ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড এর সুবিধা
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড বর্তমানে অনেক সুবিধা রয়েছে। এই কার্ডের দ্বারা দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন লেনদেনের সুবিধা করে দিয়েছে। এই কার্ড দেশে এবং বিদেশে টাকা অথবা বিদেশি বিভিন্ন মুদ্রায় লেনদেনের সুবিধা রয়েছে।
ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড এমন একটি কার্ড পদ্ধতি যেখানে ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে একাধিক মুদ্রা ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে। চলুন আজকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের সুবিধা এবং বৈশিষ্ট্য গুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
সূচিপত্রঃ ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড
- ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ডের সুবিধা
- ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড চার্জ কত
- ইসলামী ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড পাওয়ার পদ্ধতি
- ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট ভিসা কার্ড
- শেষ কথাঃ ইসলামি ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড
ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ডের সুবিধা
ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ডের সুবিধা সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাদের এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়তে হবে। এই কার্ডের বৈশিষ্ট্য অনেক। এই কার্ড ব্যবহার করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। চলুন ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ডের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি নিম্নে আলোচনা করা যাক।
- এ কার্ড ব্যবহার করে দুই ধরনের মুদ্রার লেনদেন সুবিধা রয়েছে।
- বাংলাদেশী টাকা এবং আন্তর্জাতিক ডলার লেনদেনের সুবিধা রয়েছে।
- এই কার্ড দিয়ে বৈদেশিক লেনদেনের সুবিধা রয়েছে।
- অনলাইনে কেনাকাটা করে বিল পেমেন্টের সুবিধা রয়েছে।
- আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় যে কোন সেবা সমূহের অনলাইন ট্রানজেকশন সুবিধা রয়েছে।
- EMV ব্যবহারে সুরক্ষিত লেনদেনের সুবিধা।
- OTP সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।
- দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক এটিএম থেকে উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে।
- বিমানের টিকিট বুকিং এর জন্য লেনদেনের সুবিধা রয়েছে।
- এছাড়া হোটেল বুকিং করার জন্য লেনদেনের সুবিধা রয়েছে।
- বিদেশে ভ্রমণের জন্য আর্থিক প্রস্তুতি নেয়া সহজ করে দিয়েছে।
- যেকোনো ধরনের বিল পেমেন্টের সুবিধা রয়েছে।
- মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে ব্যালেন্স চেক করার সুবিধা রয়েছে।
- কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে রিনিউ প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড চার্জ কত
ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ড চার্জ সম্পর্কে জানা উচিত। কারণ যারা ইসলামী ব্যাংকের সাথে লেনদেন রয়েছেন তাদের সকল বিষয়ে অবশ্যই জানা জরুরী। ইসলামী ব্যাংক বিভিন্ন ধরনের কার্ড সরবরাহ করে থাকে। চলুন কোন কোন কার্ডের চার্জ কত এ সমন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আরো পড়ুনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে জানুন
ক্লাসিক ডেবিট কার্ড
- এই কার্ড প্রথমবার ইস্যু করতে কোন ফি প্রয়োজন হয় না।
- মেনটেনেন্স ফি ৬ মাসে প্রায় ২০০ টাকা করে।
- প্রতিদিন নগদ উত্তোলনের সীমা ৫০ হাজার টাকা।
- POS লেনদেনের সীমা প্রতিদিন এক লক্ষ টাকা।
গোল্ড ডেবিট কার্ড
- এই কার্ড প্রথম ইস্যু করলে কোনো ফি দিতে হয় না।
- গোল্ড ডেবিট কার্ডের মেইনটেনেন্স ফি ৬ মাসে ৩০০ টাকা করে।
- দৈনিক নগদ উত্তোলনের সীমা এক লক্ষ টাকা।
- POS লেনদেনের জন্য সীমা ২ লক্ষ টাকা।
প্লাটিনাম ডেবিট কার্ড
- প্লাটিনাম ডেবিট কার্ড ও প্রথমবার ইস্যু করার জন্য কোন ফ্রি প্রয়োজন হয় না।
- মেনটেনেন্স ফি প্রত্যেক ছয় মাসে ৪০০ টাকা।
- দৈনিক নগদ উত্তোলনের সীমা দুই লক্ষ টাকা।
- POS লেনদেনের সীমা ৩ লক্ষ টাকা।
অতিরিক্ত যে সকল চার্জ প্রযোজ্য সেগুলো হলো যদি অন্য কোন ব্যাংকের এটিএম থেকে নগদ উত্তোলন করতে চান তাহলে এর জন্য ১৫ টাকা চার্জ প্রযোজ্য। বিদেশে নগদ উত্তোলন করতে চাইলে প্রতিবার লেনদেনের জন্য এক ডলার এর সাথে উত্তোলনকৃত টাকার ৩% চার্জ প্রযোজ্য।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
