টিপস
- পানীয় যা এসিড রিফ্লাক্স কমাতে সাহায্য করে
- অ্যাসিড রিফ্লাক্স রোধে যোগ ব্যায়াম
- খাবারের সময়সীমা ও পরিমাপ ঠিক রাখা
- শেষ কথাঃ সিটি রিফ্লাক্স নিরাময়ের উপায়
অ্যাসিড রিফ্লাক্স কি এটি হওয়ার কারণ
অ্যাসিড রিফ্লাক্স হচ্ছে পেটের হজম জনিত সমস্যা। পাকস্থলীতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
হলে অনেক সময় টক ঢেকুর উঠে যা বুক জ্বালাপোড়া করে এবং অস্বস্তি বোধ হয়। সোজা
কথা বলতে হলে পাকস্থলীর এসিড খাদ্যনালীতে অনেক সময় উঠে আসে এ ধরনের সমস্যাকেই
এসিড রিফ্লাক্স বলা হয়। অ্যাসিড রিফ্লাক্স বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে।
- অনেক সময় খালি পেটে থাকার ফলে এসিড রিফ্লেক্স হয়। অর্থাৎ অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস।
- বিভিন্ন ধরনের শব্দ ড্রিংকস বেশি পান করা যেমন ৭আপ, কোকাকোলা, চা, কফি ইত্যাদি।
- বেশি ঝাল যুক্ত খাবার খাওয়া।
- তেলে ভাজা জিনিস বেশি খাওয়া অথবা ফাস্টফুড খাওয়া।
- বেশি বেশি ধূমপান করা।
- খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় শুয়ে পড়া। অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তায় থাকলে এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে অ্যাসিড রিফ্লাক্স নিরাময়ের উপায়
আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে এসিড রিফ্লাক্স নিরাময়ের উপায় জানতে চাইলে আমাদের ব্লক
পোস্টটি সম্পূর্ণ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর
পেয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ। চলুন এটি নিরাময়ের কয়েকটি ঘরোয়া বা প্রাকৃতিক উপায়
আলোচনা করা যাক।
ঠান্ডা দুধ খাওয়া
ঠান্ডা দুধ খাওয়ার ফলে এসিড রিফ্লাক্স এবং পেটের অম্লতা দূর করে। এ ধরনের পেটের
সমস্যা হলে অল্প পরিমাণ ঠান্ডা দুধ পান করতে পারেন।
এলাচ খাওয়া
এলাচ এক ধরনের এসিড রিফ্লাক্স নিরাময়ের উপায় হিসেবে কাজ করে। যখন অতিরিক্ত
এসিডিটি হবে এবং হজম শক্তির সমস্যা দেখা দিবে তখন এক গ্লাস পানিতে এলাচের গুড়া
মিশিয়ে সে পানি পান করতে পারেন।
মৌরি খাওয়ার উপায়
মৌরি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যখন ওই পেটে অম্ল ভাব হয়
অর্থাৎ পাকস্থলী থেকে অম্লতা খাদ্যনালীতে স্থানান্তর হয় তখন শরীরে অনেক অসুস্থ
লাগে। এ ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে মৌরি ভেজানো পানি পান করতে পারেন অথবা
মৌরি দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন।
জিরা পানি
যখন পেটে অতিরিক্ত এসিড রিফ্লাক্সের কারণে শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটায়
তখন এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ জিরা ভিজে রেখে সেই পানি পান করতে পারেন। এটি
অ্যাসিড নিরাময়ে সাহায্য করে।
লবঙ্গ খাওয়ার উপায়
এসিডের রিফ্লাক্স নিরাময় করার উপায় গুলোর মধ্যে লবঙ্গ খাওয়া একটু অন্যতম।
অতিরিক্ত এসিডের সমস্যা হলে লবঙ্গ মুখে দিয়ে থাকতে পারেন এবং কিছুক্ষণ পর সেটি
গিলে খেতে পারেন।
দারুচিনি চা খাওয়া
দারুচিনি চা খাওয়ার ফলে পেটের অম্লতা নিরাময় করা যায়। দারুচিনি খাবার হজম করতে
সাহায্য করে।
আমলকি খাওয়া
অতিরিক্ত পেটের সমস্যা হলে এবং পেটে অম্ল ভাব বেড়ে গেলে আমলকির গুড়া পানির সাথে
মিশিয়ে খেতে পারেন ফলে এটি হজম শক্তি দ্রুত বৃদ্ধি করে এবং পাকস্থলীর অম্লতা
কামায়।
প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
প্রাকৃতিক ও আয়ুর্বেদিক ভাবে যদি এসিড রিফ্লাক্স প্রতিকার করতে চান তাহলে অবশ্যই
এই পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করতে পারেন। কিভাবে সেগুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা
যাবে।
অতিরিক্ত এসিড রিফ্লাক্স কমানোর জন্য পুদিনা পাতা একটি কার্যকরী উপাদান। নিয়মিত
