সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় ১০ টি কার্যকরী উপায়

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় এ ধরনের প্রশ্ন অনেকের মনেই হয়ে থাকে কারণ যারা  স্বাস্থ্য হীনতায় ভুগেন তাদের মনে এ সকল প্রশ্ন প্রতিনিয়ত জেগে ওঠে। শুধু সকালে খালি পেটে খেলেই যে মোটা হওয়া যায় তা কিন্তু নয়। মোটা হওয়ার জন্য অনেক টিপস এবং ট্রিকস মেনে চলতে হয়।

সকালে-খালি-পেটে-কি-খেলে-মোটা-হওয়া

যারা অনেক চেষ্টা করেও মোটা হতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই পোস্টে আলোচনা করব কিভাবে খেলে এবং কি ধরনের খাবার খেলে খুব সহজেই মোটা হওয়া যায় এবং ওজন বৃদ্ধি করা যায়। খালি পেটে দুধ খেলে কি মোটা হওয়া যায়? 

পোস্ট সূচীপত্রঃ সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় 

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় 

সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় আজ এ সকল আলোচনা  আপনাদের সাথে শেয়ার করব। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমে এক গ্লাস পানি পান করবেন।

  • পাঁচ থেকে ছয়টা খেজুর খেতে পারেন কারণ খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে এবং এটি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। 
  • সকালে খালি পেটে মধু খেলেও যেমন উপকার আছে তেমনি আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
  •  সকালে পরোটা কিংবা আলুর ভর্তা সাথে ঘি দিয়ে খেতে পারেন। 
  • রুটি সাথে বাটার দিয়ে খেতে পারেন এতে ওজন বৃদ্ধিতে অনেক ভূমিকা রাখবে।
  • সকালে একটা ডিম সেদ্ধ করে হালকা ঘি, সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে ভেজে খেতে পারেন।
  • ডিমের অমলেট বানিয়ে খেতে পারেন।
  • জেলি দিয়ে পাউরুটি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায়
  • মাখন দিয়ে রুটি খেলে ওজন বৃদ্ধি পায় 
  • বিভিন্ন ধরনের ওডস পাওয়া যায় সেগুলো খেতে পারেন।
  • সকালে খালি পেটে কাঁচা ছোলা কার ফলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়।
  • ওজন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবার এবং ক্যালরিযুক্ত, কার্বোহাইড্রেট চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এ সকল কিছু খেলে খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়।

মোটা না হওয়ার কারণ কি হতে পারে 

মোটা না হওয়ার কারণ কি হতে পারে এ নিয়ে অনেকের মানে অনেক ধরনের সংশয় দেখা দেয়। তারা চিন্তা করে সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় কিন্তু সঠিক কারণ তারা বুঝতে পারে না। মোটা হওয়ার জন্য শুধু সকালেই খাওয়ার প্রয়োজন এ ধরনের চিন্তা করা উচিত নয়। মোটা না হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। স্বাস্থ্য হীনতায় যারা ভুগেন তাদের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থাকতে পারে  হরমোন গত, শারীরিক, মানসিক, জেনেটিক্স, হিমোগ্লোবিন কম, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি।

হরমোনাল ইমব্যালেন্স মোটা না হওয়ার কারণ

হরমোনাল  ইমব্যালেন্স মোটা না হওয়ার কারণ হতে পারে। হরমোনাল কোন সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো হবে না। প্রত্যেকটা মানুষের শরীরে বিভিন্ন ধরনের অঙ্গের বিভিন্ন ধরনের হরমোন  থাকে শরীরের গ্রোথের জন্য যেই হরমোন সেই হরমোন যদি ঘাটতি থাকে আপনার শরীরে তাহলে আপনি ওজন হীনতায় ভুগতে পারেন। 

