নতুন ব্যবসার আইডিয়া ২০২৫
ব্যবসা এমন একটা জিনিস যেটা করতে পারলে অনেক লাভবান হওয়া যায়। সবার দ্বারা ব্যবসা সম্ভব নয়। তবে যদি ধৈর্য এবং ইচ্ছাশক্তি থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি নতুন ব্যবসার আইডিয়া মাথায় আনতে পারেন। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের নতুন কিছু ব্যবসার আইডিয়া তুলে ধরবো।
ব্যবসার বিষয় মাথায় আনতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম মাথায় আনতে হবে আপনার ধৈর্য কতটুকু? ধৈর্য এবং মোন স্থির না করে কখনোই ব্যবসায় পা বাড়াবেন না। বর্তমানে আমাদের দেশে শিক্ষার হার বাড়লেও কর্মসংস্থানের ঘাটতি রয়েই গেছে।
সূচীপত্রঃ নতুন ব্যবসার আইডিয়া
- নতুন ব্যবসার আইডিয়া কেমন হওয়া উচিত
- নতুন ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে কাপড়ের ব্যবসা
- নতুন চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা
- ঝাল মুড়ির বিক্রয় করার ব্যবসা
- ছোটখাটো ফুচকা চটপটির ব্যবসা
- শুরু করতে পারেন
- ফল বিক্রি ব্যবসার আইডিয়া
- কসমেটিকের ব্যবসার আইডিয়া
- গৃহ পালিত পশু পালন ব্যবসার আইডিয়া
- নতুন আচারের ব্যবসার আইডিয়া
নতুন ব্যবসার আইডিয়া কেমন হওয়া উচিত
বর্তমানে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেড়েই চলেছে। এরকম পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীরা চরম এক পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছে। তাই যে সকল বেকার ভাই ও বোনেরা চাকরির পিছে ছুটেছুটি করেও কাঙ্খিত ফলাফল পাচ্ছেন না, তাদের উদ্দেশ্যেই এই ব্লকটা মূলত লেখা। বর্তমান সময়ে চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করাই জ্ঞানের কাজ হবে ।
নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য নতুন কিছু ব্যবসার চিন্তা ধারা মাথায় আনতে পারেন। প্রথমত আপনাদের ইচ্ছাশক্তি এবং দৃঢ় পরিকল্পনা থাকতে হবে। তাছাড়া ব্যবসা শুরু করার আগে ব্যবসা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। আপনাকে জানতে হবে ব্যবসা মূলত কি? ব্যবসা তাকেই বলা যায় যেটা কারো আন্ডারে বা কারো অধীনে কাজ না করে নিজেই নিজের বস হওয়া।
যদি আপনার আর্থিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে খুব অল্প পুজিতেও আপনি নিজের একটা ব্যবসা তৈরি করতে পারেন। যতটুকু আপনার কাছে আছে ততটুকুই নিয়ে আপনি ব্যবসার পরিকল্পনা করতে পারেন। ব্যবসা করতে হলে আপনাকে লোকজনের সাথে চলাফেরা এবং কথার মাধুর্যতা দ্বারা সকলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
নতুন ব্যবসার আইডিয়া মাথায় আনার আগে আপনাকে ভাবতে হবে কি ধরনের ব্যবসা আপনি করতে চান। কোন ব্যবসা করে আপনি সহজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। কোন কাজ করলে আপনার জন্য ভালো হবে এবং আপনি ভালো সময় দিতে পারবেন। অভিজ্ঞ লোকদের সাথে কথাবার্তা বলে তাদের কাছে থেকে নতুন ব্যবসা শুরু করার পরামর্শ নিতে পারেন।
আরো পরুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে
