আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে জানুন
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের অবশ্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি এই সম্পর্কে জানতে হবে। তবে বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে জানেনা এরকম মানুষ খুব কমই দেখা যায়।
পোস্ট সূচিপত্রঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
- শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
- ভিডিও তৈরি করতে এ আই এর সুবিধা
- ছবি তৈরিতে এ আই এর সুবিধা
- রোগ নির্ণয়ে এ আই এর সুবিধা
- ব্যবসায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
- পরিবহনে এ আই এর সুবিধা
- সিকিউরিটির ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
- এ আই এর বৈশিষ্ট্য
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা
- শেষ কথাঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা এর ফলে আমাদের জীবনে অনেক উন্নতি লাভ করছে। অনেক কঠিন বিষয় সহজ করে বুঝার সম্ভব হয়ে উঠছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ তার জীবনে অনেক অসাধ্য সাধন করার চেষ্টা করছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার সময় অনেক কিছু বুঝতে পারে না তখন তারা অনুবাদ করার জন্য বিভিন্ন apps ব্যবহার করে থাকে। অনুবাদ অ্যাপ গুলো AI দিয়েই তৈরি।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এলগরিদম দিয়ে তৈরি। অ্যালগরিদম এক ধরনের ভাষা। ইংলিশ ট্রান্সলেট করার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার করা হয়। এ আই ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কঠিন বিষয় সহজে ভাবানুবাদ করা যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষার খাতা বর্তমানে AI দিয়েই মূল্যায়ন করা হয়। কারণ মানুষ দেখতে ভুল করলেও এ আই নির্ভুল তথ্য দিয়ে থাকে।
অফিসিয়াল অনেক কাগজপত্র মানুষ নিজে দেখে মূল্যায়ন করার পরিবর্তে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে থাকে এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের ফলে খুব সহজেই অনেকগুলো তথ্য অল্প সময়ের মধ্যে নির্ভুলভাবে যাচাই করা যায়। এ আই ব্যবহার করে একজন শিক্ষার্থী তার দুর্বলতা গুলোকে চিহ্নিত করতে এবং প্রয়োজন অনুসারে তাদের পাঠ্যক্রম গুলো তৈরি করতে পারে।
ভিডিও তৈরি করতে এ আই এর সুবিধা
বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরি করতে বর্তমানে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করা হচ্ছে। এ আই কে কাজে লাগিয়ে খুব সহজে ছোট ছোট অথবা বড় যেকোনো ধরনের ভিডিও তৈরি করা যায়। বিভিন্ন ধরনের মুভি তৈরি করতে ভিডিও অথবা কনটেন্ট ভিডিও ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা যায়। এ দিয়ে ভিডিও তৈরি করার ফলে সময় অনেক অপচয় কম হয়।
আরো পরুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষ আজ তার সময় কে অনেক সেভ করতে পারে। একটা ভিডিও তৈরি করতে অনেক কিছু লাগে যেমন স্ক্রিপ্ট, সাউন্ড মিউজিক খুব সহজেই AI দিয়ে এ সমস্ত কিছু তৈরি করা যায়। Chat GPT এর মতো এক ধরনের সফটওয়্যার। মানুষ ভুল করলেও এ আই কখনো ভুল করে না। এ আই সব সময় নির্ভুল তথ্য প্রদান করে থাকে।
ছবি তৈরিতে এ আই এর সুবিধা
এ আই দিয়ে খুব সহজেই ছবি তৈরি করা যায়। অর্থাৎ আপনার যেকোনো ধরনের প্রয়োজনীয় ছবি আপনি এ আই দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন । কোন কাজের জন্য কোন ধরনের ছবি প্রয়োজন এ সকল কিছু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা এর ফলে আমরা সহজেই তৈরি করতে পারি। এ আই দিয়ে আপনার ইচ্ছামতো আপনি ছবি তৈরি করতে পারবেন।
বর্তমানে ব্লগার এ ছবি যুক্ত করার জন্য এ আই থেকে ছবি সিলেক্ট করা হয়। এখানে সুবিধাটা হচ্ছে আপনি কোন ধরনের ব্লক পোস্টের জন্য কোন ধরনের ছবি চান এ আই কে বললে আপনাকে সে সকল ধরনের ছবি দিয়ে থাকবে। তাই এখন অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট বা গুগলে সার্চ করে ছবি খোঁজাখুঁজির প্রয়োজন হয় না এ আইডি সকল ধরনের মৃত প্রয়োজনীয় ছবি আপনি পছন্দমত ব্যবহার করতে পারবেন।
রোগ নির্ণয়ে এ আই এর সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা বলে খুব সহজে আপনি রোগ নির্ণয় করতে পারবেন। যদি আপনার শরীরে কোন ধরনের অসুবিধা বা রোগ দেখা দেয় তাহলে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা খুব সহজ আপনার রোগ আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন। চিকিৎসকরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে তাদের রোগীদের রোগ চিহ্নিত করতে পারবে খুব সহজে।
