পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
পুদিনা পাতা বিশেষ করে সুগন্ধির জন্য পরিচিত। তবে পুদিনা পাতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা উদ্ভিদ। পুদিনা পাতা, খাওয়া ত্বকে এবং রান্নার বিভিন্ন কাজে এই উদ্ভিদ ব্যবহার করা হয়। পুদিনা পাতা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ।
পুদিনা পাতার অনেক গুণাগুণ রয়েছে। পুদিনা পাতা যদিও একটি ছোট গাছ তারপরও এর উপকারিতা অনেক প্রিয় পাঠক পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে ব্লগটি সম্পূর্ণ পরে আসুন নিচে পুদিনা পাতার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।সুচিপত্রঃ পুদিনা পাতার উপকারিতা
- পেটের সমস্যা সমাধানে পুদিনা পাতার উপকারিতা
- ত্বকের সমস্যার সমাধানের পুদিনা পাতার উপকারিতা
- ওজন কমাতে পুদিনা পাতার উপকারিতা
- চুলের যত্নে পুদিনা পাতার উপকারিতা ও গুনাগুন
- রান্নার কাজে বুঝিনা পাত্রের উপকারিতা
- পুদিনা পাতার অন্যান্য আরো উপকারিতা
- পুদিনা পাতার জুসের উপকারিতা এবং তৈরি
- পুদিনা পাতার বিভিন্ন ব্যবহার
- পুদিনা পাতার কি কি অপকারিতা আছে জানুন
- শেষ কথা: পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
পেটের সমস্যা সমাধানে পুদিনা পাতার উপকারিতা
পুদিনা পাতা এক ধরনের ঔষধি গাছ। পেটের বদহজমে পুদিনা পাতা বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। খাওয়ার অনিয়মের ফলে পেটে অনেক সময় গ্যাসের সৃষ্টি হয় পুদিনা পাতার রস করে তাতে একটু মধু মিশিয়ে খেলে সেই সমস্যার সমাধান হয়। পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে পেটের বায়ু নির্গত হয় এর ফলে অনেক শান্তি মেলে শরীরে। শরীরের জন্য পুদিনা পাতার উপকারিতা অপরিসীম।
পুদিনা পাতার বিশেষ উপকারিতা আপনাদের হয়তো অজানা। সেটি হচ্ছে খালি পেটে পুদিনা পাতার রস খেলে ফুসফুস ভালো রাখে। শ্বাস প্রশ্বাস নিতে সহায়তা করে পুদিনা পাতার রস। যারা করোনার মত মরণব্যাধি রোগে ভুগেছেন তাদের জন্য পুদিনা পাতার রস খুবই উপকারী। পুদিনা এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ আর এই উদ্ভিদ ঔষধি গাছ হিসেবেই সকলের চেনে।
প্রাচীন যুগে যখন ঔষধের প্রচলন খুব একটা ছিল না তখন এ ধরনের ঔষধি গাছ দিয়ে বিভিন্ন রোগ নিরাময় করা হতো। তার মধ্যে পুদিনা পাতা এক ধরনের ঔষধি উদ্ভিদ। এর দ্বারা পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করা হতো। পুদিনা পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটি হজমে বহুগুণের সহায়তা করে। বিভিন্ন ব্যথা উপশমের জন্য পুদিনা পাতা গুনাগুন অধিক।
পুদিনা পাতায় এন্টিমেন্থল থাকার ফলে দাঁতের মাড়ি শক্ত করে। এবং দাঁতের মাড়ি থেকে পুজ এবং রক্ত পড়া বন্ধ করে। পুদিনা পাতা চিবিয়ে খাওয়ার ফলে দাঁতের মাড়ির বিভিন্ন ইনফেকশন এবং পুজ জমা এবং ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। সর্দি, কাশি এবং ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে পুদিনা পাতা চায়ের সাথে ফুটিয়ে পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
ত্বকের সমস্যার সমাধানের পুদিনা পাতার উপকারিতা
ত্বকের যত্নে যে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায় এটা অনেকেই জানেনা। চলুন ত্বকের যত্নে পুদিনা পাতার উপকারিতা দেখে নেয়া যাক। পুদিনা পাতা বেটে এর রস বের করে মুখে লাগানো যায় তাছাড়া রস সহ পাতা একসাথে মুখে লেয়ার করে লাগিয়ে ত্বকের যত্ন নেয়া যায়। তবে এর সাথে সামান্য পরিমাণ মধু কিংবা এলোভেরা জেল নিয়ে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রূপচর্চা করা যায়।
ত্বকে পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে ত্বক অনেক শুষ্কতা থেকে মুক্তি পায় এবং অনেক মসৃণ এবং নরম হয়। বর্তমানে প্রত্যেকের ত্বকে কমবেশি ব্রণ থাকে। এ সকল ব্রণ নিরাময়ে পুদিনা পাতার কোন বিকল্প নাই। পুদিনা পাতা যেহেতু একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ কেমিক্যাল মুক্ত সেহেতু বাসায় পুদিনা পাতা চাষ করে প্রতিনিয়ত আপনারা ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা পাতা ত্বকে লাগানোর ফলে ত্বকের রক্ত চলাচল ঠিক রাখে।