অনেক সময় নিজে নিজে আইডিয়া নিলে বুঝা যায় না কোন কাজটা আমার জন্য ভালো হবে এবং কোন কাজটা দিয়ে আমি আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা শুরু করতে পারি। এইজন্য আপনার পরিবারের অভিজ্ঞ লোকজন অথবা আপনার পিতা-মাতা আপনার বড় ভাই অথবা চাচা আপনার অন্যান্য হাতে এদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিভাবে ব্যবসা শুরু করলে আপনার জন্য ভালো হবে। আশা করি কাঙ্খিত ফলাফল পাবেন।
নতুন ব্যবসার আইডিয়ার মধ্যে কাপড়ের ব্যবসা
বর্তমানে লোকজন একটু পরিপাটি থাকতে বেশি পছন্দ করে। পেটে যদি দুই বেলা খাবার নাও জুটে তারপরও ভালো পোশাক আশাক পড়ার চেষ্টা করে। নতুন ব্যবসা শুরু করার আগে অবশ্যই আপনাকে মানুষের চাহিদার কথা ভাবতে হবে। কি কি জিনিসের প্রতি মানুষের বেশি চাহিদা। মানুষের রুচি এবং চাহিদার প্রতি আপনার এক ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আপনি অবশ্যই কাপড়ের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কাপড়ের ব্যবসা খুব কম বুঝিতেই শুরু করা যায়। আপনার কাছে চার থেকে পাঁচ হাজার মত টাকা থাকলেই আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মনে করেন প্রথমত আপনি কয়েকটা কাপড় অথবা থ্রিপিস অথবা শার্টের পিস অথবা টি-শার্ট ক্রয় করে ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন।
কাপড়ের প্রতি মানুষের এক ধরনের অন্যরকম চাহিদা বিরাজ করছে। এ সকল কাপড় গুলো
নিয়ে আপনি খুব সহজেই ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন। এ ব্যবসা আপনি আপনার নিজের
বাড়িতেও শুরু করতে পারেন। প্রথমত যেহেতু আপনার কোন ঘর বা দোকান ভাড়া নেওয়ার
সামর্থ্য থাকবে না সেহেতু আপনি আপনার ঘরে বসেই বাড়িতেই ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন।
যখন আপনি একটু লাভবান হবেন তখন আপনার ব্যবসার প্রসার করতে পারবেন। সামান্য কিছু বুঝে নিয়ে ব্যবসা শুরু করার পর যখন আপনার মোটামুটি একটা ইনকাম হবে পরবর্তীতে আপনি আপনার ব্যবসাটি বড় করতে পারেন। এর সাথে আরো কিছু টাকা ইনভেস্ট করে আপনার ব্যবসার কার্য পরিচালনা করতে পারেন।
নতুন চায়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা
কোন কাজকেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। কাজ ছোট কিংবা বড় সব কাজ সমান। আপনার যতটুকু সামর্থ্য ততটুকুই দিয়েই আপনি আপনার ব্যবসার কার্য সম্পাদন করতে পারেন। এরমধ্যে চায়ের দোকান বা একটি স্টল দিয়ে আপনার ব্যবসার কার্য আরম্ভ করতে পারেন। এই ব্যবসায়ী খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
প্রথমত আপনি এক থেকে দুই ডর্জন কাপ, তিন থেকে চার লিটার দুধ, আধা কেজি আদা, এক থেকে দুই কেজি চা ক্রয় করে আপনার ব্যবসা স্টার্ট করতে পারেন। বর্তমানে চায়ের ব্যবসা করে লাভজনক হয়ে উঠেছে। শিক্ষিত কিংবা মূর্খ কাজের ক্ষেত্রে কোনোটি ছোট নয়। লোকজন এখন চায়ের প্রতি খুবই চাহিদা। চা পান করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই লোকজনের চাহিদা অনুযায়ী আপনি এ ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ঝাল মুড়ির বিক্রয় করার ব্যবসা
নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য ঝাল মুড়ির ব্যবসাটা কিন্তু খারাপ না । আমি আগেই বলেছি কোন কাজকেই ছোট করে দেখার আমাদের দরকার নাই। কাজ তো কাজেই। কারণ আপনি বেকার বসে থাকলে সবাই আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে তার থেকে নিজে একটা ব্যবসা দাঁড় করানো উত্তম চিন্তা। বর্তমানে অনেক বেকার শিক্ষিত যুবক ঝালমুড়ির ব্যবসা করছে। ভার্সিটির ক্যাম্পাসে গেলে এরকম অনেক দেখা যায়।
