ব্রকলি খাওয়ার নিয়ম, পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

ব্রকলি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে এখন প্রায় সকালেই জানে কারণ ব্রকলি এমন একটা সবজি যা শীতকালে পাওয়া যায় এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ ভিটামিন ইত্যাদি ভরপুর শরীরের জন্য খুবই উপকারী চলুন ব্রকলি খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানানো যাক ।

ব্রকলি-খাওয়ার-নিয়ম

ব্রকলি এক ধরনের ফুলকপি মতো দেখতে তবে এটি দেখতে সবুজ হয়ে থাকে এখন অনেকেই আছে যারা ব্রকলি চেনে না কারণ এটি আমাদের দেশে ফলন খুব কম হয় তবে কৃষি বিকাশের সাথে সাথে এখন বিভিন্ন ধরনের বিদেশে সবজি আমাদের দেশে চাষ করা হয়। 

পোষ্ট সূচিপত্রঃ ব্রকলি খাওয়ার নিয়ম 

ব্রকলি খাওয়ার নিয়ম 

ব্রকলি খাওয়ার নিয়ম অবশ্যই আছে কারণ এটি একটি সবজি এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। ব্রকলি সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। ব্রোকলি ক্রয় করে আনার পর অবশ্যই এটা ভালোভাবে পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে প্রয়োজনে পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এর মধ্যে যে সকল ময়লা আবর্জনা থাকে সেগুলো সুন্দরভাবে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

  • ব্রকলি রান্না করেও খাওয়া যায়। এটিকে হাল্কা তাপের সিদ্ধ করে এবং একটু সময় নিয়ে রান্না করতে হয় বেশি তাপে রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাবে। 
  • ব্রকলি হালকা সিদ্ধ করে ভাজি করে খাওয়া যাবে। 
  • তাছাড়া ব্রোকলি কাঁচা অবস্থাতে খাওয়া যায় তবে এর সাথে শশা, গাজর, টমেটো, ধনেপাতা মিস করে সালাত বানিয়ে খাওয়া যাবে।
  • ব্রোকলি রান্না করার সময় অতিরিক্ত মসলা দেয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ অতিরিক্ত মসলা এর পুষ্টিগুণ নষ্ট করে দেয়।
  • তাছাড়া ব্রকলি হালকা সিদ্ধ করে নুডুলস, পাস্তা এর সাথে যুক্ত করে খেতে পারেন।

ব্রকলিতে যে সকল পুষ্টি উপাদান রয়েছে 

বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে এর মধ্যে ফাইবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা জানি আস যুক্ত ফল অথবা সবজিতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। চলুন প্রকৃতিতে কোন কোন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা দেখা যাক।

head 1 head 2 head 3
১। ভিটামিন C ৮৯.২ মিলিগ্রাম
২। ভিটামিন K ১০১.৬ মাইক্রোগ্রাম
৩। ভিটামিন E ০.৭৮ মিলিগ্রাম
৪। ভিটামিন A ৬২২ IU
৫। ফসফরাস ৬৬ মিলিগ্রাম
৬। প্রোটিন ২.৪ গ্রাম
৭। ক্যালোরি ৩৫ ক্যালোরি
৮। ফ্যাট (চর্বি) ০.৪ গ্রাম
৯। জলীয় অংশ ৮৯.৩ গ্রাম
১০। ফাইবার ৩.৩ গ্রাম
১১। কার্বোহাইড্রেট ৭ গ্রাম
১২ ক্যালসিয়াম ৪৭ মিলিগ্রাম
১৩। পটাসিয়াম ৩১৬ মিলিগ্রাম
১৪। আয়রন ০.৭৩ মিলিগ্রাম
১৫। ম্যাগনেসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম
১৬। জিঙ্ক ০.৪১ মিলিগ্রাম