শারীরিক দুর্বলতা মোটা না হওয়ার কারণ 

শারীরিক দুর্বলতা মোটা না হওয়ার একটি বিশেষ কারণ হতে পারে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই আমরা শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকি যেমন অল্পতেই ক্লান্তি বোধ করি ঘনঘন ঠান্ডা লাগা বা জ্বর হওয়া ইত্যাদি এ সকল কারণেও মোটা না হওয়ার কারণ হতে পারে। 

মানসিক চাপের কারণে মোটা না হওয়া 

মানসিক চাপ অনেক ক্ষেত্রে আমাদের শরীরে বিপাক ক্রিয়াতে ব্যাঘাত ঘটায়। অর্থাৎ বিপাকক্রিয়া বলতে হজম শক্তি কমে যায়, কমে গেলে স্বাস্থ্যহীনতা লক্ষ্য করা যায়। অর্থাৎ কোনরকম দুশ্চিন্তা থাকলে এবং একটিভ না থাকলে এ ধরনের সমস্যা দেখা যায়। 

আরো পরুনঃ পেয়ারা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত বিষয়ে জেনে নিন

মোটা না হওয়ার কারণ নিদ্রাহীনতা 

মোটা না হওয়ার বিশেষ একটা কারণ হতে পারে নিদ্রাহীনতা। কারণ অনেক ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার ফলে এবং মানসিক চাপের ফলে ঘুম কম হয়ে থাকে মোটা না হওয়ার এটা এক ধরনের কারণ হতে পারে। কারণ পরিমিত না ঘুমালে স্বাস্থ্য ভালো হয় না। মোটা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। 

পরিমিত খাবার পানি খাওয়া 

পরিমিত খাবার পানি না খেলে স্বাস্থ্যহীনতা বেড়ে যায়। শরীরের বিপাক ক্রিয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। আর ওজন বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই আমাদের পানি খাওয়ার প্রয়োজন। 

পুষ্টিহীন খাবার খাওয়ার ফলে মোটা না হওয়ার কারণ 

পুষ্টিহীন খাবার খাওয়ার ফলে মোটা নাও হতে পারেন। কারণ যে সকল খাবারে পুষ্টি নেই সে সকল খাবার খেলে আপনি কোনদিনও স্বাস্থ্য মোটা করতে পারবেন না। তাই শারীরিক বিকাশের জন্য পুষ্টি যুক্ত খাবার খেতে হবে।

ক্ষুধামন্দা মোটা না হওয়ার কারণ 

ক্ষুধা মন্দা মোটা না হওয়ার একটি বড় সমস্যা। কারণ যাদের ক্ষুধা কম লাগে এবং খাবারের প্রতি অরুচি হয় সে সকল মানুষ ওজন বৃদ্ধিতে অক্ষম হবেন। এজন্য রুচি বৃদ্ধি হয় এ ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। 

জেনেটিক্স গত সমস্যা আমি মোটা না হওয়ার কারণ 

জেনেটিক্স কত সমস্যা থাকলে আপনি পর্যাপ্ত খাবার খেলেও এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরও মোটা হতে অক্ষম হবে না। জিনগত অনেক সমস্যা থাকে যেগুলো মোটা না হওয়ার বিশেষ কারণ হয়ে থাকে। উপরের এ সকল বিষয়গুলোর সাথেই আমাদের স্বাস্থ্য বিশেষভাবে জড়িত তাই উপরের এ সকল কিছু খেয়াল রেখে স্বাস্থ্য মোটা এবং ওজন বৃদ্ধি করা যায়। প্রয়োজনে আপনি ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

সকালের নাস্তায় কি খেলে মোটা হওয়া যায় 

সকালের নাস্তায় কি খেলে মোটা হওয়া যায় চলুন এ বিষয়ে আলোচনা করা যাক। সকালের নাস্তায় যে খাবারগুলো যুক্ত করতে পারেন ওজন বাড়ানো ও মোটা হওয়ার জন্য সেগুলো হলো, 

ডিমঃ ডিমে ভিটামিন A থাকার ফলে এটি চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডিমে ভিটামিন B2 আছে যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং জিংক ও আছে যা রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া ডিমে অনেক মিনারেল, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার যা সকল খাবারের সাথে খাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে একটা করে ডিম সেদ্ধ খেয়ে নিলে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