ঝাল মুড়ির ব্যবসাতে খুবই কম পুঁজি লাগে। এক কেজি মুড়ি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। সেহেতু আপনি প্রথমত পাঁচ কেজি মুড়ি কিনে এর সাথে অন্যান্য যা কিছু লাগে তেল, পেঁয়াজ, মরিচ ইত্যাদি সবমিলিয়ে দুই থেকে তিন হাজারের মধ্যেই আপনি এ ধরনের ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন। ঝাল মুড়ি খুব অল্প টাকায় পাওয়া যায় বলে ক্রেতারা খুব সহজেই খাওয়ার আগ্রহ করে। কারণ মানুষ একটু কম টাকায় ভালো কিছু কোথায় পাওয়া যাবে সেই জিনিসটাই খোজে।
সে হিসেবে ঝালমুড়ি টাই বর্তমানে পাঁচ থেকে দশ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এর থেকে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। যদি আপনি ভালোভাবে তৈরি করতে পারেন তাহলে দিনে আপনি ঝাল মুড়ি বিক্রি করে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এরকম অনেক আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাই ঝাল মুড়ি বিক্রি করে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করছে।ছোটখাটো ফুচকা চটপটির ব্যবসা
ফুচকা আমাদের দেশে অথবা পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়াতেও খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ফুচকা চটপটি পছন্দ করে না এরকম লোকজন এখন খুঁজে পাওয়াই যাবে না। যেহেতু এর মধ্যে ঝাল টক মিক্স থাকে সেই জন্য ছোট বড় সকলেই এই খাবার পছন্দ করে। তুমি খুব অল্প খুঁজে নিয়ে এই ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন। তিন থেকে চার হাজারের মধ্যে আপনি এই ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ফুচকা, চটপটি, নুডুলস, বার্গার, রোল, সিঙ্গারা ইত্যাদি এ সকল কিছু আপনি আপনার খাবার মেনুতে রাখতে পারেন। এ সকল ব্যবসা করার জন্য কোন মার্কেট বা বড় কোন দোকান ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। রাস্তার পাশেই আপনি দাঁড়িয়ে থেকে একটা টেবিলের উপরে করে এ সকল ব্যবসা সরাঞ্জাম নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। তাছাড়া ছোট একটা ফুদকাট নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ সকল ব্যবসা নিয়ে অনেকেই ট্রল অথবা হাসাহাসি করতে পারে কিন্তু আপনাকে আপনার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে।
কাঁচা সবজির ব্যবসা
বর্তমানে সবজির যে হারে দাম বেড়েছে তাতে অল্প সময়ের মধ্যেই অনেক লাভবান হওয়া যায় এ ধরনের ব্যবসা আরম্ভ করলে। কাঁচা শাকসবজি ইত্যাদি ব্যবসা করে মানুষ এখন অনেক আয় উপার্জন করছে। কাঁচা বাজারে পাইকারি কিংবা খুচরা বিভিন্নভাবে আপনি সবজির ব্যবসা করতে পারেন। পাইকারি ভাবে ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে শেয়ারে ব্যবসা করতে হবে।
কাঁচা সবজির ব্যবসা একসাথে শেয়ারে দুই থেকে তিনজন করলে ভালো হয়। যারা শিক্ষিত যুবক আছে তারা রোদে বসে থেকে খুচরা ভাবে সবজি বিক্রি করা সম্ভব নাও হতে পারে। তাদের কথাই ভেবেই শেয়ারে পাইকারিতে বিক্রি করা ভালো । পাইকারিতে সবজি বিক্রি করার উপকারিতা হচ্ছে এখানে আপনি কিছু কাঁচা সবজি কিনলেন এবং সেগুলো যে দামে কিনেছেন তার থেকে সামান্য পরিমাণ বেশি দামে আপনি সেগুলো পাইকারি তে বিক্রয় করতে পারেন।
