চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারের ১০ উপায়
চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহারের উপায় গুলো জানলে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। কারণ চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার করে আপনার চুলের যত্ন নিতে পারবেন। কারি পাতায় বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
কারি পাতায় প্রোটিন ও এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটি চুল পড়া বন্ধ করে এবং অকালে চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করে থাকে। চুলে কারি পাতা ব্যবহার করলে চুল ঝলমলে এবং সুন্দর দেখায়। চলুন আজকে চুলে কারি পাতা ব্যবহারের ফলে কিভাবে চুলের যত্ন নেওয়া যায় আলোচনা করা যাবে।
সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার
- চুলের যত্নে কারি পাতা ও টক দইয়ের প্যাক ব্যবহার
- কারি পাতা ও নারিকেল তেল ব্যবহারে চুলের যত্ন
- কারে পাতা ও মেথি ব্যবহারে চলে যত্ন
- কারি পাতা ও অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুলের যত্ন
- কারি পাতা ও পেঁয়াজ ব্যবহারে চুলের যত্ন
- কারি পাতা ও গ্লিসারিন ব্যবহারে চুলের যত্ন
- কারি পাতা ও ডিম ব্যবহারে চুলের যত্ন
- কারে পাতা ও মেহেদি পাতা ব্যবহারে চলে যত্ন
- কারি পাতা ও জবা ফুল ব্যবহারে চুলের যত্ন
- কারি পাতা তুলসী পাতা এবং নিম পাতা চুলে ব্যবহার
- শেষ কথাঃ চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতা ও টক দইয়ের প্যাক ব্যবহার
চুলের যত্নে কারি পাতা ও টক দইয়ের প্যাক ব্যবহার করা যায়। চুলে কারিপাতা ব্যবহারের ফলে চুল অনেক উজ্জ্বল এবং সুন্দর দেখায়। একমুঠো পরিমাণ কারিপাতা নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিতে হবে এবং এর সাথে ২ টেবিল চামচ টক দই যুক্ত করে প্যাক বানিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে নিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ফলে চুল অনেক সুন্দর এবং উজ্জ্বল করে তুলবে।
এছাড়াও ১০ থেকে ১৫ টি কারি পাতা এবং দুই থেকে তিন টেবিল চামচ টক দই ও এর সাথে এক চামচ নারিকেল তেল দিলেও হবে না দিলেও হবে, ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিয়ে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। এই প্যাক লাগিয়ে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ মিনিট পর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
আরো পড়ুনঃ ছেলেরা তেতুল খেলে কি হয় তেতুলের পুষ্টিগুণ সমূহ
চুলে কারি পাতা এবং টক দই ব্যবহারের ফলে চুল পড়া অনেক কমে যাবে, চুলে খুশকি থাকলে খুশকি দূর হয়ে যাবে, চুল খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, চুল অনেক উজ্জ্বল দেখাবে এবং চুল অনেক মসৃণ ও নরম হবে। চুলে শ্যাম্পু করার পর আপনি চুলের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এই প্যাকটি আপনি তৈরি করে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
কারি পাতা ও নারিকেল তেল ব্যবহারে চুলের যত্ন
কারি পাতা ও নারিকেল তেল ব্যবহারে চুলের যত্ন সহজে করতে পারবেন। এটি বাড়িতে বসেই প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করে আপনি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। চুলের যত্ন করার জন্য বাইরে থেকে কোন কিছু না কিনে প্রাকৃতিক উপায়ে বাসায় তৈরি করে আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কারিপাতা ও নারিকেল তেল একসাথে যুক্ত করে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
১০ থেকে ১৫ টি কারি পাতা ভালোভাবে ব্লান্ড করে নিবেন। তবে অবশ্যই ব্লান্ড করার আগে পাতাগুলো ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। ভালোভাবে ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে এর সাথে দুই চা চামচের মত নারিকেল তেল চুলাই ফুটিয়ে নিবেন। যখন এটি ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন ভালোভাবে ছেঁকে নিয়ে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন।
