প্রতিদিন ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা ১৫ টি তালিকা
প্রতিদিন ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজ আলোচনা করব। ধনেপাতা শীতকালীন একটি সবজি অথবা ভেষজ উদ্ভিদ বলা যায়। ধনেপাতা কমবেশি সকলেই পছন্দ করে কিন্তু এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকেরই অজানা।
আপনি যদি ধনেপাতা খেতে পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আপনার জানতে হবে। ধনেপাতা যেহেতু এক ধরনের ভেষজ জাতীয় উদ্ভিদ তাইতো এর উপকারিতা অনেক।
সূচিপত্রঃ ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- প্রতিদিন ধনে পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
- প্রতিদিন ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা
- ধনেপাতা যে সকল পুষ্টিগুণ থাকে
- ধনেপাতার ব্যবহার সম্পর্কিত আলোচনা
- ধনে পাতার অপকারিতা এবং ক্ষতিকারক দিক
- ধনেপাতা সংরক্ষণ করে রাখার কার্যকরী পদ্ধতি সমূহ
- ধনেপাতা চাষের পদ্ধতি
- লিভারের সমস্যা জনিত সমাধানে ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা
- কিডনির সুরক্ষায় ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা
- যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা
- শেষ কথাঃ ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা
প্রতিদিন ধনে পাতার রস খাওয়ার উপকারিতা
প্রতিদিন সকালে ধনেপাতা রস খাওয়ার উপকারিতা অনেক। ধনেপাতা একটি শীতকালীন উদ্ভিদ বা ভেষজ জাতীয় উদ্ভিদ। শীতকাল ছাড়া অন্যান্য সময় এটি খুব কম দেখা যায়। ধনেপাতার রস শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ধনেপাতায় এন্ড এক্সিডেন্ট থাকার কারণে পেটের বিভিন্ন অজৈব পদার্থ নিষ্কাশনে সহায়তা করে। প্রতিদিন ধনেপাতার রস খেলে ব্রেন বৃদ্ধি পায়।
সকালে খালি পেটে ধনেপাতা জুস করে খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হয়। ধনেপাতা ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে এর রস বের করে এর সাথে পরিমাণ মতো লেবু এবং মধু নিয়ে পান করতে পারেন। ধনেপাতা ব্রেনের অতিরিক্ত রক্তচাপ কমায়। ধনেপতা খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় মাই গ্রেনের সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করার ক্ষেত্রে ধনে পাতার খাওয়ার কোন বিকল্প নাই। দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতে অবশ্যই ধনেপাতা খাওয়া উচিত। ধনেপাতার রস খেলে চোখের ঝুঁকি কমায়। ধনেপাতার জুস খাওয়ার ফলে দেহের কোলেস্টে ঠিক রাখে। ধনে পাতার জুস খেলে শরীরের জমে থাকা মেয়েদের কমাতে সাহায্য করে। সুস্থ দেহ গঠনে সহায়তা করে ধনেপাতার রস।
প্রতিদিন ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা
নিয়মিত ধনে পাতা খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। ধনেপাতা এমন এক ধরনের উপকারী ভেষজ উদ্ভিদ যা আমাদের দেহের বিভিন্ন গঠনে এবং পরিপাকতন্ত্রকে সাথে সহায়তা করে। যারা ধনেপাতা খেতে পছন্দ করেন তাদের অবশ্যই ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানা উচিত। চলুন ধন্যবাদ এর উপকারিতা গুলো জানা যাক। যেমন-
- ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা হচ্ছে এটি খাওয়া ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- দেহে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে অর্থাৎ সুগারের পরিমাণ কমায়।
- অতিরিক্ত রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- মেয়েদের বিভিন্ন মাসিকের যন্ত্রণা কমাতে সহায়তা করে।
- অতিরিক্ত সাদা স্রাব নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে।
- যাদের অতিরিক্ত বাতের ব্যথা, ভালোভাবে চলাফেরা করতে পারেন না তাদের বাতের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