প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ কেজি সবজি বিক্রি করলে আপনি ৫ টাকা করেও লাভ করতে পারেন অথবা ১০ টাকাও লাভ করতে পারেন। তাহলে মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন আপনি হিসাব করেন। তবে কাঁচা সবজি বিক্রি করার সময় একটু সতর্ক থাকবেন। কারণ কাঁচা সবজি একসাথে অনেকগুলো থাকার ফলে অনেক সময় পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফল বিক্রি ব্যবসার আইডিয়া
ফল বিক্রি করার আইডিয়া খুবই ভালো একটা আইডিয়া। লোকজন ফল প্রতিনিয়ত ক্রয় করে থাকে যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা প্রয়োজনে। ফল বিক্রি করার ব্যবসা করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে মানুষ ফল কেন কিনে। অবশ্যই খাবার জন্য কেনে তবে নিজের খাবার জন্য, পরিবারের খাবার জন্য, কিংবা রোগীর জন্য , আত্মীয়র বাড়ি বাড়াতে যাওয়ার জন্য, কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে ইত্যাদির জন্য মানুষ কম বেশি ফল ক্রয় করে থাকে।
আপনি ফল বিক্রি করার জন্য যে সকল জায়গাগুলো পছন্দ করতে পারেন যেমন লোকাল মার্কেট এ, কোন শপিং মলের সামনে, অথবা মেডিকেলের সামনে, ফল বিক্রয় করতে পারেন। বর্তমানে যেহেতু ফলের দাম একটু বেশি সেহেতু আপনি যেসব ফলের দাম একটু তুলনামূলক কম সেগুলো নিয়ে প্রথমত আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
প্রথমত আমি বলব আমাদের দেশে পেয়ারা এবং কলা এ দুইটা ফল তুলনামূলক অন্যগুলো চাইতে একটু কম দামে ক্রয় করা সম্ভব হয়। অন্যান্য ফলের যেহেতু দাম একটু বেশি লোকজন পেয়ারা কমবেশি পছন্দ করে। তাছাড়া অন্যান্য যে সকল ফল আছে ধরুন আপেল, কমলা, মাল্টা, ড্রাগন, আঙ্গুর, ইত্যাদি এ সকল ফল আপনি সল্প পরিমাণে পাইকারিতে ক্রয় করে আপনি খুচরা বিক্রয় করতে পারেন। প্রতি কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা লাভ অথবা দশ টাকাও লাভ করতে পারেন।
কসমেটিকের ব্যবসার আইডিয়া
নতুন ব্যবসা আরম্ভ করার আইডিয়ার মধ্যে কসমেটিকের ব্যবসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কসমেটিকের ব্যবসা করে আপনি খুব সহজেই নিজেকে একজন দক্ষ ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। বর্তমানে মেয়েরা কসমেটিক ক্রয় করে থাকে। কসমেটিকের ব্যবসা করেও আজকাল অনেকে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলছে।
কসমেটিকের ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই ভাবতে হবে কোন ধরনের প্রোডাক্ট আপনি নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করতে চাচ্ছেন। বাছাইকৃত হালাল প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি কসমেটিকের ব্যবসা করতে পারেন। অল্প প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করুন তবে ভালো এবং মানুষের ক্ষতি হবে না এ ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করা উচিত।গৃহ পালিত পশু পালন ব্যবসার আইডিয়া