তাছাড়া কোন ধরনের রোগে কি ধরনের চিকিৎসা দিতে হবে কি ধরনের ওষুধ প্রদান করতে হবে সবকিছু এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা করা সম্ভব। তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে অ্যালগরিদম ব্যবহার করে এই দিয়ে খুব সহজেই এ ধরনের কাজগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে করা সম্ভব।
ব্যবসায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
ব্যবসার কাজে বিপ্লব আনার ক্ষেত্রে এ আই এর সুবিধা অত্যাধিক। AI এ আই দ্বারা বর্তমানে ব্যবসায়ী সকল কার্য পরিচালনা করা সম্ভব। এ আয় ব্যবহার করে ব্যবসায়ের অনেক অসাধ্য বা সময় সাপেক্ষ কাজগুলো আপনি খুব সহজেই কম সময়ে সম্পাদন করা সম্ভব। এ আই টুল ব্যবহার করে ব্যবসায়ী সফলতা আনা যায়। ব্যবসার জন্য কয়েকটি এ আই টুল
- Lena AI
- Dull AI
- Jist AI
- Rewatch AI
- Dectopus AI
- Jasper ai
- Chat spot AI
- Kodium AI
- Big fish AI
- Fireflies AI
বর্তমানে এ সকল টুলস ব্যবহার করে ব্যবসায়ের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা আনা যায়। এ আই ব্যবহার করে ব্যবসার বিভিন্ন অসাধ্য এবং সময় সাপেক্ষ কাজগুলো খুব কম সময়ে এবং বিনা পরিশ্রমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।
পরিবহনে এ আই এর সুবিধা
পরিবহনে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে এ আই ক্যামেরা ব্যবহার করে চলাচলের বিভিন্ন নিয়ম কানুন বা নীতি দেখা সম্ভব । গাড়ি চালানো সময় AI ক্যামেরা ব্যবহার করে রাস্তায় অন্যান্য সকল যাত্রীরা হেলমেট ব্যবহার না করলে, চালক সিট বেল্ট না বাধলে, রং সাইডে গাড়ি চালালে, গাড়ি চালানোর সময় চালক মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে এ সকল কিছু এ আই দিয়ে শনাক্ত করা সম্ভব।
আরো পরুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ড্রাইভিং করতে করতে চোখে ঘুম ঘুম ভাব হলে এ আই গাড়ির স্টিয়ারিং এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেবে এরকম পদ্ধতি ও চালু হতে চলেছে বিভিন্ন মডেলের গাড়িতে। সেলফ পার্কিং , ট্রাফিক সিগনাল, ট্রাফিক রুট সিলেক্ট করার ক্ষেত্রেও এ আই ব্যবহার হয়ে থাকে। অটো পাইলট মোড চালু রেখে এ সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কোন পথে বেশি ট্রাফিক রয়েছে, ক্রুজ কন্ট্রোল, সেন্সর মনিটরিং, জি পি এস, গাড়ির ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট, জ্বালানি ম্যানেজমেন্ট, লেন ডিপারচার ওয়ার্নিং, ড্রাইভিং ম্যানেজমেন্ট, রিয়েল টাইম মনিটরিং ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা রয়েছে। অর্থাৎ পরিবহন ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে আশ্চর্যজনক করে তুলেছে।
সিকিউরিটির ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
সিকিউরিটির বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে অনেক বিকাশ সাধন করেছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোন এর ব্যবহার এবং রাডার ব্যবহার করে অপরাধীর অবস্থান সনাক্ত করা যায়। তাছাড়া সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেও এখন বিভিন্ন ভাবে অপরাধীকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়। এ আই এর বড় সুবিধা হল এটি অনেক অসাধ্য কাজ সাধন করে থাকে যা মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না।
বর্তমানে সিসি ক্যামেরা গুলো ব্যবহৃত হয় সেগুলো এ আই দিয়েই তৈরি। এ প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে এই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সিকিউরিটির কাজ পরিচালনা করা সম্ভব হয়েছে। সিসি ক্যামেরা মাধ্যমে অপরাধীকে সনাক্ত বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে।
এ আই এর বৈশিষ্ট্য
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে আমরা তিন ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারি । প্রথমত আর্টিফিশিয়াল ন্যারো ইন্টেলিজেন্স, আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টেলিজেন্স, আর্টিফিশিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স। আমাদের চারপাশে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের দৈনন্দিন কাজে অনেক সুবিধা এবং সহজ করে দিয়েছে। কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কিছু বৈশিষ্ট্য আমরা লক্ষ্য করি যেমন-
