মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা ও প্রসেসিং টাইম
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিটা কত টাকা লাগে এ ধরনের অনেকেরই প্রশ্ন থেকে থাকে কারণ অনেক ভ্রমণ পিপাসু আছে যারা দেশের বাইরে ঘুরতে পছন্দ করেন তাই আজকে তাদের জন্য এই পোস্টটি তে বিস্তারিত তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা লাগে এবং কিভাবে আবেদন করতে হয়।
সূচিপত্রঃ মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা
- মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য ডকুমেন্ট
- টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং সময়
- কি কি বিষয়ের মালয়েশিয়া যাওয়া যায়
- মালয়েশিয়া টুরিস্টদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা
- মালয়েশিয়া ভিসা ফি
- মালয়েশিয়া যাতায়াত খরচ
- মালয়েশিয়া থাকার খরচ
- শেষ কথাঃ মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কত টাকা লাগে
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে আজকের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। ভিসা ফিস সহ অন্যান্য যে সকল খরচ আছে সবগুলোই জানতে পারবেন। এছাড়া মালেশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ নির্ভর করবে আপনার অবস্থান এবং প্রসেসিং এর উপর আপনি কোন মাধ্যমে যাচ্ছেন বা কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন এর উপর নির্ভর করে।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা ফি সাধারণত খরচ হয়ে থাকে ৫০০০ থেকে ৮০০০ টাকা। তবে এটি অনেক অংশে নির্ভর করে এজেন্সিদের উপর কোন কোন এজেন্সি আছে যারা ৮০০০ থেকে ১০০০০ হাজারের মতো টাকা নিয়ে থাকে অনেক এজেন্সি আছে যারা ৫৮০০ টাকা নিয়ে থাকে। ভিসা খরচ বাদে অন্যান্য যে যে সকল বিষয়ে খরচ হয় তা হল হোটেলে থাকা, খাবার, যাতায়াত, ভ্রমণের স্থান ইত্যাদি।
মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য ডকুমেন্ট
মালেশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য বেশ কয়েকটি কাগজপত্র লাগে এবং সেই সকল কাগজপত্র গুলো সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গভাবে দিতে হবে চলুন কি কি কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট লাগে সেগুলো নিজে আলোচনা করা যাক।
আরো পড়ুনঃ কুয়েত ড্রাইভিং ভিসা বেতন কত ও কাজের ধরন
- ভিসা আবেদনের ফর্ম
- বৈধ পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
- এছাড়া পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে সেটা আপনাকে উল্লেখ করতে হবে।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি (৩.৫ সেমি ও ৫ সেমি অবশ্যই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর হতে হবে)
- ন্যাশনাল আইডি কার্ড অর্থাৎ ভোটার আইডি কার্ড অবশ্যই প্রযোজ্য।
- রিসেন্ট ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে হবে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা থাকতে হবে। তবে এক লক্ষ থাকলেও চলবে।
- ব্যাংক সলভেন্সি অবশ্যই সিগনেচার সহ থাকবে হবে এবং ব্যাংকের সিল এবং সিগনেচার থাকতে হবে এছাড়া গ্রহণযোগ্য হবে না।
- যদি আপনি জব করেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভিজিটিং কার্ড দেখাতে হবে।
- তবে যারা স্টুডেন্ট তাদের স্টুডেন্ট আইডি শো করতে হবে।
- বিবাহিত হলে ম্যারেজ সার্টিফিকেট দিতে হবে। আর বিবাহিত না হলে প্রয়োজন নাই।
- ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে হবে। এবং আপডেট থাকতে হবে। অর্থাৎ রিনিউ করা থাকবে।
- ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট উল্লেখ করতে হবে।
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য কি সেটা উল্লেখ করতে হবে। ফ্লাইট বুকিং এর ডকুমেন্ট দেখাতে হবে অর্থাৎ আসা যাওয়ার টিকিটের ফটোকপি।
- হোটেল বুকিংয়ের আমন্ত্রণ পত্র সেটা উল্লেখ করতে হবে। মালয়েশিয়া গিয়ে কোন হোটেলে আপনি থাকবেন সে হোটেলের আমন্ত্রণ পত্র দেখাতে হবে।
টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং সময়
মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য তাই সময় লেগে থাকে পাঁচ থেকে সাত কর্ম দিবস। তবে এটি অনেক ক্ষেত্রে নির্ভর করে বিভিন্ন কাজের উপর। অর্থাৎ আপনার সকল ডকুমেন্ট জমা দেয়ার উপর নির্ভর করবে কারণ সকল কাগজপত্র সঠিক না হলে অথবা কোন সমস্যা হলে সেগুলো ঠিকঠাক করতে সময় লাগতে পারে। যেখানে বিশ আবেদন করা হয় সেই আবেদন কেন্দ্রের উপর অনেক ক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিং নির্ভর করে থাকে।
তাছাড়া বিজাপুর নির্ভর করে ইমিগ্রেশন পাসপোর্ট এবং এজেন্সিদের উপরে । কারন অনেক এজেন্সি আছে যেখানে তাদের কাজের চাপ বেশি থাকে ফলে আপনার ভিসা প্রসেসিং হতে সময়ের সাপেক্ষ হবে। তবে যে সকল এজেন্সিদের ভিসার জন্য চাপ কম তবে সেখানে টাকা একটু বেশি লাগলেও খুব কম সময়ে তারা ভিসা প্রসেসিং করে থাকেন। তাই বিভিন্ন ফ্যাক্টর এর উপর নির্ভর করে ভিসা প্রসেসিং।
কি কি ভিসায় মালয়েশিয়া যাওয়া যায়
মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য একটা মানুষের বিভিন্ন ধরনের উদ্দেশ্য থাকে তাই এটি নির্ভর করে যিনি যাত্রী অর্থাৎ যেতে ইচ্ছুক তার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে। বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্য নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়া যায় এমন একজনের যাওয়ার ধরনের এক এক রকম হয় চলুন কি কি বিষয় মালয়েশিয়া যাওয়া যায় আলোচনা করা যাক।
আরো পড়ুনঃ ডলার ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
- টুরিস্ট ভিসা অর্থাৎ ভিজিট ভিসা
- বিজনেস ভিসা অথবা ব্যবসায়িক ভিসা
- ওয়ার্ক ভিসা অর্থাৎ কাজের ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- Dependent ভিসা অর্থাৎ নির্ভরশীলতা
- ট্রানজিট ভিসা
- রেসিডেন্স ভিসা
- ইনভেস্টর ভিসা
- চিকিৎসা ভিসা
- ফ্যামিলি ভিসা
- সোশ্যাল ভিসা
মালয়েশিয়ার টুরিস্টদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা
মালয়েশিয়া ট্রিট ভিসায় গেলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের উদ্দেশ্য নিয়ে যায় বিশেষ করে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিবেশ এবং মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর এবং বিভিন্ন ঐতিহ্য স্থাপনা দেখার ও উপভোগ করার জন্য যায়। কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থান গুলোর নাম আলোচনা করা যাক। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে গেলে অনেক আধুনিক এবং সাংস্কৃতিক স্থাপিত রয়েছে এগুলো দেখলে মানুষের মন সুন্দর হয়।
- কুয়ালালামপুরে যে সকল জায়গাগুলো বিখ্যাত সেগুলো হল।
- বাটু গেমস অর্থাৎ তামিল হিন্দুদের ঐতিহাসিক তীর্থস্থান, অনেক সুবিশাল মূর্তি এছাড়াও রয়েছে গুহা।
- পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার অনেক সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর একটি উচ্চ ভবন বা টাওয়ার।
- কুয়ালালামপুর টাওয়ার।
- University of Malaya
- Monash University Malaysia
- বুকেট কিনতাম এখানে শপিং খাবারের জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি স্থান।
- কিলিম কাস্ট জিও ফরেস্ট পার্ক।
- লং কাউই সমুদ্র সৈকত ও বিভিন্ন পাহাড়।
- পেনাং হিল।
- কিনা বালু ন্যাশনাল পার্ক ।
- জোহর বাহারু লেগুলেন্ট মালয়েশিয়া।
- পুতেরি হারবার থিম পার্ক।
মালয়েশিয়া ভিসা ফি
মালয়েশিয়া ভিসা ফি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে করছেন কাদের মাধ্যমে করছেন সেটা অনুযায়ী খরচ হয়ে থাকে। তাছাড়া মালেশিয়া ভিসা ফ্রি ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে কারণ এক এক জায়গার এজেন্সি একেক রকম ভাবে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রসেসিং করার জন্য বিভিন্ন উপায় টাকা নিয়ে থাকে। তবে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কিভাবে করা যায়।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৫ করার পদ্ধতি
eVISA ই ভিসা করতে খরচ হয় প্রায় ২২০০ থেকে ৩২০০ টাকার মত।
eNTRI আর এ বিষয়ে প্রায় খরচ হয়ে থাকে ১১০০ থেকে ১৭০০ টাকার মত। তবে সব সময় এরকম খরচ হয় না অনেক সময় টাকা রেট হিসেবে পরিবর্তন হতে পারে। কারণ যে কোন সময় টাকার রেট পরিবর্তনশীল তাই এই ভিসা ফি পরিবর্তন হতে পারে।
মালয়েশিয়া যাতায়াত খরচ
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসাই যাতায়াতে অর্থাৎ ফ্লাইট ভাড়া সাধারণত খরচ হয়ে থাকে ২৫০০০ থেকে ৫০০০০ টাকার মত। তবে অনেক ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া যাতায়াত খরচ পরিবর্তন হতে পারে। কারণ ২০২৪ সালে মালয়েশিয়া যাতায়াত খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে। যেমন যাতায়াতে খরচ পড়েছে প্রায় ৬০০০০ হাজারের মতো। তবে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় সিজন অনুযায়ী টাকা কম বেশি হতে পারে। কারণ বিভিন্ন সিজনে বিভিন্ন এজেন্সি ভিন্ন ভিন্ন খরচ দেখায়।
মালয়েশিয়ায় থাকার খরচ
মালয়েশিয়ায় থাকার খরচ অনেকেই জানতে চেয়েছেন। অর্থাৎ মালয়েশিয়ায় টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার পরে অনেক হোটেল আছে যেগুলোর খরচ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। এটা অবশ্যই যাত্রীর উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ধরনের হোটেলে থাকতে চাচ্ছেন। কারণ সেখানে বিভিন্ন হোটেলের খরচ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
শেষ কথাঃ মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ
অবশেষে আমরা বলতে পারি মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসায় যাওয়ার জন্য আপনারা সম্পূর্ণভাবে খোঁজখবর নিয়ে তারপরে হিসাব বাবদ খরচ করবেন। কারণ বর্তমানে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা মালয়েশিয়া বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে যায়। তবে একেকজনের ভিসা প্রসেসিং একেক রকম হয়ে থাকে। তাই ভিসা করার আগে সকল কিছু জেনে তারপরে ভিসা করবেন।
তবে টুরিস্ট ভিসায় যেহেতু খুব অল্প কয়েক দিনের জন্য এর জন্য খুব বেশি খরচের প্রয়োজন নাই। তবে যারা ভ্রমণপিপাসু লোকজন আছেন তারা অবশ্যই সঠিক তথ্য যাচাই করার পরে বিসর্জন আবেদন করবেন। পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে এবং একটি হলে উপকারে আসে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন সকলকে ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url