ব্রুকলি খাওয়ার সময় ও নিয়ম 

ব্রকলি খাওয়ার সময় ও নিয়ম জানা অত্যন্ত জরুরী। ব্রকলি যেহেতু ফাইবার যুক্ত একটি সবজি এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। প্রতিদিন এক থেকে দুই কাপ ব্রকলি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দুপুরে এবং রাতে খাবারের সাথে ব্রকলি রাখতে পারেন। তবে রাতে চাইতে দুপুরে খাওয়াটা বেশি ভালো। যারা শরীরের অতিরিক্ত মেদ এবং চর্বি কমাতে চান তারা সকালে ব্রকলি হালকা সিদ্ধ করে এবং এর সাথে অল্প পরিমাণে লবণ দিয়ে খেতে পারেন।

ব্রকলি খাওয়ার উপকারিতা 

ব্রোকলি খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ব্রোকলিতে যেহেতু বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ভরপুর হয়েছে তাই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থেকে মুক্ত করে। ব্রকলি খাওয়ার প্রধান উপকারিতা সমূহ নিজে উল্লেখ করা হলো। 

ওজন কমাতে সাহায্য 

ব্রুকলিতে ফাইবার থাকার ফলে এটি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা অতিরিক্ত মোটা এবং অতিরিক্ত ওজন নেতাদের দ্বারা ব্রুকলি খেতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে ১৫ টি টিপস

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্রকলি খুবই উপকারী কারণ ভিটামিন সি থাকায় এতে খুব দ্রুত ঠান্ডা এবং জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।  

হৃদ যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে

ব্রুকলি দ্রুত হার্ট অ্যাটাক এবং রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। যেহেতু এতে ফাইবার এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তাই রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে 

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে প্রকলি খুবই উপকারী একটি খাবার। কারণ বিভিন্ন কারণের ক্যান্সারের কোর্স গুলো সৃষ্টি হয়ে থাকে যেটা আমরা বুঝতে পারি না কিন্তু ব্রকলি খাওয়ার ফলে সে সকল ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টিকারী জীবাণু প্রতিরোধে সাহায্য করে।  

হাড় গঠনে 

হাড় গঠনে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে ব্রকলি। কারণ এতে ভিটামিন কে এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হার মজবুত এবং গঠনে সহযোগিতা করে। 

হজম শক্তি উন্নত করতে 

হজম শক্তি উন্নত করতে প্রফুলের কোন তুলনা হয় না। কারণ যাদের খাবার দ্রুত হজম হয় না তাদের জন্য ব্রকলি খুবই উপকারী কারণ ব্রকলিতে ফাইবার থাকার ফলে এটি দ্রুত হজম শক্তি উন্নত এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহযোগিতা করে। তাছাড়া এটি অন্তরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভালো সাহায্য করে থাকে। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে ব্রুকলি খুবই কার্যকর ভূমিকা পালন করে। কারণ এতে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাতে সহযোগিতা করে ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকার। 

ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে পুরো কলি খুবই উপকারী। বর্তমানে আমাদের খাদ্য অভ্যাস চেঞ্জ হওয়ার ফলে তবে বিভিন্ন ধরনের দাগ দেখা যায়। তাই এ সকল দাগ মুক্ত ত্বকের জন্য ব্রকলি খাওয়া অত্যন্ত জরুরী।

ব্রকলি-খাওয়ার-নিয়ম
চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে 

রকমই চোখের স্বাস্থ্য দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। যেহেতু প্রকৃতি পেয়ে টাকা রুটিন লুটেন ও জিক্সানথিন আছে তাই এটি দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। বয়সজনীতে বিভিন্ন চোখের সমস্যা দূরীকরণে সাহায্য করে। 

শরীরের প্রদাহ কামাই 

শরীরের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন হাটু ব্যাথা বিভিন্ন ধরনের বাতের ব্যথা দূরীকরণে ব্রকলি খুবই উপকারী। ব্রকলি খাওয়ার পরে এ ধরনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়। 

লিভার পরিষ্কার করতে 

ব্রকলি লিভার পরিষ্কার এবং শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষের শরীর লিভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ যেটা ভালো রাখতে আমরা অনেক কিছু করে থাকি তাই এবার ভালো রাখতে ব্রকলি খাওয়ার কোন তুলনা হয় না।