কলাঃ সকালে খালি পেটে কলা খেলে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। কলাতে ভিটামিন B6 থাকার ফলে এটি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তাছাড়া একটি পাকা কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। কলাতে পরিমিত ফাইবার থাকার ফলে এটি হজমে সহায়তা করে। কলা হাটের ঝুঁকি কমায়। কলা খুব কম সময়ে কম দামে যেখানে সেখানে সারা বছর পাওয়া যায় তাই ওজন বৃদ্ধির জন্য সকালে এক থেকে দুইটা পাকা কলা খেতে পারেন।

দুধঃ দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম আছে যা হাড় গঠনে সহায়তা করে। তাছাড়া আমাদের শরীরের জন্য যে সকল পুষ্টির গুণ দরকার তার বেশিরভাগই দুধের মধ্যে বিদ্যমান থাকে। দুধে ভিটামিন বি ১২ থাকার ফলে এটি রক্ত তৈরিতে সহায়তা করে। তাছাড়া আমরা দুধকে আদর্শ খাবার হিসেবে জানি। দুধ খাওয়ার সুবিধা হল সকল খাবারের সাথে এক কাপ বা এক গ্লাস দুধ অনায়াসেই খাওয়া যায়। মোটা হওয়ার জন্য দুধ উপযুক্ত খাবার।

দুপুরের খাবারে কি খেলে মোটা হওয়া যায় 

দুপুরের খাবারে কি খেলে মোটা হওয়া যায় চলুন এবার দেখে নেয়া যাক। মোটা হওয়ার জন্য এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য দুপুরের খাওয়াটা সবচাইতে উপযুক্ত একটা সময়। সময় মত দুপুরে খাবার খেলে অনেক ক্ষেত্রে  ওজনহীনতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। দুপুরের খাবারে যে সকল খাবার রাখলে খুব সহজেই মোটা হওয়া যায় সেগুলো হলো-

গরুর মাংস খাসির মাংস

গরুর মাংস খাসির মাংস প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন খেতে হবে। তবে অধিক পরিমাণে খাওয়া যাবেনা কারণ এ সকল খাবারে প্রচুর পরিমাণে চর্বি আছে যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 

ডাল

দুপুরের খাবারে ডাল রাখাটা প্রয়োজন। কারণ ডালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ আছে। তবে পাতলা ডালের থেকে ঘনডাল খেলে খুব দ্রুত মোটা হওয়া যায়। ডাল কে আমরা অনেকে গুরুত্ব দেই না কিন্তু এই ডাল আমাদের মোটা হওয়ার জন্য এবং ওজন বৃদ্ধির জন্য উপযুক্ত। ডাল এক ধরনের প্রিবায়োটিক খাবার হিসেবে পরিচিত। 

সকালে-খালি-পেটে-কি-খেলে-মোটা-হওয়া

ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তবে গরুর মাংস কিংবা খাসি মাংস প্রোটিন থাকে তবে ডালে চর্বি থাকে না গরুর মাংস এবং খাসির মাংস চর্বি থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া ডালে পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি ধরনের পুষ্টি থাকে।

টক দই অথবা মিষ্টি দই 

দুপুরে খাবার খাওয়ার পর টক দই খেতে পারেন। টক দই অনেক জীবাণু আছে। তবে টক দই খাওয়ার ফলে সেই জীবাণু পেটে ভেতরে ঢুকিয়ে এবং পেটের ভিতরে যেই খারাপ জীবাণুগুলো আছে সেগুলো টক দই খাওয়ার ফলে পেটের ভিতর ক্ষতিকর জীবনে ধ্বংস করবে।

আরো পরুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় ও নিয়মাবলী

মিষ্টি দই ও খাওয়া যায়। যারা অধিক পাতলা জনিত সমস্যাই ভুগছেন তারা মিষ্টি দই খেতে পারেন তবে পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে অধিক পরিমাণ খাওয়া যাবে না। কারণ মিষ্টি দই এ চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। বেশি খেলে শরীরের চর্বির বেড়ে যেতে পারে শরীরের জন্য ক্ষতিকর ।