২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে দিয়ে ফেলবেন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহারের ফলে, চুলের গোড়া শক্ত এবং অতিরিক্ত নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে থাকে। কারি পাতা ও নারিকেল তেল ব্যবহার করলে চুল পড়া বন্ধ করবে, চুল নরম করতে সাহায্য করবে।
কারি পাতা ও মেথি ব্যবহারে চুলের যত্ন
কারি পাতা ও মেথি ব্যবহারে চুলের যত্ন করলে চুলের গোড়া শক্ত এবং খুশকি দূর করা থেকে শুরু করে চুলের বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। চলুন চুলে কারি পাতা ও মেথি ব্যবহারের পদ্ধতি গুলো আলোচনা করা যাক। প্রথমত এক মুঠো কারি পাতা এবং তিন চা চামচ মেথি বীজ অথবা পরিমাণ মতো মেথি গুঁড়া নিয়ে ভালোভাবে একটি পেস্ট বানিয়ে নিবেন।
যদি মেথি গুড়া না পান তাহলে মেথি বীজ এবং কারি পাতা একসাথে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। কারি পাতার চাইতে মেথি গুরার পরমাণু কম নিবেন কারণ মেথি গুঁড়া পানিতে ভিজালে ফুলে অনেক বেশি হয়ে যায়। ভালোভাবে প্যাক বানিয়ে মাথার ত্বকে এবং চুলে মেসেজ করে লাগিয়ে দেবেন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর মাথা ভালো ভাবে পানি দিয়ে অথবা শ্যাম্পু করে ফেলবেন।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে কালোকেশীর ব্যবহার কেশরাজ পাতার উপকারিতা
কারি পাতা ও মেথি মাথায় ব্যবহার করলেন এটি চুল পড়া অনেক ক্ষেত্রে কমে যায় এবং নতুন চুল বাজাতে সাহায্য করে খুশকি হয় তাহলে খুশকি কমে যাবে। এই প্যাকটি আপনি সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন ব্যবহার করতে পারেন। দিয়ে চুলের যত্ন নিতে চান তারা এভাবে প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
কারি পাতা ও অ্যালোভেরা ব্যবহারে চুলের যত্ন
কারি পাতা ও এলোভেরা ব্যবহারে চুলের যত্ন করে আপনার চুল অনেক সুন্দর এবং মসৃণ নরম করে তুলতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ১০ থেকে ১৫ টি কারি পাতা এবং প্রাকৃতিক এলোভেরা গাছ থেকে এলোভেরা পাতা পাতা নিতে হবে। এলোভেরা পাতা থেকে জেল বের করে কারি পাতা একসাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তারপরে ভালোভাবে প্যাক বানিয়ে নিয়ে মাথা তাকে এবং চুলে লাগিয়ে দিতে হবে।
এ প্যাকটি চুলে লাগানোর পরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর চুল ভালোভাবে দিয়ে পরিষ্কার করে দিতে হবে। এই প্র্যাকটিস চুলে লাগালে চুল অনেক নরম এবং সিল্কি হয়ে যাবে। যারা কারিপাতা এবং অ্যালোভেরা দিয়ে চুলের যত্ন করতে চায় তারা এভাবে প্যাক বানিয়ে তুলে লাগাতে পারেন।
কারি পাতা ও পেঁয়াজ ব্যবহারে চুলের যত্ন
কারি পাতা ও পেঁয়াজ ব্যবহারে চুলের যত্ন করা খুব সহজ। বর্তমানে সবার বাড়িতে পেঁয়াজ থাকে। তাই আপনারা যারা চুলের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন তারা কারি পাতা এবং পেঁয়াজ ব্যবহার করে চলে যত নিতে পারেন। চলুন কারি পাতা ব্যবহার করে কিভাবে চুলের যত্ন নেয়া যায় সে বিষয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করি।
একমুঠো কারি পাতা এবং দুই থেকে তিনটা মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ নিয়ে ভালোভাবে বেটে অথবা ব্লেন্ড করে নিতে হবে। চাইলে এর সাথে মেথি গুঁড়ো যুক্ত করতে পারবেন। ভালোভাবে এই উপকরণগুলো যুক্ত করে পেস্ট বানিয়ে মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন। ৪০ থেকে ৫০ মিনিট পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজ বাটা এবং কারি পাতা একসঙ্গে ব্যবহার ফলে চুল গজাতে সাহায্য করবে। চুল পড়া কমাতে সাহায্য করবে।
কারি পাতা ও গ্লিসারিন ব্যবহারে চুলের যত্ন