ওজন কমাতে পুদিনা পাতার উপকারিতা
বর্তমানে লোকজন স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়। যাদের স্বাস্থ্য একটু ভালো তারা বিশেষ করে বুঝে উঠতে পারে না কি খেলে বা কি করলে নিজের ফিটনেস ধরে রাখা যায় এবং ওজন কমা যায়? বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওজন কমানোর প্রোডাক্ট পাওয়া যায় সেগুলো তারা খেয়ে থাকে কিন্তু কোন কাজে আসে না। যারা এ ধরনের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য পুদিনা পাতা একটি বিরাট সমস্যার সমাধান।
আরো পরুনঃ শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় ও নিয়মাবলী
যাদের ওজন অনেক বেশি তারা প্রতিদিন সকালে দুই থেকে তিনটা পুদিনা পাতা চিবিয়ে
খেতে পারেন। আর যদি এভাবে খেতে না পারেন তাহলে পুদিনা পাতা বেটে পানির সাথে
মিশিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন। তবে এর সাথে সামান্য পরিমাণ মধু বা কালোজিরা গুড়া
মিশিয়ে খেতে পারেন। যদি প্রতিদিন সকালে এভাবেই খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের
জন্য অনেক উপকারে আসবে।
তিন থেকে চারটা পুদিনা পাতা এক থেকে দেড় গ্লাস পানির সাথে ভালো করে ফুটিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিবেন। পানিটা যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন থেকে পানি পান করে নেবেন। তাছাড়া চায়ের সাথে পুদিনা পাতা ফুটিয়ে সেই চা পান করতে পারেন এভাবে নিয়মিত খেলে ইনশাআল্লাহ আপনাদের ওজন জনিত সমস্যা সমাধান এবং উপকারিতা পাবেন। দুই থেকে তিনটা পুদিনা পাতা পানির সাথে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। আশা করি উপকৃত হবেন।
চুলের যত্নে পুদিনা পাতার উপকারিতা ও গুনাগুন
প্রত্যেকের প্রত্যাশা লম্বা সুন্দর এবং সিল্কি চুলের। এর সমাধান হিসেবে আপনারা পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে পারেন। পুদিনা পাতার সাথে টক দই, মেহেদি পাত, লেবুর রস ভালোভাবে ব্লেন্ড করে চুলে লাগিয়ে দিতে পারেন ৪০ মিনিট অথবা এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে দিয়ে ধুয়ে ফেলে দেবেন। পুদিনা পাতা চুল পড়া ও চুল গজাতে সহায়তা করে।
পুদিনা পাতার সঙ্গে টক দই, অলিভ অয়েল, অ্যালোভেরা মিশিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে নিয়ে চুলে লাগিয়ে দেবেন আধাঘন্টা পর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলে দেবেন। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনের জন্য পুদিনা পাতার উপকারিতা প্রচুর। গরম পানির সাথে কয়েকটা পুদিনা পাতা ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে তার সাথে পরিমাণ মত মধু মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে তারপরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ভালোভাবে চুল ধুয়ে নেবেন।অনেক সময় মাথার ত্বক অনেক জ্বালাপোড়া করে অনেক গরম হয়ে থাকে তখন এই পুদিনা পাতা বেটে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রেখে দেবেন ২০ মিনিট পর ধুয়ে নেবেন দেখবেন অনেক প্রশান্তি পাবেন। মাথার জ্বালাপোড়াই এই পুদিনা পাতা অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। অর্থাৎ মাথা ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। পুদিনা পাতাতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল পাওয়ার থাকার ফলে এটি মাথার ত্বক অনেক ঠান্ডা রাখে এবং মস্তিষ্ক ভালো রাখে।
রান্নার কাজে বুঝিনা পাত্রের উপকারিতা
যেকোনো মাংস অর্থাৎ কাশি কিংবা মুরগির মাংসে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে। পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে এ সকল খাবারের স্বাদ দেবেন বৃদ্ধি পায়। রান্নার কাজে পুদিনা পাতার উপকারিতা অপরিসীম। মাছের সাথে পুদিনা পাতা রান্না করতে পারেন। যেকোনো ধরনের রান্না শেষের পথে এ পুদিনা পাতা ছোট করে কেটে রান্নার উপরে ভালো করে ছিটিয়ে দেবেন। দেখবেন রান্নার স্বাদ দেবেন। পুদিনা পাতা রুচি কর এক ধরনের খাবার।