এছাড়াও ই-কমার্স লেনদেনের জন্য ৩ পার্সেন্ট চার্জ। গ্রীন পিন রিসেট দিতে চাইলে রিসেট ফি ৫০ টাকা। অন্যান্য সকল চার্জের জন্য ১৫% ভ্যাট প্রযোজ্য। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক ভিসা কার্ডের চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনার নিকটস্থ যে কোন ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন।
ইসলামী ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড পাওয়ার পদ্ধতি
ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড পাওয়ার পদ্ধতি খুবই সহজ। এর জন্য আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় পদ্ধতি বা নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে চলুন কিভাবে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড পাওয়া যায় এ সম্পর্কে আলোচনা করা যায়।
- প্রথমত আপনাকে ইসলামী ব্যাংক কোন একটা শাখায় গিয়ে ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ডের জন্য আবেদন ফরম সংগ্রহ করে সে ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- আবেদন ফরমের সাথে আপনাকে ভোটার আইডি কার্ড অর্থাৎ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার জন্য নিয়ে যেতে হবে।
- সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
- বিদেশী মুদ্রা অনুমোদন করার জন্য অবশ্যই পাসপোর্ট এর কপি নিয়ে যেতে হবে।
- TIN সার্টিফিকেট থাকলে সঙ্গে নিয়ে যাবেন প্রয়োজনে চাইতে পারে।
- ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ফি পরিশোধ করতে হবে।
- আবেদন প্রক্রিয়া সফল হলে ব্যাংক আপনার সকল তথ্য যাচাই করবে।
- যাচাই-বাছাই করে কোন ধরনের সমস্যা না হলে আবেদন অবশ্যই অনুমোদন পাবে।
- অনুমোদন পাওয়ার কোন একটি নির্ধারিত সময় আপনাকে ব্যাংক থেকে দেওয়া হবে সেই সময় আপনার কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
- কার্ড সংগ্রহ হয়ে গেলে আপনার অ্যাকাউন্টটি সেটআপ এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করা হবে।
- কার্ডের সকল কার্যক্রম সঠিকভাবে সেটআপ হয়ে গেলে আপনি ইসলামী ব্যাংক ইন্টারনেটে একটি অ্যাপস আছে সেই অ্যাপসটি আপনার মোবাইলে সেটআপ করে নিতে পারেন।
- অ্যাপস থেকে খুব সহজেই ব্যালেন্স দেখা এবং বিভিন্ন সুবিধা এবং ইনফরমেশন সংগ্রহ করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট ভিসা কার্ড
ইসলামী ব্যাংক স্টুডেন্ট ভিসা কার্ড দিয়ে থাকে। এ কার্ড স্টুডেন্টদের যাবতীয় খরচ সুবিধা করার জন্য বিশেষ করে স্টুডেন্টদের দৈনন্দিন খরচ, অনলাইনে বিভিন্ন লেনদেন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী। এই কার্ড শিক্ষার্থীরা মাসিক বিভিন্ন লেনদেন এবং পরীক্ষার ফি জমাদানের ক্ষেত্রে, ব্যাংক থেকে নগদ উত্তোলনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
এ কার্ড দ্বারা শিক্ষার্থীরা রিচার্জও করতে পারবে। এই কার্ডে লেনদেনের জন্য OTP ও সিকিউরিটির বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি একমাত্র সে সকল শিক্ষার্থীরাই এই কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড এবং জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা বাধ্যতামূলক।
সদ্য তুলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। স্টুডেন্ট ভিসা কার্ডের প্রতিবছরের ফ্রি বাবদ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা আলাদা আলাদাভাবে দিতে হয়। অভিভাবকের পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে। স্টুডেন্ট ভিসা কার্ড তৈরি করার জন্য অবশ্যই ইসলামী ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। এবং আবেদন ফরম পূরণ করে যাবতীয় সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
শেষ কথাঃ ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড
আজকের পোস্টে ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সি ভিসা কার্ড সম্পর্কে সকল তথ্য আপনাদের জানানোর চেষ্টা করেছি। যাদের ইসলামী ব্যাংক ডুয়েল কনসেপ্ট শাখা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন ছিল আশা করি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের কাঙ্ক্ষিত উত্তর পেয়েছেন। এছাড়াও যদি আপনাদের ডুয়েল কারেন্সি ভিসা সম্পর্কে আরও তথ্য জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টে জানাবেন ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url