কারি পাতা গ্লিসারিন ব্যবহারে চুলের যত্ন অত্যন্ত কার্যকরী ভাবে করা যায়। এটি ব্যবহার করলে চুল শুষ্কতা ও রুক্ষতা থেকে রক্ষা পাবে। চলুন কারি পাতা এবং গ্লিসারিন ব্যবহারে কিভাবে চুলের যত্ন করা যায়।
১০ থেকে ১৫ দিন কারিপাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। ধুয়ে পাতাগুলো থেকে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে তারপর এক কাপ পানিতে নিয়ে কারি পাতাগুলোকে ফুটিয়ে নিতে হবে। ১০ মিনিট ফুটিয়ে নেয়ার পর পানি যখন ঠান্ডা হবে তখন ভালোভাবে ছেকে নিতে হবে। পানি থাকার পরে এর সাথে দুই টেবিল চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে নিতে হবে। এবং সেই মিশ্রণটি একটি স্প্রে বদলে রেখে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন টক দই খাওয়ার বিস্ময়কর উপকারিতা ও সতর্কতা
গোসল করে চুল দোয়ার পরে হালকা ভেজা চুলে এবং মাথার ত্বকে ভালোভাবে মিশ্রণটি স্প্রে করে নিতে হবে। স্প্রে করার পর চুলে ভেতরে আঙ্গুল দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে অর্থাৎ মালিশ করে নিতে হবে। তবে এটি লাগিয়ে রাখার পর চুল ধোয়ার কোন দরকার নাই। চুল ফেটে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। চুল সুন্দর, শুষ্ক এবং উজ্জ্বল দেখাবে। এ প্যাকটি শীতকালে ব্যবহার করতে পারেন। এবং সপ্তাহে দুই তিন দিন ব্যবহার করা যায়।
কারি পাতা ও ডিম ব্যবহারে চুলের যত্ন
কারি পাতা ও ডিম ব্যবহারে চুলের যত্ন করলেন চুল মজবুত এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং প্রোটিন চুলের পুর্ণগঠনে সহায়তা করে থাকে। ডিমে রয়েছে প্রোটিন এবং কারি পাতায় ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটি চুল দ্রুত বৃদ্ধিতে এবং মসৃণ করতে সাহায্য করে।
একমুঠো কারি পাতা ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে ব্ল্যান্ড করে নিতে হবে। তারপর প্ল্যান্ড করা কারী পাতার সাথে একটি ডিম অথবা ডিমের সাদা অংশ ভালোভাবে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তবে অতিরিক্ত হিসেবে টক দই এবং নারিকেল তেল যুক্ত করতে পারেন। সব উপকরণগুলো একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে শুকনা চুলে লাগিয়ে দিতে হবে।
একটি চুলে লাগানোর পর হালকা যখন শুকনো ভাব হবে অর্থাৎ ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পরে আপনি চুলে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। যেহেতু চুলে ডিম ব্যবহার করা হয় সেহেতু চুল শ্যাম্পু করে দিয়ে ফেললে ভালো হয়। শ্যাম্পু করার পর দেখবেন চুল অনেক সুন্দর ঝলমল উজ্জল এবং নরম দেখাবে। এটা সপ্তাহে এক থেকে দুইবার ব্যবহার করতে পারেন।
কারি পাতা ও মেহেদী পাতা ব্যবহারে চুলের যত্ন
কারি পাতা ও মেহেদি পাতা ব্যবহারে চুলের যত্ন করা যায়। প্রথমত কিছু কারি পাতা নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। অবশ্য প্ল্যান করার আগে কারি পাতা ও মেহেদি পাতা পরিষ্কার করে নিতে হবে। এক কাপের মতো মেহেদী পাতা গাছ থেকে তুলে একসাথে ব্লেন্ড করে নিবেন। তবে এর সাথে আপনি অ্যালোভেরা জেল এবং নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।
সকল উপকরণ দিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে পেস্টটি ভালোভাবে মাথার তাকে এবং চুলে মেসেজ করে গড়া থেকে আড়াল পর্যন্ত লাগিয়ে দিবেন। ৫০ থেকে ১ ঘন্টা লাগিয়ে রাখার পরে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে পরিষ্কার করে নিবেন। এই প্যাকটি চুলে ব্যবহারের ফলে চুল অনেক নরম এবং মসৃণ হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে চুল পড়া কমে যায়, চুল দ্রুত বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটা সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
কারি পাতা ও জবা ফুল ব্যবহারে চুলের যত্ন