মানুষের ক্ষেত্রে একটানা কাজ করা সম্ভব হয় না কারণ মানুষের এক ধরনের ক্লান্তি বোধ আসে কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোন ক্লান্তি বোধ নেই সেই অনেকক্ষণ কাজ করার সামর্থ্য রাখে।
মানুষ একটানা সাত দিন চব্বিশ ঘন্টা কাজ করতে পারে না কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টানা সাত দিন কাজ করতে পারে। যেহেতু সে একটি যন্ত্র তার কোন ক্লান্তি আসে না।
মানুষ অনেক সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারে না কিন্তু আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যেহেতু এ আই এর সিদ্ধান্তগুলো ডিজাইন করা এলগরিদম এর বৈশিষ্ট্য দ্বারা।
অনেক বিপদজনক কাজ মানুষের দ্বারা সম্ভব হয় না কারণ সেগুলো অনেক ঝুঁকি থাকে কিন্তু এ আই সেই কাজগুলো অতি সহজে করতে পারে কারণ এ আই এক ধরনের যান্ত্রিক মাধ্যম।
এ আই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ খুব সহজে করে যেতে পারে কারণ তার ভিতরে যান্ত্রিক সে সকল প্রযুক্তি ব্যবহার করা থাকে। এটাই একটি মেশিন লার্নিং সিস্টেম।
বিভিন্ন কাজ মানুষ করতে যেয়ে অনেক অসুবিধায় পড়ে যায় এবং ত্রুটিযুক্ত থেকে যায় কিন্তু এ আই সকল ক্ষেত্রে সকল কাজ ত্রুটিমুক্ত ভাব করে থাকে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ
ভবিষ্যতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করে প্রযুক্তির বিকাশ আরো অনেক অংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে প্রযুক্তির বিকাশের ফলে মানুষের কি কি ধরনের সুবিধা এবং অসুবিধা হবে সেগুলো লক্ষ্য করা যাবে। ভবিষ্যতে যদি এরকম তথ্যপ্রযুক্তির আরো বিকাশ ঘটে তাহলে এর প্রভাবক মানুষের কর্মক্ষেত্রে পড়তে পারে।
এ আই কে কাজে লাগিয়ে মানুষ যখন কর্ম ক্ষেত্রে বা ব্যবসা-বাণিজ্যে সকল কিছু কন্ট্রোল এ আই দিয়ে করবে তখন বেকার যুবকদের সংখ্যা বেড়ে যাবে। ফলে তাদের অর্থনৈতিকভাবে অনেক সমস্যায় পড়তে হবে। ফলে অনেকে চাকরি হারাবে। সামনের দিনগুলোতে এ আই প্রযুক্তি আরো বেগবান হবে। অন্যান্য দেশে দেখা যায় chat GTP মত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর অসুবিধা অবশ্যই আছে । পৃথিবীতে প্রত্যেকটা জিনিসের যেমন সুবিধা আছে তেমন অসুবিধা আছে তবে অতিরিক্ত তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে মানুষের মস্তিষ্ক গুলো ড্যামেজ হয়ে যাবে। কারণ মানুষ যেই ব্রেন দিয়ে তার কর্মক্ষেত্র কাজ করে এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করতে পারে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কিন্তু সেই চিন্তা ভাবনা করতে পারে না।
আরো পরুনঃ প্রতিদিন ৪০০ ৫০০ টাকা ইনকাম করুন নিজের দক্ষতা বাড়ান
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা কখনই করতে পারবেনা। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ আই দিয়ে চললে তাদের মানবিক বিকাশ ঘটানো সম্ভব হবে না। তারা এ আই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে। ফলে কর্মক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি দেখা দিবে। কর্মক্ষেত্র হ্রাস পাবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুবিধা থাকলেও অসুবিধা লক্ষ্য করা যায় কারণ ডিনামাইট আবিষ্কৃত হলেও সেটা কিন্তু অপব্যবহার করাই হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে। তেমনি এ আই কাজে লাগিয়ে যতটা সুবিধা না হয় তার থেকে আরো বিপদ যেন আমাদের সামনে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবকিছুর লিমিটেড ব্যবহার করাই যথাযথ।
শেষ কথাঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর সুবিধা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের ফলে মানুষ অনেক অসাধ্য কাজ সাধন করতে পারে কিন্তু এর সকল ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খুব একটা ভালো হবে না। তাই যে কোন প্রযুক্তি প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা উচিত। প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যবহার করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আশা করি আজকের এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কি ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় আপনারা একটু হলেও ধারণা পেয়েছেন এ ধরনের আরো তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কিত পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের ভিজিট করুন। ক্রীড়া সম্পর্কিত তথ্য জানতে পেরে আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করে দিবেন ধন্যবাদ সকলকে।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url