বর্তমানে কয়েকটি লাভজনক ব্যবসার মধ্যে হাঁস-মুরগি বা গৃহপালিত পশু পালন ব্যবসা এখন অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। হাঁস-মুরগি পালন ব্যবসার ফলে এক ধরনের স্থিতিশীল আয় অর্জন করা যায়। এ সকল গৃহপালিত পশু পালনে শুধু আমাদের পুষ্টির চাহিদায় মেটায় না বরং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ভূমিকা রাখে।
গৃহপালিত পশু পালনের ব্যাপারে সব থেকে যেটাতে গুরুত্ব দিতে হবে সেটা হচ্ছে ভালো প্রজাতি বা জাত। যে সকল হাঁস-মুরগি ডিম বেশি দেই সে ধরনের প্রজাতি বাছাই করা, দুধ উৎপাদনকারী গাভী বাছাই করা। এ সকল কিছু গৃহপালিত পশু পালনের দ্বারা আমরা বিভিন্নভাবে স্বাবলম্বী হতে পারি। মুরগি পালন যেমন মাংসের ব্যাপার মাংসের পাশাপাশি ডিম বিক্রয় করেও উন্নতি করা সম্ভব।
তবে এসব আবার খেয়াল রাখতে হবে তাদের পুষ্টিকর খাবার এবং ভ্যাকসিনের নিয়মিত ব্যবস্থা করা ।কারণ একসাথে অনেক গৃহপালিত পশু পালন করলে আবার রোগ ব্যাধি ও বাসা বাঁধে তাই তাদের সুরক্ষার কথাও চিন্তা করতে হবে। এদেরকে পরিমিত খাবার, জীবনু নাশক এবং পরিষ্কার আবাস প্রদান করা। এ ধরনের ব্যবসা করলে স্থায়ী ভাবে ব্যবসার মান ধরে রাখা যায়।
নতুন আচারের ব্যবসার আইডিয়া
লাভজনক ব্যবসার মধ্যে আচারের ব্যবসা একটি অন্যতম। খাঁচার বিক্রি করে এখন বিভিন্নভাবে ব্যবসায় আয় বাড়ানো যায়। অল্প পুঁজিতে লাভজনক একটা ব্যবসা আচারের । এসকল ব্যবসাতে ঝুঁকি কম থাকে। তবে ব্যবসা আরম্ভের আগে আপনাকে অবশ্যই মাথায় আনতে হবে স্বাস্থ্যকর উপাদান পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সুস্বাদু রেসিপি। কারণ আচার এখন মানুষ ক্রয় করে থাকে তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদায়।
আচার খায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না, ছোট বড় সকলেই প্রায় আচার পছন্দ করে। হ্যাঁ তবে অনেকে মিষ্টি আচার, এবং অনেকের টক ঝাল মিষ্টি, অনেকে দুটাই পছন্দ করে ,অনেকে শুধু ঝাল আচারাই পছন্দ করে। অল্প পুঁজি নিয়ে আপনি সামান্য পরিমাণ জিনিসপত্র ক্রয় করে নিজের বাসায় প্রাকৃতিকভাব তৈরি করে সেটা বাজারজাত করতে পারেন।
আপনি ঘরে বসে খুচরাও বিক্রি করতে পারেন এবং পাইকারি ভাবেও বিক্রি করতে পারেন। আচার বিক্রি করার জন্য হাজারের প্যাকেটিং মানসম্মত হওয়া উচিত। যারা অনেক পড়াশোনা করেও চাকরি পাননি তারা এ ধরনের ব্যবসা হয়রামেশাই শুরু করতে পারেন। এ ধরনের ব্যবসায়ী ঝুঁকি কম থাকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং রাসায়নিক মুক্ত বাসায় তৈরি করা আচার বিক্রয় করতে পারেন।
শেষ কথাঃ নতুন ব্যবসা করার আইডিয়া সম্পর্কে
আশা করি এই আর্টিকেলে আপনারা যারা বিগিনার অর্থাৎ নতুন ব্যবসা শুরু করার আইডিয়া খুঁজছেন তারা এ সকল ধরনের আইডিয়া নিয়ে ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন। যে সকল বিষয়গুলো আপনার আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি সবগুলোই শূন্য থেকে শুরু করার মত ব্যবসা।
এই আর্টিকেলটি পড়ে যারা একটু হলেও কিছুটা বুঝতে পেরেছেন নিজেকে সাবলম্বী করার যাই কিভাবে তাহলে অবশ্যই তারা এই আইডিয়াগুলো মাথায় রেখে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় এগিয়ে যেতে পারেন। এ ব্লক পোস্টেটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন এবং ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url