কারি পাতা ও জবা ফুল ব্যবহারে চুলের যত্নে প্রাকৃতিক ভাবে সাহায্য করে থাকে। এ দুইটি একত্রে করে চুলে ব্যবহার করলে চুল পড়া এবং খুশকি দুটোই অনেক কমে যাবে। কারে পাতা ও জবা ফুল দিয়ে তেল বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। কারি পাতা এবং জবা ফুল দিয়ে প্যাক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করা যায়।
চলুন প্রথমত তেল বানানোর পদ্ধতি আমরা জেনে নেই। পছন্দ করা একি ভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে চাই। ৫০ মিলি নারিকেল তেলে কারি পাতা ও জবা ফুল যুক্ত করে হালকা আছে কিছুক্ষণ চুলাই ফুটিয়ে নিন। তারপর এই দিনটি চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে ভালোভাবে ছেঁকে কোন একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। এই তেলটি পুরো চুলে অথবা চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা ও কিছু সতর্কতা
এছাড়াও কারিপাতা ও জবা ফুল ধুয়ে নিয়ে ভালোভাবে সিল পাটাতে বেটে অথবা ব্লান্ড করে নেবেন। কারিপাতা ও জবা ফুলের মিশ্রণটি মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় এবং সকল চুলে ভালোভাবে মিশিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর চুল ভালোভাবে ভরে দিয়ে ফেলবেন। এ ব্যক্তি চুলে ব্যবহারের ফলে চুল বৃদ্ধি, চুলের খুশকি দূর, এবং উজ্জ্বল চুল, চুলের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
কারি পাতা তুলসী পাতা এবং নিম পাতা চুলে ব্যবহার
কারি পাতা, তুলসী পাতা এবং নিম পাতা চুলে ব্যবহার করলে চুলের আশ্চর্যজনক এক ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়। যেসব এই তিনটি উপাদানে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি-ফাংগাল ও আন্টি- ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য তাই এটি চুল বৃদ্ধি করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে।
১০ থেকে ১৫ টি কারি পাতা, তুলসী পাতা, নিমপাতা নিয়ে ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তখন উপাদান নিয়ে একসাথে ব্লান্ড করে চুলের গোড়ায় এবং সম্পূর্ণ জলে ভালো হবে লাগিয়ে দিন। এরপরে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পরে চুল ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। তবে চাইলে এর সাথে এক থেকে দুই চা চামচ নারিকেল তেল যুক্ত করতে পারেন।
এছাড়াও নিম পাতা, কারি পাতা এবং তুলসী পাতা এক কাপ নারিকেল তেলের সাথে চুলায় হালকা আঁচ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে পারেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নেয়ার পর এই থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে নেবেন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ভালো কাপড়ে অথবা ছাকনি দিয়ে ছেঁকে নিন। তারপর এই তেলটি একটি শুকনা বোতলে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
এটি সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার চুলে লাগাতে পারেন। উপরোক্ত প্যাকটি এবং তেল চুলে ব্যবহারের ফলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, চুল পড়া বন্ধ হবে, চুলে খুশকি দূর হবে, চুলের গোড়া শক্ত করবে।
শেষ কথাঃ চুলের যত্নে কারি পাতা ব্যবহার
অবশেষে আমরা বলতে পারি চুলে কারি পাতা ব্যবহারের ফলে চুল অনেক সুন্দর এবং মসৃণ দেখায়। যারা অতিরিক্ত চুল পড়া বা চুলের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন তারা উপরি উক্ত সকল পদ্ধতি গুলোর মধ্যে যেটি পছন্দ হয় সেটি ব্যবহার করতে পারেন। এবং আপনার চুল ঝলমলে এবং মজবুত করতে তেল এবং প্যাক বানিয়ে চুলের গোড়ায় এবং চুলে মালিশ করে আপনার চুলের উজ্জলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। ছেলে-মেয়ে উভয় এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। আজকের পোষ্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url