পুদিনা পাতার রস, সামান্য মধু পান করলে এবং নিয়মিত পুদিনা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে
খেলে এ ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
নারিকেল পানি শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে প্রতিদিন এক গ্লাস নারকেল পানি পান
করার ফলে পেটের অতিরিক্ত অম্ল ভাব কমে যায় ফলে এসিডের হার কমিয়ে দেয়।
আদা অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান গ্যাস্ট্রিক, অম্লতা দূর করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত আদা চা অথবা সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানিতে দুই টুকরা
আদা এবং মধু একসাথে যুক্ত করে খেলে পেটের অম্ল ভাব কমায়।
প্রতিদিন একটি কলা খেলে পাকস্থলী সুরক্ষিত রাখা যায় এবং এন্টি অ্যাসিডিটি হার
কমিয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত অম্ল ভাব এবং গ্যাসটি কমানোর জন্য একটি কলা খাওয়া
উচিত।
যদি পেটের অম্লতা এবং গ্যাস্ট্রিক বেড়ে যায় তাহলে গাজর এবং বিটরুট জুস করে খেতে
পারেন এ দুইটি অনেক উপকারী পেটের অম্ল ভাব কমানোর জন্য।
প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটি খেজুর খেলে পেটের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং
এসিডিটি রিফ্লাক্স অনেকটা কমে যায়।
পেঁপে খেলেও অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমানো সম্ভব। প্রতিদিন পাকা পেঁপে এক বাটি খেলে
হজম দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং এসিডিটির হার কমিয়ে দেয় যা শরীর ঠান্ডা রাখতে
সাহায্য করে।
দৈনন্দিন জীবনে অ্যাসিড রিফ্লাক্স কমানোর সহজ টিপস
দৈনন্দিন জীবনে এসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বুকের
জ্বালাপোড়া এবং অনিমিত খাদ্যের ফলে এ ধরনের সমস্যা জীবন অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। তাই
এই দৈনন্দিন জীবনে কি ধরনের খাবার খেলে এবং কিভাবে খাওয়ার খেলে সমস্যা থেকে
সমাধান পাওয়া যায় এ নিয়ে আলোচনা করা যাক।
খাবার রান্না করার সময় মসলা কম ব্যবহার করুন এবং হালকা লবণ দিয়ে সিদ্ধ করা
খাবার খেতে পারেন।
অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে চকলেট,
সস,ফাস্টফুড ইত্যাদি। খাবারে ধনিয়া, মৌরি, জিরা ব্যবহার করতে পারেন এ সকল উপাদান
খাদ্য হজম করতে সহযোগিতা করে।
কোন খাবার বেশি ভালো লাগলে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা
করুন কারণ অতিরিক্ত খাবার মেদ ভুরি বাড়াতে সহযোগিতা করে এবং হজমের বিভিন্ন
সমস্যা দেখা দেয়। আবার খালি পেটে থাকা থেকে বিরত থাকুন অল্প পরিমাণ হলেও তিন
বেলা খাওয়া উচিত। খাবার খাওয়ার সময় বেশি করে চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন এটি
খাবার হজমের সাহায্য করে।
পানীয় যা এসিড রিফ্লাক্স কমাতে সাহায্য করে
যাদের বিভিন্ন কর্ম ব্যস্ততাই এবং অলসতার কারণে এসিড রিফ্লাক্স এর পরিমাণ বেশি
হয় অর্থাৎ পেটে অম্ল ভাব দেখা দেয় এবং ঘন ঘন টক ঢেকুর উঠে তাদের জন্য কিছু
সমাধান নিয়ে এসেছি।
এক গ্লাস দুধ চিনি ছাড়াই পান করতে পারেন ফলে এটি এসিড রিফ্লাক্স দ্রুত কমাতে
সাহায্য করে।
এছাড়াও দিনে দুইবার ডাবের পানি পান করতে পারেন এটি এসিড এবং অম্ল ভাগ কমাতে
সাহায্য করে। পেট ঠান্ডা রাখে।
বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডের ব্যথায় অসস্তি অনুভব করা এটি দ্রুত কমানোর জন্য
তুলসী ভিজানো পানি পান করা যেতে পারে।
অতিরিক্ত বুক জ্বালাপোড়া এবং এসিডের সমস্যা দূর করতে হলে অ্যালোভেরার পান করা
উচিত। পানির সাথে এলোভেরা পাতার ভেতরের জেল অংশটুকু ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে
পান করতে পারেন। যদি খেতে না পারেন তাহলে এর সাথে এক চা চামচ মধু যুক্ত করতে
পারেন।
অতিরিক্ত অম্ল ভাব এবং এসিডিটি কমাতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ইসবগুল ভুষি, এক
চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
এসিড রিফ্লাক্স রোধে যোগ ব্যায়াম
পাকস্থলীতে যখন অতিরিক্ত এসিডিটি ফ্লাক্স হয় তখন অস্বস্তি বোধ হয় এবং
শ্বাসকষ্টের ও সমস্যা দেখা দেয় তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পেতে কিছু
যোগব্যায়াম করা উচিত স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। নিয়মিত যোগ্য ব্যায়াম বা
মেডিটেশন করার ফলে এসিড রিফ্লাক্সের হার কমে যায়। এছাড়া নিয়মিত হাটাহাটি করলে
অতিরিক্ত স্ট্রেস কমে।
হাটু গেড়ে বসে পায়ের পাতা গুলো শরীরের নিজের রাখার চেষ্টা করুন এবং পিঠ সোজা
রাখুন এভাবে ১০-১৫ মিনিট থাকার ফলে আপনার অ্যাসিডের রিফ্লাক্স হার অনেকটাই কমে
যাবে এবং শরীরে আরাম অনুভব করবেন।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স দূর করতে এবং অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের জন্য কিছু যোগ্য ব্যায়াম
করা উচিত। এর মধ্যে আপনি প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়াবেন এবং পা দুটি একসঙ্গে রাখার
চেষ্টা করুন এবং ধীরে ধীরে সামনের দিকে ঝুঁকে আপনার হাত দিয়ে পায়ের আঙ্গুল
স্পর্শ করার চেষ্টা করুন আপনার এসিডিটির হার অনেকটাই কমে যাবে।
শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা থাকলে এসিডিটির হার বেড়ে যায়। তাই কিছু পদ্ধতি
অবলম্বন করতে পারেন যেমন সুন্দর করে বসে পড়ুন। এবং এক মায়ের উপরে আরেক পা রেখে
গভীরভাবে শ্বাস নেওয়ার চেষ্টা করুন। এবং মুখ দিয়ে শ্বাস নিয়ে সেটি নাক দিয়ে
ছাড়ার চেষ্টা করেন। কিভাবে ৫-৮ মিনিট প্র্যাকটিস করতে পারেন।
খাবার খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। খাবার খাওয়ার ২০
থেকে ৩০ মিনিট পরে পানি পান করুন এবং যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করার চেষ্টা করবেন,
এতে খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং এসিডিটির হার কমায়।
খাবারের সময়সীমা ও পরিমাপ ঠিক রাখা
খাবারের সময়সীমা পরিমাপ ঠিক রাখার ওপরও পেটের এসিডিটির বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম
কারণ। কারণ খাবারের অনিয়মিত হওয়ার ফলে এবং খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন হওয়ার ফলে
পেটের অম্লতা বেড়ে যায় এবং এসিড রিফ্লাক্স খুবই খারাপ আকার ধারণ করে। কোন
খাবারের সময় সময় গুলো কিভাবে নির্ধারণ করা যায় সেটা আলোচনা করা যাক।
সকালে হালকা খাওয়ার এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাওয়ার খাওয়া উচিত। সকালে ঘুম থেকে উঠে
পানি পান করা এই অভ্যাস খুবই ভালো। এবং দুপুরের খাবার একটার মধ্যে শেষ করা উচিত
এবং তিন ভাগের এক ভাগ খাবার খাওয়া উচিত এবং একভাগ পানি খাওয়া উচিত এবং আরেক ভাগ
ফাঁকা রাখা উচিত। নিয়ম করে খেলে এসিডিটির সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব।
রাতের খাবার অতিরিক্ত দেরি করে খাওয়া উচিত নাই অর্থাৎ অনেকেই আছেন যারা রাতের
খাবার দশটা এগারোটা দিকে খেয়ে থাকেন। তাদের এ ধরনের অভ্যাস পরিবর্তন করা উচিত।
রাতের খাবার আটটার মধ্যে খেয়ে নেওয়া উচিত। এভাবে খেলে শরীরের স্বাস্থ্য ভালো
থাকবে এবং অতিরিক্ত এসিড রিফ্লাক্স করতে সাহায্য করবে।
শেষ কথাঃ অ্যাসিড রিফ্লাক্স নিরাময়ের উপায়
এসএসসি রিফ্লাক্স নিরাময়ের জন্য অনেকেই অনেক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন।
অনেকেই জানেন এবং অনেকেরই অজানা তাই আজকের পোস্টে আপনাদের এসিডিটির সমস্যা নিয়ে
সকল সমাধান আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। যাদের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যায় ভুগছেন
তারা দ্রুত উপরের পদ্ধতি গুলো মেনে চললে এ ধরনের হজম জনিত সমস্যা থেকে সমাধান
পাবেন ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url