যেহেতু পুদিনা পাতা এক ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ সেতু চিকিৎসা ছাড়াও এই উদ্ভিদ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। সবজির সাথেও পুদিনা পাতা মিক্সড করে রান্না করতে পারেন। পুদিনা পাতা রান্নার কাজে ব্যবহৃত হলে শরীরের বিভিন্ন রোগ নিরাময় সহায়তা করে। পুদিনা পাতার ছোট ছোট করে কেটে সালাতে মিশিয়ে খেতে পারেন। এভাবে খেলে অনেক উপকারিতার লক্ষ্য করতে পারবেন।
বর্তমানে বার্গার সকলের একটি প্রিয় খাবার। বারগারে অনেক কিছু মেশানো থাকে তার মধ্যে পুদিনা পাতা একটি অন্যতম। বার্গারের মধ্যে পুদিনা পাতা মিশিয়ে খেতে পারেন। তাছাড়া বর্তমানে সুপের সাথেও পুদিনা পাতা মিশিয়ে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে সার্ভ করা হয়। বিভিন্ন খাবারে পুদিনা পাতা ব্যবহারের ফলে খাবারের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। এবং খাবারে অনেক রুচি বৃদ্ধি করে। তাই বলা যাই রান্নাতে পুদিনা পাতার উপকারিতা অপরিসীম।
পুদিনা পাতার অন্যান্য আরো উপকারিতা
পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং গুনাগুন সম্পর্কে বলে আমরা শেষ করতে পারবো না তবে কিছু উপকারিতা আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরছি।
- পেট ফাঁপা দূর করতে পুদিনা পাতার উপকারিতা অপরিসীম। যদি কোনো কারণবশত পেট ফেটে যায় তাহলে দিনে দুই থেকে তিনবার পুদিনা পাতার রস করে খেয়ে ফেলুন।
- দাঁতের মাড়ি শক্ত এবং রক্ত সঞ্চালনে পুদিনা পাতা জাদুকারি ফলাফল দেয়।
- পুদিনা পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে নিউমোনিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- পুদিনা পাতার রস করে খেলে পেটের বায়ু সরে এবং অনেকাংশে শান্তি পাওয়া যায়।
- পুদিনা পাতার শরবত বমি বমি ভাব দূর করতে সহায়তা করে।
- মাথা ব্যথা দূর করতে অনেকাংশ ভূমিকা রাখে পুদিনা পাতা।
- ডায়রিয়াজনিত রোগ নিরাময়ে পুদিনা পাতার উপকারিতা অনেক।
- শরীরের বিভিন্ন দূষিত পদার্থ পায়ুপথ দিয়ে বের করে ফেলে পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে।
- পুদিনা পাতা নাকের কাছে নিয়ে এর গন্ধ শুকলে মাথা ব্যথা দূর হয়।
- পুদিনা পাতার রস এলোভেরা সাথে মিশিয়ে ত্বকের যত্ন নেয়া যায়।
- শরীরের কোন অংশ ব্যথা করলে পুদিনা পাতা রস করে সেখানে লাগিয়ে দিলে সে ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানে পুদিনা পাতার উপকারিতা অপরিসীম।
- বিভিন্ন ধরনের স্ট্রেস কমাতে পুদিনা পাতা জাদুকারী উপকারিতা বহুগুণ।
- পুদিনা মুখে দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
- পুদিনা পাতায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- মাখা মাথার উকুন দূর করতে পুদিনা পাতা উপকারিতা অনেক।
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পুদিনা পাতার ভূমিকা।
- শরীর ঠান্ডা রাখতে পুদিনা পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- মহিলাদের মাসিকের যন্ত্রণা কমাতে পুদিনা পাতা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
- অচেতন ব্যক্তির জ্ঞান ফেরাতে পুদিনা পাতা বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
পুদিনা পাতার জুসের উপকারিতা এবং তৈরি
পুদিনা পাতার জুস খাওয়া যাই এটা অনেকেই জানেনা চলুন আপনাদের পুদিনা পাতার জুস খাওয়ার কয়েকটা পদ্ধতি জানিয়ে দেই। পুদিনা পাতা কান্ড ও লতা যুক্ত এক ধরনের আগাছা জাতীয় গাছ। এক টেবিল চামচ পুদিনা পাতা, এক ফালি লেবুর রস, এক চিমটি বিট লবণ নিয়ে ভালোভাবে মিক্সড করে শরবত বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। এটি খাওয়ার ফলে পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দূর হয় বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, পেট ফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি।
আর অন্যভাবে পুদিনা পাতা জুস খাওয়া যায়। পরিমাণ মতো পুদিনা পাতা, লেবুর রস, ভাজা জিরার গুঁড়া, স্বাদমতো চিনি এবং লবণযুক্ত করে খেয়ে ফেলতে পারেন। এভাবেও খেলে অনেক উপকার আছে। অনেক সময় রমজান মাসেও এ পুদিনা পাতার জুস অথবা শরবত খেলে শরীর ভালো হয় এবং ঠান্ডা থাকে।
আরো পরুনঃ অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম ও অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা কি
