কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন ২০২৫ করার পদ্ধতি
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য কানাডিয়ান সরকার ঘোষণা দিয়েছেন। কারণ বর্তমানে কানাডায় প্রায় ১৩-১৪ লাখের মতো কর্মী প্রয়োজন। তাই দুই বছরের জন্য কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন করার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছেন।
বর্তমানে যারা কানাডা যেতে ইচ্ছুক এবং সেখানে গিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাচ্ছেন তারা আজকের এই পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন তাহলে সকল প্রক্রিয়াগুলো বিস্তারিত জানতে পারবেন। কিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কানাডায় যাবেন এ সম্পর্কিত।
সূচিপত্রঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
- যারা আবেদন করতে পারবেন
- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যোগ্যতা
- নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী অফ লেটারের জন্য আবেদন
- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
- কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন
- আবেদন প্রসেসিং সময়
- শেষ কথাঃ কানাডার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার আবেদন
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৫ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট। কারণ কানাডিয়ান সরকার ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে কর্মী নিয়োগ দিতে চলেছেন এবং এটি 2026 সাল পর্যন্ত বহাল রাখবেন। কারণ তাদের অনেক কর্মী সংকট রয়েছে তাই এ সংকট পূরণ করার জন্য তারা বিভিন্নভাবে কর্মী নিয়োগ দিতে চাচ্ছেন। তাই আপনিও যদি এই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করতে চান তাহলে আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ কানাডার ভিজিট ভিসার নিয়ম ও ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম সম্পর্কে বিস্তারিত
কানাডিয়ান সরকার তো বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ্য এর মত কর্মী নিয়োগ দিবেন। তাই আপনিও পারেন এই ১৪ লাখের মধ্যে একজন অভিজ্ঞ কর্মী। কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য কিছু নিয়ম নীতি মেনে আবেদন করতে হবে। তবে সর্বপ্রথম যেটা লাগবে সেটা হচ্ছে আপনার অভিজ্ঞতা আপনি কোন কাজ বেশি ভাল পারেন সে অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে।
যারা আবেদন করতে পারবেন
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য প্রায় সকলেই আবেদন করতে পারবেন তবে এর জন্য কিছু সীমাবদ্ধ বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে। কারা কারা আবেদন করতে পারবে।
- ১৮ বছরের উর্ধ্বে এবং ৬০ বছরের নিচে সকল লোকজন এই কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আবেদন করতে পারবেন।
- এছাড়াও ব্যাংকে যাদের দুই লক্ষ টাকার মত আছে তারা আবেদন করতে পারবেন।
- কানাডায় যারা স্থায়ীভাবে বসবাস করেন তারাও সেই ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যোগ্যতা
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যোগ্যতা অবশ্যই থাকতে হবে। তবে এটা শুনে ঘাবড়ে যাবেন না অতিরিক্ত বা উচ্চশিক্ষিত সার্টিফিকেট লাগবে এরকম কিন্তু নয় আপনি সেখানে গিয়ে এডজাস্ট করতে পারবেন অর্থাৎ তাদের সাথে কমিউনিকেশন করার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু জানলেই চলবে।
- তবে প্রথমত যেটা লাগবে সেটা হচ্ছে অবশ্যই আপনার একটা বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
- ওয়ার্ক পারমিট এপ্লিকেশন অর্থাৎ আপনি যে কোম্পানির হয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানির অনুমোদন পত্র।
- যে কাজের জন্য যাচ্ছেন সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এসএসসি পাস হলেই চলবে।
- LMIA কোড লাগবে। অর্থাৎ কোম্পানির মালিক এই কোডটা দিয়ে থাকেন কারণ LMIA এ কোড ছাড়াই কানাডায় ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় যেতে পারবেন।
- ইংলিশে কনভারসেশন প্রয়োজন কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য। তবে IELTS সার্টিফিকেট প্রয়োজন নেই।
নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী অফার লেটারের জন্য আবেদন
সর্বপ্রথম যেটা করতে হবে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী আপনাকে অফার লেটারের জন্য আবেদন করতে হবে। কারণ অফার লেটার ছাড়া আপনি কানাডায় যেতে পারবেন না। কারণ সর্বপ্রথম আপনি কি অভিজ্ঞতাই কানাডা যেতে চান এটাই মূল বিষয়। নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী অফার লেটার খোঁজার জন্য আপনাকে জব ব্যাংক কানাডা এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ কানাডা ভিসা ফি ফ্রম বাংলাদেশ
এটা কানাডা গভারমেন্ট একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এখানে জব অফার লেটার পাওয়ার জন্য খুবই সুবর্ণ একটি সুযোগ তাই এখানে আপনি আপনার যোগ্যতা নিয়ে জবাব লেটার খুঁজে বের করতে পারবেন খুব সহজেই প্রথম ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পরে সেখানে লেখা থাকবে search jab positions. আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী আপনি সেখানে জব পছন্দ করবেন।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিটের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট লাগবে তার বিস্তারিত একটি আলোচনা নিচে করা হলো ।
- প্রথমত আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন।
- ভিসার জন্য যে আবেদন করেছিলেন সেই আবেদন ফরম।
- সদ্য তুলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পাসপোর্টের কপি অর্থাৎ ফটোকপি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট সর্বনিম্ন ২ লাখ টাকা হলেই চলবে।
- মেডিকেল রিপোর্টস।
- বায়োমেট্রিক ফিঙ্গারপ্রিন্টস এবং ছবি।
- জব অফার লেটার। যে কোম্পানিতে জব করতে চাচ্ছেন সেই কোম্পানি সেটা দিয়ে থাকে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্থাৎ সর্বনিম্ন এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট ফটোকপি।
- ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টের রেজাল্ট অর্থাৎ ইংরেজি ল্যাংগুয়েজ টেস্টের রেজাল্ট।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট।
- ফি জমা দেওয়ার রশিদ।
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য অনলাইন আবেদন
কানাডা অর্পণ ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করার জন্য অফিসের ওয়েবসাইট IRCC এখানে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার জন্য যে সকল ধাপ অবলম্বন করতে হবে।
- প্রথমত আইআরসিসি একাউন্ট খুলতে হবে।
- আবেদন ফরম সম্পূর্ণভাবে সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- সকল ডকুমেন্ট আপলোড করতে হবে।
- কি পরিশোধ করতে হবে।
- বায়োমেট্রিক তথ্য চাইলে দিতে হবে।
- সকল কিছু পূরণ করা হলে সাবমিট করতে হবে।
আবেদন প্রসেসিং সময়
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সফল হলে এটি প্রসেসিং হতে বেশ কিছু সময় লাগে। অর্থাৎ আইআরসিসি এটি তদারকি করে থাকেন। ভিসা আবেদনের পর প্রসেসিং হতে প্রায় কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে। অর্থাৎ তিন থেকে চার মাস সময় লাগতে পারে। এরপর যখন আপনি ভিসা পেয়ে যাবেন তখন আপনি বিমানের জন্য টিকিট কাটবেন।
শেষ কথাঃ কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন
কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করা বর্তমানে সহজ। কারণ সকল কিছু অনলাইনেই করতে হয় এবং চাইলে আপনি নিজে নিজেই সেটা করতে পারবেন ঘরে বসেই। এছাড়াও অনলাইনে বাইরে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে করে নিতে পারেন। যেহেতু কানাডিয়ান সরকার প্রায় কয়েক ১৪ লাখ এর মত কর্মী নিবেন এর জন্য যাদের যোগ্যতা আছে তারা অবশ্যই আবেদন করতে পারেন।
কানাডা ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে আরো তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে কানাডা ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য আছে সেগুলো আপনি দেখতে পারেন। এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের সাথে থাকুন এবং ভালো লেগে থাকলে কমেন্টে জানাবেন ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url