ফুলকপির উপকারিতা,পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

ফুলকপির উপকারিতা পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা অনেক। ফুলকপি কাঁচা খাওয়ার কাঁচা খাওয়ার চেয়ে রান্না করে খেলে বেশি উপকারিতা রয়েছে। ফুলকপি শীতকালীন একটি সবজি এটি দেখতে যেমন সুন্দর এবং খেতে অনেক সুস্বাদু কমবেশি প্রায় সকলেই ফুলকপি পছন্দ করে। 

ফুলকপির-উপকারিতা-পুষ্টিগুণফুলকপির পুষ্টিগুণ কত সেটা আপনারা জানলে অবাক হবেন কারণ এই সবজি সারা বছর পাওয়া যায় না তবে শীতকালে অনেক দেখা যায় এ সবজি। ফুলকপি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় যেমন রান্না করে অথবা কোন আমিষ যুক্ত খাবারের সাথে মিস করে।

সূচিপত্রঃ ফুলকপির উপকারিতা পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা 

ফুলকপির উপকারিতা গুলো কি কি

ফুলকপির উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে আজকের পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অবশ্যই পড়ুন। ফুলকপির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আপনারা জানলে ফুলকপি খেতে আপনারা বাধ্য হবেন। যেহেতু এটি একটি আঁশযুক্ত সবজি এবং এতে অনেক ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে তাই ফুলকপি খাওয়ার কোন তুলনা হয় না। ফুলকপি খাওয়ার উপকারিতা গুলো নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করা 

ফুলকপিতে ফাইবার থাকার কারণে এটি দ্রুত হজমে সহায়তা করে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যা অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য জনিত সমস্যা প্রতিরোধে ফুলকপি সহায়তা করে থাকে।। 

ক্যান্সার প্রতিরোধে 

ফুলকপি এক ধরনের সবজি এতে সালফোরাফেন নামক একটি যৌগ রয়েছে যে যৌগটি অ্যান্টি ক্যান্সারের বৈশিষ্ট্য রয়েছে ফলে এটি ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে বাধা দিয়ে থাকে। অর্থাৎ ফুলকপি ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে সহায়ত করে থাকে।

হার্টকে সুস্থ রাখতে 

ফুলকপি উচ্চ রক্তচাপ কমাতে অর্থাৎ রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। যেহেতু ফুলকপিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক একটি উপাদান রয়েছে তাই এটি হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ 

ফুলকপিতে আন্টি-অক্সিডেন্ট এবং কার্বোহাইড্রেট থাকার ফলে এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

আরো পড়ুনঃ ব্রকলি খাওয়ার নিয়ম, পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

অতিরিক্ত ওজন কমাতে 

ফুলকপিতে ফাইবার বেশি থাকার ফলে এটি দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে কারণ এটি যেহেতু ফাইবার যুক্ত একটি সবজি তাই খেলে পেট ভরা থাকে ফলে ক্ষুধার উদ্রেক কমায়। ক্ষুধা যত কমবে, ওজন তত নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। 

মস্তিষ্ক ভালো রাখতে 

ফুলকপি যেহেতু ভিটামিন বি ৬ রয়েছে তাই এটি মস্তিষ্কের বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ ঠিক রাখে এবং অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করে। 

হাড়ের ক্ষয় রোধে 

ফুলকপিতে ভিটামিন k থাকায় এটি হাড় গঠনের সাহায্য করে এবং হাড়ের ক্ষয়জনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। 

শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী 

ফুলকপিতে ভিটামিন সি রয়েছে ফলে শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম শক্তিশালী করতে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।

ফুলকপির পুষ্টিগুণ সমূহ 

ফুলকপিতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে যে সকল পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতে সাহায্য করে সে সকল পুষ্টিগুণ ফুলকপিতে রয়েছে। চলুন ফুল কপিতে কি কি পুষ্টিগুণ রয়েছে নিচে ছকের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

পুষ্টি উপাদান পরিমান
row1 col 1 ৪৮.২ মিলিগ্রাম
row2 col 1 ১৫.৫ মাইক্রোগ্রাম (প্রায় ২০%)
row3 col 1 ০.১৮৪ মিলিগ্রাম (প্রায় ১৪%)
ফোলেট ভিটামিন বি ৯ ৫৭ মাইক্রোগ্রাম
row5 col 1 ০.৬৫৩ মিলিগ্রাম
row6 col 1 ২২ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম ২৯৯ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৪৪ মিলিগ্রাম
আয়রন ০.৪২ মিলিগ্রাম
জিঙ্ক প্রায় ৯২%
ক্যালরি ৫ ক্যালরি (প্রতি ১০০ গ্রাম)
প্রোটিন ১.৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট ৪.৯ গ্রাম
ফ্যাট ০.৩ গ্রাম
জলীয় উপাদান প্রায় ৯২%