ব্রোকলি খাওয়ার সময় সতর্কতা 

ব্রকলি খাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। যেমন অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবেনা এবং অতিরিক্ত কাঁচা খেলে পেটের বিভিন্ন ধরনের হজম শক্তিতে ব্যাঘাত করতে পারে। ব্রকলি খাওয়ার সময় যে সকল সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 

  1. প্রথমত ব্রকলি দীর্ঘ সময় ধরে সিদ্ধ করা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ দীর্ঘ সময় সিদ্ধ করলে এর ভিতরে থাকা ভিটামিন সি এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট নষ্ট হয়ে যাবে। 
  2. অনেক ক্ষেত্রে যাদের এলার্জি সমস্যা আছে ব্রকলি খাওয়ার ফলে সেই সমস্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে ফলে তাদের মুখে বা শরীরের ফোলা এবং চুলকাতে পারে এজন্য যাদের এ ধরনের সমস্যা আছে তারা সাবধানতা অবলম্বন করে খাবেন। 
  3. তাছাড়া যাদের থাইরয়েডের সমস্যা আছে তারা ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্রকলি খেতে পারেন কারণ অনেক ক্ষেত্রে ব্রকলি থাইরয়েডের সমস্যা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। 

বাচ্চাদের ব্রোকলি কিভাবে  খাওয়ানো যায় 

বাচ্চাদের ব্রোকলি কিভাবে খাওয়ানো যায় এ নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকতে পারে কারণ বাচ্চারা বেশিরভাগই সবজি খেতে চায় না তাই অন্যভাবে উপস্থাপন করে অন্যান্য সবজির সাথে মিশিয়ে আপনারা বাচ্চাদের ব্রকলি খাওয়াতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ সকালে কলা খাওয়ার উপকারিতা ও এর ১০ টি পুষ্টিগুণ সম্পর্কে

ব্রকলির স্যুপ বানিয়ে 

ব্রোকলের সুপ বানিয়ে খুব সহজে বাচ্চাদের খাওয়ানো যায়। প্রথমত ব্রকলি ছোট ছোট করে টুকরো করে হালকা সিদ্ধ করে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সবজি যেমন গাজর, আলু এবং মাখন, অথবা দুধ দিয়ে সুখ বানিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন।

পাস্তা বা নুডুলস এর সাথে মিশিয়ে 

যেহেতু বাচ্চারা ব্রুকলি খেতে চায় না সেহেতু আপনি নুডুলস অথবা পাস্তার সাথে সেদ্ধ করে এতে টমেটো সস অথবা মজাদার কিছু উপকরণ যুক্ত করে খাওয়াতে পারেন।

ব্রোকোলি ডিমের অমলেট

ব্রকলি ছোট ছোট টুকরো করে ডিমের সাথে মিশিয়ে অমলেট বানিয়ে বাচ্চাদের সামনে পরিবেশন করতে পারেন কারণ এতে ব্রকলির পুষ্টি ডিমের সাথে মিশে তাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। 

পনিরের সাথে ব্রকলি বেকড করে 

ব্রোকলি গ্লুকোজ ছোট ছোট টুকরো করে সেদ্ধ করে এর উপরে পনি র টমেটো সস দিয়ে ওভেনে বেক করে খাওয়াতে পারেন। 

ব্রোকলির প্যানকেক 

যেহেতু বাচ্চারা প্যানকেক খেতে পছন্দ করে তাই প্যানকেকের ব্যাটার এর সাথে ব্রোকলি ছোট টুকরো করে মিশিয়ে চুলাই হালকা আছে প্যানকেক বানিয়ে বাচ্চাদের সামনে পরিবেশন করতে পারেন। 

ব্রকলি বল 

ব্রকলি যেহেতু বাচ্চারা খেতে চায় না তাই ব্রকলির সাথে আলু,মুরগির মাংস, পনির এবং বিভিন্ন ধরনের মসলা মিশিয়ে ছোট ছোট করে বল বানিয়ে সেগুলোকে তেলে ভেজে মজাদার ব্রকলি বল তৈরি করে খাওয়াতে পারেন। 