মুরগির মাংস

দুপুরের খাবারে মুরগির মাংস খেতে পারেন। মোটা হওয়ার জন্য অনেকের গরুর মাংস এবং খাসি মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে তবে এ সকল মাংস খাওয়ার চাইতে মুরগির মাংস খাওয়াটা সবচাইতে ভালো হবে। গরুর মাংস খাসি মাংসে চর্বির পরিমাণ বেশি মুরগির মাংসে কম থাকে। 

রাতের খাবারে কি খেলে মোটা হওয়া যায় 

রাতের খাবারে কি খেলে মোটা হওয়া যায়? চলুন এবার দেখে নেয়া যাক। মুরগির মাংস, ডাল, দুধ খেতে পারেন। তবে ভাতের সাথে মাছ অথবা ডিমও খেতে পারেন। রাতের খাবারের সাথে পাউরুটি কিংবা সেদ্ধ রুটি খেতে পারেন মাংস দিয়ে। হ্যাঁ গরু এবং খাসির মাংস খেতে পারেন তবে পরিমাণে কম খেতে হবে। মোটা হওয়ার জন্য এ সকল কিছু খেলে চর্বি বেড়ে যেতে পারে। 

তাছাড়া রুটির সাথে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি খেতে পারেন। দুধ দিয়ে রুটি, কলা দিয়ে রুটি, ছোট মাছ, বড় মাছ বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পারেন। তাছাড়া নুডুলস, পাস্তা অথবা স্যুপ, তন্দুরি রুটি জাতীয় খাবার খেতে পারেন। সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় শুধু এই বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে হবে না সকাল দুপুর রাত ৩ সময়ে পরিমিত খাবার গ্রহণ করতে হবে। 

বাদাম খেলে কি মোটা হওয়া যায় 

বাদাম খেলে কি মোটা হওয়া যায় আমরা এ বিষয়ে অনেকেই জানিনা। তবে অবশ্যই বাদাম খেলে মোটা এবং ওজন বৃদ্ধি করা যায়। মোটা হওয়ার জন্য আপনি যেকোনো ধরনের বাদাম খেতে পারেন কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, চীনা বাদাম, পেস্তা বাদাম হানি নাটস ইত্যাদি। বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। বাদামে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন সকল কিছু রয়েছে।

বাদাম কেউ এক ধরনের প্রিবায়োটিক খাবার বলা হয়। যার ফলে পেটের নাড়িভুড়ির  উপকারী জীবাণু সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ওজন বৃদ্ধির জন্য নাস্তা হিসেবে বাদাম অথবা দুপুরে, সকালে খাওয়ার পরে বাদাম খেতে পারেন। বাদামের সাথে মধু অথবা কিসমিস মিশিয়ে খেতে পারেন মোটা হওয়ার জন্য এটি অনেক উপকারী। 

মোটা হওয়ার জন্য মিল্কশেক বানিয়ে খাওয়া 

মোটা হওয়ার জন্য মিল শেক বানিয়ে খাওয়া যায়। আচ্ছা অনেকেই হয়তো জানে না যে মিল্কশেক কি কিভাবে খেতে হয়? মিল্কশেক এক ধরনের জুস জাতীয় খাবার। অর্থাৎ দুধের সাথে কলা এবং কোন ফ্লেভার মিশিয়ে খাওয়া। মিল্কশেক জাতীয় খাবার তাই এ ধরনের খাবার খেলে খুব দ্রুত ওজন বাড়ে এবং মোটা হওয়া যায়। 

মিল্কশেক আরো অন্যান্যভাবে বানানো যায় যেমন আপেল, লিকুইড দুধ, গুড়া দুধ, কলা ইত্যাদি একসাথে মিশিয়ে এভাবে খাওয়া যায়। দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য এই মিল কার্যকরী। পুডিং, ডিম, দুধ, কলা দিয়ে কাস্টার্ড বানিয়ে খেতে পারেন। এসবের দ্রুত ওজন বেড়ে যায়।