ফুলকপি খেলে কি গ্যাস হয় 

ফুলকপি খেলে কি গ্যাস হয় এ ধরনের অনেকেরই চিন্তাভাবনা থাকে, তাই তাদের জন্য আজকে আমি আলোচনা করছি। ফুলকপি যেহেতু ফাইবারযুক্ত একটি সবজি এটি অনেক ক্ষেত্রে কিছু মানুষের ফুলকপি খেলে গ্যাস জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মসলা দিয়ে রান্না করার ফলে ফুলকপি খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ১৫ টি টিপস

এছাড়াও ফুলকপিতে সালফার থাকার ফলে এটি গ্যাসের অন্যতম কারণ হতে পারে কারণ সালভার কিছু কিছু মানুষের হজম প্রক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটাতে পারে অর্থাৎ গ্যাসের সমস্যাকে বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও ফুলকপি তে কার্বোহাইড্রেট থাকার ফলে ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। 

গ্যাস প্রতিরোধে ফুলকপি খাওয়ার উপায় 

অতিরিক্ত মসলা অথবা হলুদ ব্যবহার করার ফলে ফুলকপি খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই ফুলকপি রান্নার সময় হালকা সিদ্ধ করে এবং পেঁয়াজ রসুন দিয়ে তেলে ফেলে রান্না করে খেতে পারেন এতে গ্যাস কম হয়। যদি ফুলকপি খাওয়ার ফলে কারো গ্যাস জনিত কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

 আর যদি খেতে চান তাহলে অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও নিয়মিত ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ফুলকপি খাওয়ার সময় অন্য কোন সবজি অথবা মাছ মাংসের সাথে যুক্ত করে রান্না করে খেতে পারেন এতে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ফুলকপি রান্নার সময় আদা, জিরা ব্যবহার করতে পারেন কারণ এ সকল উপাদান গ্যাস কমাতে সাহায্য করে। 

প্রত্যেক মানুষের শরীরে ইমিউনিটি ক্ষমতা সমান নয় ফলে কোন জিনিস খাওয়ার ফলে কারো কারো সমস্যা হতে পারে আবার কারো কারো সমস্যা নাও হতে পারে তাই যদি ফুলকপি খাওয়ার ফলে খুব বেশি সমস্যা হয় বা গ্যাস জনিত কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এছাড়া ফুলকপি খাওয়ার আগে ভালোভাবে রান্না করার ফর্মুলা জেনে নেবেন। 

গর্ভাবস্থায় ফুলকপি খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় ফুলকপি খাওয়ার উপকারিতা প্রচুর। কারণ এ সময় ফুলকপি খেলে গর্ভবতী মায়ের এবং সন্তানের দুজনের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান অর্জিত হয়। কারণ এ সময়ে গর্ভবতী মায়ের অনেক পুষ্টির ঘাটতি থাকে ফলে ফুলকপি খাওয়ার ফলে সে সকল ঘাটতি পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ গর্ভাবস্থায় ফুলকপি খেলে কি কি উপকার হয় দেখে নিন।

ফুলকপির-উপকারিতা-পুষ্টিগুণ

  • গর্ভাবস্থায় ফুলকপি খেলে শিশুর মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ড গঠনে সহায়তা করে থাকে। শিশুর নিউরাল টিউব ডিফেক্ট প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  • ফুলকপিতে ভিটামিন এ থাকার ফলে এটি গর্ভাবস্থায় ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী এবং আয়রনের শোষণে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।
  • গর্ভাবস্থায় ফুলকপি খেলে মায়ের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হয় এবং অনাগত শিশুর হাড় গঠনে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। 
  • ফুলকপিতে ক্যালরি থাকার ফলে গর্ভাবস্থায় মায়েদের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি থেকে প্রতিরোধে সহায়তা করে।
  • ফুলকপিতে ভিটামিন বি ৬ থাকার ফলে শিশুর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান এবং নার্ভার সিস্টেম ও শিশুর দেহের গঠনে বিকাশে সহায়তা করে।
  • গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা খুবই বৃদ্ধি পায় তাই এ ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে ফুলকপি খাওয়া প্রয়োজন। এটি উচ্চ রক্তচাপ এবং খিচুনি কমাতে সাহায্য করে। 
  • ফুলকপি রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে কারণ ফুল কবিতা থাকা আইরন এবং ভিটামিন সি অনুভূতি মায়ের জন্য খুবই উপকারী। 

ফুলকপির অপকারিতা 

ফুলকপির অপকারিতা না জানা থাকলে আজকে আপনাদের সাথে ফুলকপির অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। ফুলকপি এক ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও অনেক ক্ষেত্রে এটি স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। যেকোনো খাবারের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি অপকারিতাও রয়েছে। 