স্যান্ডউইচ বা রোল বানিয়ে 

ব্রকলি ব্রকলি দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন অর্থাৎ পার্টির ভিতরে পনির মেয়োনিজ টমেটো সস বুড়ো করে ছোট ছোট করে কেটে সিদ্ধ করে স্যান্ডউইচ বানিয়ে দিতে পারেন।

ব্রকলির ডালপালার পুষ্টিগুণ 

ব্রকলির ডালপালা বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। আর এই ব্রকলি ডালপালা সুন্দরভাবে রান্না করে খাওয়া যায় এবং এতে অনেক পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। 

ফাইবারঃ ব্রোকলের ফুলের চাইতে বেশি ফাইবার রয়েছে। তাই ব্রকলি ডালপালা রান্না করে খেলে এটি সহজে হজম এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে তাছাড়া ব্রোকলির ডালপালা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন সিঃ ব্রকলির ডালপালা ভিটামিন সি থাকায় এটি চুল ত্বক এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ থেকে সাহায্য করে। 

পটাশিয়ামঃ ব্রকলি ডালপালায় পটাশিয়াম থাকার ফলে এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।

ব্রকলি-খাওয়ার-নিয়ম

ক্যালসিয়ামঃ ব্রকলির ডাল পালাই ক্যালসিয়াম থাকার ফলে এটি হাত-পায়ে ব্যথা মাজায় ব্যথা বিভিন্ন ধরনের হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা থেকে সমাধান দেয়। 

ক্যালোরিঃ ডাল পালাই ক্যালরি থাকার ফলে এটি দ্রুত ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে। 

আরো পড়ুনঃ পাকা টমেটো খাওয়ার উপকারিতা ও এর কার্যকরী পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ এতে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের উপশম যেমন ক্ষতিকর প্রভাব বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সাহায্য করে। 

ব্রোকলির ডালপালা রান্নার পদ্ধতি 

ব্রকলি ডালপালা রান্না করা যায় বিভিন্ন উপায়ে। চলুন কি কি উপায়ে প্রকৃত ডালপালা রান্না করা যায় আলোচনা করা যাক। 

ডালপালা সেদ্ধ করে অন্যান্য সবজি যেমন ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, মূলা ইত্যাদির সাথে যুক্ত করে রান্না করে খাওয়া যায়।

  • ব্রোকলের ডালপালা হালকা সেদ্ধ করে এর সাথে বেসন চাউলের গুড়া বিভিন্ন ধরনের মসলার গুড়া মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে তেলে ভেজে এক ধরনের পকোড়া বানিয়ে খাওয়া যায়। 
  • ব্রকলির ডালপালা সিদ্ধ করে এর সাথে ফুলকপি বা পাতাকপি সিদ্ধ করে ডালের গুড়া অর্থাৎ ডাল বাটা যুক্ত করে সুন্দর একটা রেসিপি বানিয়ে খাওয়া যায়। 
  • ব্রকলির ডালপালা দিয়ে সুখ বানিয়ে খাওয়া যায়। 
  • নুডুলস বা পাঁচটার ভেতরে ডালপালা ছোট ছোট টুকরো করে সিদ্ধ করে রান্না করে খাওয়া যায়।
  • ব্রকলির ডালপালা টমেটো, শসা এবং গাজর ইত্যাদির সাথে টুকরো করে মিশিয়ে সালাত বানিয়ে খাওয়া যায়।

শেষ কথাঃ ব্রকলি খাওয়ার নিয়ম 

ব্রকলি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় তার মধ্যে উপরে যে সকল আলোচনা করা হলো এ সকল উপায়ে আপনি খেতে পারেন। ব্রকলি যেহেতু একটু কাঁচা কাঁচা মনে হয় তবে এটি সুন্দরভাবে এবং সৃজনশীল উপায়ে রান্না করলে সকলেরই কাছে সুস্বাদু মনে হবে। বয়স্ক বাচ্চা অথবা প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য ব্রোকলি খাওয়া উপকার। 

অবশেষে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পেরেছেন ব্রকলি খেলে কি ধরনের উপকার হয় এবং ব্রকলি কিভাবে রান্না করে বা পদ্ধতি অবলম্বন করে খাওয়া যায়। ব্রকলি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আপনি ফলো করতে পারেন এবং আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url