পুদিনা পাতার বিভিন্ন ব্যবহার
বর্তমানে পুদিনা পাতা বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক খাবারের সঙ্গে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন কাবাব, গরুর মাংস ,খাসির মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, সবজি, ডাল ইত্যাদির সঙ্গে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হচ্ছে। সুপ, শরবত, চা, তামাক ইত্যাদিতে এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও পেস্ট, ক্যান্ডি, মেন্ট চকলেট তৈরিতে ও পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হচ্ছে।
যদি চুলে উকুন থাকে তাহলে উকুন মুছে ফেলার জন্য পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। ত্বকের যত্নে এবং রোগ নির্ণায় ব্যবহৃত হয়। পুদিনা পাতার সঙ্গে শসা, গোলাপজল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মুখে টুপ চর্চা করা হয়। বর্তমানে পুদিনা পাতা ব্যাথা নাশক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মাজায় ঘাড়ে মাথা ব্যথা পেটের বিভিন্ন সমস্যাই প্রয়োজনীয় পাতা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।তুলসী পাতার র্ পুদিনা পাতার রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে জুস বানিয়ে খেলে এতে অনেক উপকার আছে। মেয়েদের বিভিন্ন সমস্যাই সমাধানের জন্য পুদিনা পাতা ব্যাপকভাবে আলোচিত। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে এবং মেয়েদের অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য পুদিনা পাতা বহুগুনে উপকারি। ভর্তা, চাটনি বানাতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা হয়।
পুদিনা পাতার কি কি অপকারিতা আছে জানুন
যে কোন জিনিসের ভালো মন্দ দুইটা দিকই থাকে তিনি পুদিনা পাতারও অপকারিতা আছে। অপকারিতার থেকে উপকারীর দিকগুলোকে আমরা বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। যেকোনো জিনিস বা খাবার প্রয়োজনে অতিরিক্ত খেলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকারক। তেমনি পুদিনা পাতাও শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য অধিক পরিমাণে সেবন করলে সেটা ভালো নাও হতে পারে।
- বেশি পরিমাণে পুদিনা পাতার রস খেলে অনেক সময় পেট ফেটে যায় হজম শক্তি বাদ দিয়ে হজম শক্তিতে ব্যাঘাত ঘটায়। অর্থাৎ অনেকের ইমুনিটি এক নয় সেজন্য যাদের পুদিনা পাতা খাওয়া সহ্য হবে তারা একমাত্র খাবেন জোর করে খাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
- যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের অনেক সময় পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে ত্বকে ব্রণ, তক ফুলে যাওয়া, সর্দি, কাশি হাচি ক্ষতিকর লক্ষণ প্রকাশ পাই।
- গর্ভাবস্থায় পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে অনেক সমস্যা হতে পারে। যেমন সকালের গড়পাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পুদিনা পাতাতে অতিরিক্ত মেন্থল থাকার ফলে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে।
- পুদিনা পাতা খাওয়ার ফলে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
শেষ কথা: পুদিনা পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আশা করি আপনারা আজকের এই আর্টিকেলে পুদিনা পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে সামান্য হলেও কিছুটা জানতে পেরেছেন। এভাবে যে কোন জিনিসের উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলে অবশ্যই আপনারা উপকৃত হবেন। পুদিনা পাতা জংলি জাতীয় গাছের মতো দেখতে হলেও এর গুনাগুন অনেক।
যদি আপনাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে এ ধরনের আরো টপিক নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল পাবেন সেগুলো আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে দেখে নিতে পারেন। এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য এবং আপনার মূল্যবান সময় অতিবাহিত করার জন্য ধন্যবাদ যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে । ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url