গ্যাস সৃষ্টির সম্ভাবনা 

ফুলকপি ফাইবার যুক্ত এক ধরনের সবজি হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে মানুষের গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ একদিন খেলে সমস্যা নাও হতে পারে প্রতিদিন ফুলকপি খেলে গ্যাস জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন অনেক ক্ষেত্রে পেট ক্ষেপে যাওয়া শরীরে অস্বস্তিবোধ হওয়া এবং হজম শক্তিতে ব্যাঘাত ঘটে।

এলার্জিজনিত সমস্যা 

কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ফুলকপি খাওয়ার ফলে এলার্জিজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে এটা নতুন কিছু সমস্যা নাই অনেকদিন ধরেই এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কারণ অনেকের ফুলকপি খাওয়া সহ্য নাও হতে পারে তাই শরীর চুলকানো এবং বিভিন্ন জায়গায় ফুসকুড়ি অথবা ফোলা ভাব দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট সমস্যা হতে পারে। 

থাইরয়েডের ওপর প্রভাব ফেলা 

ফুলকপি পরিমাণে অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে থাইরয়েড এর হরমোন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ফলে হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি বাড়াতে সাহায্য করে। তাই প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

কিডনিজনিত সমস্যা 

অনেকেই আছেন যারা কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যায় ভুগছেন তারা বিশেষ করে ফুলকপি পরিমাণে কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন পারলে না খাওয়াই ভালো। কারণ অনেক ক্ষেত্রে ফুলকপি পাথরের ঝুঁকি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 

হজমে ব্যাঘাত 

প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফুলকপি খাওয়ার ফলে হজমে ব্যাঘাত করতে পারে ফলে আমাশয়, পেট কামড়ানো ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ১৫ টি তালিকা

রক্ত জমাট বাধা 

ফুলকপিতে ভিটামিন কে পরিমাণে বেশি থাকার ফলে যাদের রক্তে সমস্যা আছে অথবা রক্ত কম অথবা রক্ত বাড়ানোর জন্য ওষুধ সেবন করেন তাদের জন্য ওষুধে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

রান্না করা ফুলকপি কি থাইরয়েডের জন্য ক্ষতিকর 

রান্না করা ফুলকপি কি থাইরয়েডের জন্য ক্ষতিকর এটা আমরা অনেকেই জানিনা তবে আজকে আপনাদের জানাতে সাহায্য করব। রান্না করা ফুলকপি থাইরয়েডের জন্য ক্ষতিকারক না তবে সাবধানতা অর্জন করে খাওয়াটা ভালো।

ফুলকপির-উপকারিতা-পুষ্টিগুণ

  • কাঁচা ফুলকপির চাইতে রান্না করা ফুলকপি থাইরয়েডের জন্য নিরাপদ। 
  • ফুলকপি অতিরিক্ত শিকদার চাইতে হালকা সিদ্ধ করে অথবা ভাপ দিয়ে রান্না করে খেলে এটি থাইরয়েডের উপরে নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সহায়তা করে। 
  • যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তাদের ফুলকপি সীমিত পরিমাণের খাওয়া উপযুক্ত। 
  • ফুলকপি খাওয়ার সঙ্গে মাছ, ডিম ইত্যাদি সুষম খাদ্য খাওয়ার চেষ্টা করুন।
  • ফুলকপি কাঁচা খাওয়ার চাইতে রান্না করে খেলে থাইরয়েডের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অর্থাৎ যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তারা কাঁচা ফুলকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • ফুলকপি খাওয়ার সাথে আয়োডিনযুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। 

শেষ কথাঃ ফুলকপির উপকারিতা পুষ্টিগুণ ও অপকারিতা 

ফুলকপির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ আমাদের জীবনের উপর খুবই প্রভাব ফেলে। কারণ ফুলকপিতে এমন ধরনের কিছু উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী তবে এটি পরিমাণের অতিরিক্ত খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। বর্তমানে ফুলকপি চাষ হয় অনেক সার, কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করে। তাই উপকারের থেকে অপকারিতা আমরা অনেক লক্ষ্য করে থাকি।

তাই অবশেষে বলতে পারি ফুলকপি কাঁচা খাওয়ার চাইতে হালকা সিদ্ধ করে নুডুলস কিংবা পাস্তা অথবা মাছ ডিম ইত্যাদির সাথে যুক্ত করে খেলে এর ক্ষতিকারক প্রভাব অনেক ক্ষেত্রে কমে যাবে। আজকের পোস্টে ফুলকপি খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পেয়ে থাকলে পোস্টটিতে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url