- ক্যান্সারের ঝুকি কমাতে সহায়তা করে।
- যারা অতিরিক্ত স্বাস্থ্য এবং ওজন নিয়ে চিন্তিত তাদের দেহের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সহায়তা করে।
- বুক জ্বালাপোড়া কমাতে জাদুকরী উপকারিতা করে থাকে।
ধনেপাতা যে সকল পুষ্টিগুণ থাকে
ধনেপাতায় বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে তার মধ্যে যে সকল পুষ্টিগুণ আমাদের জীবনে প্রয়োজন সে সকল পুষ্টি ধনেপাতা থেকে আমরা লাভ করে থাকি। ধনেপাতায় রয়েছে -
ভিটামিন এ = ১৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন বি = ১২ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সি = ১৫ মিলিগ্রাম
ক্যালসিয়াম = ১৬ মিলিগ্রাম
ফসফরাস = ১৮ মিলিগ্রাম
আয়রন = ০.২ মিলিগ্রাম
ম্যাঙ্গানিজ = ১৭ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম = ১১৮ মিলিগ্রাম
কার্বোহাইড্রেট = ১ গ্রাম
ধনেপাতার ব্যবহার সম্পর্কিত আলোচনা
ধনেপাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এটা আপনারা সবাই কমবেশি জানেন। তবে যারা জানেন না ধনেপাতা কিভাবে খেতে হয় কিভাবে রান্না করতে হয়, কিসের সাথে খেতে হয় তাহলে অবশ্যই তাদের জন্য আজকের এই লেখাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিভাবে ধনেপাতা ব্যবহার করা যায়। ধনেপাতা অনেক রকম ভাবে ব্যবহার করা যায় যেমন
- মাছের ঝোল রান্না করার সময় রান্না শেষ পর্যায়ে ধনেপাতা ভালোভাবে ধুয়ে কুচি করে নিয়ে মাছের জলে ছিটিয়ে দিবেন। এতে মাছের স্বাদ জীবন বৃদ্ধি পায়।
- মাংস রান্নার পর মাংসের সাথে ধনেপাতা দিয়ে খাওয়া যায়।
- সবজি রান্না করার সময় ধনেপাতার ব্যবহার করতে পারেন। যেকোনো ধরনের সবজি রান্নার মাঝে মাঝে পর্যায়ে ধনেপাতা কুচি করে অথবা গোটা ভালোভাবে ধুয়ে সবজির ভেতরে দিয়ে দিতে পারেন।
- ভত্তার সাথে ধনেপাতা খুবই টেস্টি। আলু ভর্তা কিংবা ডালের ভর্তা যে কোনো ধরনের পাতার সাথে কাচা ধনেপাতা কুচি করে খেতে পারেন।
- তাছাড়া শুধু কাচা ধনেপাতা ভর্তা করে ও খেতে পারেন। ধনেপাতা সুন্দর করে ধুয়ে পানিটা ঝরিয়ে নিয়ে এতে কয়েকটা রসুনের কুয়া, কয়েকটা কাঁচামরিচ, অথবা শুকনা মরিচ নিয়ে ভালোভাবে সিল পাটাতে অথবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিয়ে ভর্তা হিসেবে খেত পারেন।
- ধনেপাতা বেটে পরিমান মতো লবণ দিয়ে রেখে দিতে পারেন। অল্প পরিমাণে নিয়ে ভাতের সাথে খেতে পারেন।
ধনে পাতার অপকারিতা এবং ক্ষতিকারক দিক
যে কোন জিনিসের এক ধরনের উপকারিতা এবং অপকারিতা উভয় রয়েছে। তবে যে জিনিসের উপকারিতা তার পরিমাণ বেশি হল তার সামান্য পরিমাণ হলে অপকারিতা থাকে। সেহেতু যে কোন কিছু খাওয়ার আগে আমাদের ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত এ ধরনের জিনিস বেশি খেলে কি ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- ধনেপাতা প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাহলে চলুন উপকারিতা গুলো দেখে নেয়া যাক
- অনেক সময় খালি পেটে ধনেপাতার রস খেলে গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। যে সকল লোকজনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বিশেষ করে তাদের এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- অধিক পরিমাণে ধনেপাতা খেলে বদহজমের সমস্যা হতে পারে। ফলে আমাদের আমাশয়, ডায়রিয়ার মত রোগ লক্ষ্য করা যেতে পারে।
- যাদের এলার্জিজনিত সমস্যা আছে তারা ধনেপাতা খাওয়ার ফলে মুখে, ত্বকে, শরীরে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ি এবং ফুলে যেতে পারে।
- শরীর হাত, পা, মুখ ধনেপাতা খাওয়ার ফলে অনেক সময় চুলকাতে পারে।
ধনেপাতা সংরক্ষণ করে রাখার কার্যকরী পদ্ধতি সমূহ