খাবারের সাথে বীজ যুক্ত করে ওজন বাড়ানো 

খাওয়ার সাথে বিষযুক্ত করে ওজন বাড়ানো একটি ভালো উপায়। অনেক ধরনের ফলের বীজ আছে যেগুলো খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে অতি অল্প সময়ে ওজন বৃদ্ধি পায়। যে সকল বীজ যুক্ত করা যায় সেগুলো হল-

  • মিষ্টি কুমড়ার বিচি 
  • তিসির বিচি 
  • সূর্যমুখির বিচি 
  • তিলের বিচি 
  • চাল কুমড়ার বিচি

এ সকল বীজ খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। ভাত খাওয়ার সময় এ সকল বীজ ছিটিয়ে মেখে খেতে পারেন। এ সকল বীজে অনেক পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ফিজিক্যাল একটিভিটি ঠিক রাখা 

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিমিত খাবার খাওয়ার ফলেও মোটা হওয়া যায় না। এর বিশেষ কারণ থাকতে পারে যেমন আপনি ফিজিক্যাল যে অ্যাক্টিভিটি গুলো আছে সেগুলো মেন্টেন করেন না। কারণ প্রতিদিন পরিমিত খাওয়ার সাথে সাথে এক্সারসাইজ করতে হবে। প্রতিদিন ২০ মিনিট থেকে আধাঘন্টা হাটা অথবা সাইক্লিন করা, জিম করা ইত্যাদি। পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়াম করা প্রয়োজন।

সকালে-খালি-পেটে-কি-খেলে-মোটা-হওয়া

মোটা হওয়ার জন্য আরেকটু উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো। সারাদিনের পরিশ্রমে রাতে ভালোভাবে ঘুম না হলে এবং ক্লান্তি হতে থাকলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। এর জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। নিয়মিত যদি আপনি ৮ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো যায় তাহলে দ্রুত মোটা হওয়া যায় এবং ওজন বৃদ্ধি পায়।

কোন খাবারে কি পরিমাণ ক্যালরি থাকে 

কোন খাবারে কি পরিমান ক্যালরি থাকে চলুন এবার এ সকল বিষয়ে জেনে নেয়া যাক। বিভিন্ন ধরনের খাবারের বিভিন্ন ধরনের ক্যালরি বিদ্যমান থাকে। তবে কত গ্রাম খাবারে কি পরিমান ক্যালরি থাকে এটি আলোচনা করা যাক।

ক্রমিক নং খাবারের তালিকা পরিমান
১। ১ টি ডিম ৭১.৫ ক্যালোরি
২। ১ টি মাঝারি কলা ১০৫ ক্যালোরি
৩। ১ কাপ দুধ (২৪৪ গ্রাম) ১৪৬ ক্যালোরি
৪। খেজুর (১০০ গ্রাম) ২৭৭ ক্যালোরি
৫। রান্না করা ডাল (১৯৮ গ্রাম) ২৩০ ক্যালোরি
৬। মুরগির মাংস (১০০ গ্রাম) ১৭৯ ক্যালোরি
৭। ১ কাপ টক দই (২৪৫ গ্রাম) ১৪৯ ক্যালোরি
৮। কাজুবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) ১৫৭ ক্যালোরি
৯। কাঠবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) ১৬৪ ক্যালোরি
১০। চিনাবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) ১৬১ ক্যালোরি
১১। পেস্তাবাদাম (২৮.৩৫ গ্রাম) ১৫৯ ক্যালোরি
১২। কিসমিস (২৮.৩৫ গ্রাম) ৮৪.৮ ক্যালোরি
১৩। মিষ্টিকুমড়ার বিচি (২৮.৩৫ গ্রাম) ১৬৩ ক্যালোরি
১৪। সূর্যমুখীর বিচি (২৮.৩৫ গ্রাম) ১৭৫ ক্যালোরি
১৫। তিলের বিচি (২৮.৩৫ গ্রাম) ১৬১ ক্যালোরি