যারা ধনেপাতা খুব বেশি পছন্দ করেন এবং ধনেপাতা পাগল তারা বিভিন্ন ভাবে ধোনাপাতা সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। প্রথমত যদি এ ধরনের কোন আইডি আপনাদের না থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে দেখে নিতে পারেন। আপনারা যারা সারা বছর ধনেপাতা খেতে চান বা বিভিন্ন খাবারের সাথে দিয়ে খান তারা এ সকল পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
আপনি যতগুলো ধনেপাতা সংরক্ষণ করতে চান ততগুলো নিকটবর্তী বাজার থেকে তাজা সবুজ ধানের পাতা ক্রয় করে আনতে পারেন। তারপরে সেই ধনেপাতা গুলো থেকে শিকড় আলাদা করে নেবেন। ধনে পাতাগলো ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। ধনেপাতা গুলোর সম্পূর্ণ পানি ঝরানোর জন্য কোন ডালি অথবা ঝাকার উপরে রেখে দেবেন।
ধনেপাতা গুলোর পানি সম্পূর্ণ ঝরে যাওয়ার পর কুচি কুচি করে কেটে নেবেন। এরপর ব্লেন্ডারে ধনেপাতা গুলোকে গুড়া করে নেবেন। ব্লেন্ড করার সময় এ ধনেপাতা গুলোর সঙ্গে আপনার পরিমাণ মতো কাঁচামরিচ ও পরিমাণমতো লবণ দিয়ে দিবেন। চাইলে আপনি দুই থেকে তিনটা রসুন একসাথে মিক্সড করতে পারেন। তারপর এই ব্লেন্ডকৃত ধনেপাতা গুলোকে একটা বড় থালাতে নিয়ে রৌদ্রে শুকাবেন।
এক থেকে দুই দিন রোদে শুকানোর পরে দেখবেন এর পানি পানি ভাবটা আর নাই। তখন ধনেপাতা গুলোকে একটা শুকনা কাচের বই মেয়ে সামান্য পরিমাণ সরিষার তেল দিয়ে ধনেপাতা গুলোকে এর মধ্যে রেখে দেবেন। এভাবে আপনি বাইরে অনেকদিন রেখে যেতে পারবেন। আর তাছাড়া এই ধনেপাতা গুলোকে যদি আপনি ফ্রিজে রেখে দেন তাহলে প্রায় এক বছরের মত সংরক্ষণ করে খেতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি যদি কাঁচা ধনেপাতা সংরক্ষণ করে খেতে চান তাহলে ধনেপাতা গুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়ে ফ্রিজে পলিথিনের ভেতরে রেখে দিতে পারেন। তবে এভাবে দীর্ঘদিন রেখে খাওয়া যাবেনা এক সপ্তাহের মতো সংরক্ষণ করে রেখে খেতে পারবেন।
ধনেপাতা চাষের পদ্ধতি
আপনারা যারা ধনেপাতা খুব বেশি পছন্দ করেন তারা বাড়িতেই ধনে চাষ করে এর পাতা উৎপাদন করতে পারেন। ধনেপাতা পানিতে চাষ করা যায় এবং মাটিতেও চাষ করা যায়। চলুন কিভাবে দুই পদ্ধতিতে ধনেপাতা চাষ করা যায় দেখে নেয়া যাক।
প্রথমত বাজার থেকে এক পর মত ধনেপাতা অর্থাৎ আপনি যতটুকু পরিমাণে চাষ করতে চান ততটুকু কিনে আনতে পারেন। তারপর ধনেপাতা গুলোকে একটা ডালাতে রেখে দিয়ে কোন একটা বড় পাতে পানি নিয়ে সেই ডালাটা পানির উপরে রেখে দেবেন। তবে আলো বাতাস পাই এ ধরনের জায়গাতে পাত্রটি কে রাখবেন। দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর দেখবেন সেখান থেকে বীজ উৎপাদন হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন কয়টা আমলকি খাওয়া উচিত
মাটিতে অথবা টবে ধনেপাতা চাষের পদ্ধতি গুলো হল। প্রথমত একটি ভালো টপ নির্বাচন করবেন এর ভেতরে দোআঁশ মাটি নিয়ে তারপর মাটিগুলোকে ভালোভাবে আলগা করে নেবেন। মাটি গুলো ভালোভাবে আলগা অথবা ঝরঝরে করে নেওয়ার পর এর সাথে সামান্য পরিমাণ জৈব সার মেশাতে পারেন। তারপর ধন এগুলোকে মাটির উপরে সুন্দর করে বিছিয়ে দিবেন।
তারপর সেই বীজগুলোর উপরে হালকা করে মাটি চাপা দিয়ে দিবেন। পরিমাণ মতো জল দিবেন। তবে জলের পরিমাণটা ঠিক রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত কাদা হয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এবং পর্যাপ্ত সূর্যের আলোতে ডাকতে হবে। তিন থেকে চার সপ্তাহর মধ্যে এ ধরনের পাতা বীজ উৎপাদন হয়। অবলম্বন করে ধনেপাতা চাষ করতে পারেন।
লিভারের সমস্যা জনিত সমাধানে ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা
মানুষের দেহের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে লিভার বা যকৃত। একটা মানুষের দেহে লিভার সুস্থ রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এ ধনেপাতা লিভার ভালো রাখতে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে খুবই উপকারী। লিভারজনিত জন্ডিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ধনে পাতার কোন তুলনা হয় না। তাইলে বর ভাল রাখতে ধনেপাতা খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ধনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে flavonoied থাকার ফলে লিভারে জন্ডিস হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। জন্ডিস কবে মারাত একটি রোগ। এর সকল রোগ থেকে রক্ষা পেতে ধনেপাতার ভূমিকা অনেক। তাছাড়া এ ধনেপাতা দেহের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ নিরাময় এবং নিষ্কাশনে সহায়তা করে।
কিডনির সুরক্ষায় ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা
কিডনির সুরক্ষায় ধনা পাতা খাইয়ার উপকারিতা পুচুর। কিডনি আমাদের দেহের একটি অন্যতম অঙ্গ। কিডনিতে পাথর জনিত সমস্যার সমাধানের ধনেপাতার ভূমিকা প্রচুর। কিডনিকে সুস্থ রাখতে এবং সুরক্ষিত রাখতে ধনেপাতা খাওয়া প্রয়োজন। ধনেপাতা খেলে কিডনির স্বাস্থ্য ভালো থাকে। কিডনি সুরক্ষায় ধনেপাতার কোনো বিকল্প নাই।
আরো পড়ুন ঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় ও নিয়মাবলী
কিডনি এমন একটা জিনিস যা নীরব ঘাতক বলে আমরা চিনি। কিডনিতে কোন সমস্যা হলে সহজে ধরা যায় না। কারণ কিডনিতে কোন সমস্যা হলে 80% নষ্ট হওয়ার পর এর প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই কিডনিকে নীরব ঘাতক বলা হয়। বিভিন্ন বিখ্যাত নেফ্রলজি বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন কিডনি সুরক্ষায় ধনেপাতা একটি অনবদ্য উপাদান।
ধনেপাতা খাওয়ার ফলে কিডনিতে যে সকল অতিরিক্ত লবণ এবং বজ্র পদার্থ থাকে তা নিষ্কাশনে সহায়তা করে। তাই কিডনি কে ভালো রাখতে এবং সুরক্ষিত রাখতে ধনেপাতার উপকারিতা প্রচুর।
যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা
বর্তমান সময়ের সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে যৌন ক্ষমতা। সকল সমস্যা বয়স বৃদ্ধির সাথে আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। যৌনজনিত এ সকল সমস্যার সমাধানে ধনেপাতা খাওয়ার কোন বিকল্প নাই। নিয়মিত ধনে পাতার রস করে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেলে এ সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতে এ সকল জনিত সমস্যা একমাত্র খাবারের জন্য হয়ে থাকে।
বর্তমানে আমরা যে সকল খাবার খাই বেশিরভাগই ফরমালিনযুক্ত। তাই এ সকল ফরমালিনযুক্ত খাবারের খাওয়ার ফলে এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যা অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। আর প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ধনেপাতা খেলে যৌনতা জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
শেষ কথাঃ ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা অপকারিতা
অবশেষে আপনারা বুঝতে পেরেছেন ধনে পাতার খাওয়ার উপকারিতা কতটুকু। অনেকেই আমরা ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে না জেনেও পে খেয়ে থাকি। যারা ধনেপাতা পছন্দ করে তারা বিশেষ করে এই গন্ধের জন্যই পছন্দ করে । কিন্তু আপনারা যারা ধনেপাতা বন্ধ সহ্য করতে পারেন না তারা অবশ্যই ধনেপাতা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেবেন ।
তবে ধনেপাতা অপকারিতা থেকে উপকারিতায় বেশি লক্ষ্য করা যায়। তাই আপনারা যারা শরীর সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা জনিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে চান তারা অবশ্যই ধনে পাতা খেতে পারেন। যদি আমাদের ধনেপাতা সম্পর্কে আলোচনা ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শেয়ার করে দিবেন। এবং ভুল ভ্রান্তি জনিত সমস্যা থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url