প্রতিদিন কতবার খেলে সহজে মোটা হওয়া যায়

প্রতিদিন কতবার খেলে সহজে মোটা হওয়া যায় এ ধরনের চিন্তা ভাবনা অনেকের হয়ে থাকে। যারা এ সকল চিন্তা ভাবনা করে থাকেন তাদের জন্য বলছি ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যারা অতিরিক্ত চিকন এবং রুচি কম, হিমোগ্লোবিন কম এবং ভাবে দুর্বল তাদের দিনে ছয়বার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। 

আমাদের তো প্রতিদিনই তিন বেলা খেতেই হয় তার সাথে আরও তিনবার খেতে হবে চলুন দেখে দেওয়ানা আর কোন দিন ভালো অতিরিক্ত খাওয়া যায়। যদিও প্রায় কম-বেশি টুকটাক খেয়েই থাকে। তবে চিকিৎসা করে বলে থাকেন সকালের নাস্তার পরে অর্থাৎ দুপুর বারোটার দিকে হালকা পরিমানে কিছু খাওয়া। 

তারপরে দুপুরে ঘুমানোর পরে ঘুম থেকে উঠে কিছু খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সন্ধ্যার পরে অর্থাৎ মাগরিবের আজানের পরে হালকা পরিমানে কিছু নাস্তা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর তাছাড়া রাতের খাবার তো আছেই। এ ধরনের নিয়ম করে প্রতিদিন ছয় বেলা খেলে খুব দ্রুত মোটা হওয়া এবং ওজন বৃদ্ধিতে আপনি সফলতা হবেন। এই সময় গুলোতে আপনি হালকা পরিমানে কিছু ফলমূল খেতে পারেন।

 ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায়

ফাস্টফুড জাতীয় খাবার খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে তবে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে যেন শারীরিক কোন সমস্যা না হয়। ফাস্টফুডে ও অতিরিক্ত পরিমাণে তেল চর্বি এবং ফ্যাট থাকে এজন্য  খুব দ্রুতই মোটা হওয়া যায়। তবে সেগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। প্রতিদিন খাওয়ার ফলে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।  

প্রতিদিন আপনি নিয়ম করে অল্প পরিমাণে ফাস্টফুড খেতে পারেন যেমন বার্গার পিজ্জা, স্যান্ডউইচ, কেক এ খাবার গুলোতে মেয়োনিজ থাকায় খুব দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায় এবং মোটা হওয়া যায়। শরীরের প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেলে সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হবে । তাছাড়া দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য আমিষ প্রোটিন ভিটামিন জাতীয় খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে। 

শেষ কথাঃ কি খেলে মোটা হওয়া যায় 

পরিশেষে বলা যাই আপনারা যারা সকালে খালি পেটে কি খেলে মোটা হওয়া যায় এরকম চিন্তাই আছেন তারা উপরের নিয়ম অনুযায়ী খাবার খেয়ে থাকেন দেখবেন খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন। বার্গার, পেস্ট্রি আইসক্রিম ইত্যাদি এই সকল বাইরের খাবারগুলো খেতে পারেন। বাইরের খাবারগুলোতে খুবই দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। তবে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না এসব কিছু খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। 

বেশি বেশি ঘুমান পুষ্টিকর এবং  ক্যালোরি যুক্ত খাবার খান নিয়মিত দুধ, ডিম, মধু খেলে দ্রুত মোটা হতে পারবেন। আশা করি আজকের আলোচনায় আপনারা যারা কিভাবে মোটা হওয়া যায় এ ধরনের চিন্তায় বুঝেছেন তারা একটু হলেও এ পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছে। উপরে উল্লেখিত নিয়ম গুলো মেনে চলাফেরা এবং খাওয়া দাওয়া করলে সহজেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবেন ধন্যবাদ সকলকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url