বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
বাংলা আর্টিকেল লেখা ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অন্যতম সাইট। বর্তমানে বাংলা আর্টিকেল খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। আর্টিকেল লেখার কিছু বেসিক নিয়ম কানুন আছে সেগুলো আপনাদের জানতে হবে।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- বাংলা আর্টিকেলের টাইটেল অথবা শিরোনাম লেখার নিয়ম
- আর্টিকেলে ভূমিকা লেখার নিয়ম
- পোষ্টের সূচিপত্র লেখার নিয়ম
- আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড লেখার নিয়ম
- বাংলা আর্টিকেলে হেডিং , সাব-হেডিং এবং প্যারাগ্রাফ লেখার নিয়ম
- বাহ্যিক কিছু লিংক যুক্ত করে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- বাংলা আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ যুক্ত করার নিয়ম
- বাংলা আর্টিকেল লেখার উপযুক্ত সময়
- সহজ শুদ্ধ ভাষা ও কপিরাইট ফ্রি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
- আর্টিকেল লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহের নিয়ম
- এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হতে হবে
- আর্টিকেলে উপসংহার লেখার নিয়ম
- শেষ কথাঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
বাংলা আর্টিকেলের টাইটেল অথবা শিরোনাম লেখার নিয়ম
আর্টিকেলের টাইটেল নির্বাচন করার আগে অবশ্যই আপনাকে যাচাই করে নিতে হবে কি ধরনের টাইটেল বা শিরোনাম মানুষ সার্চ করে থাকে। ফোকাস কি ওয়ার্ড নির্বাচন করার পর আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে। টাইটেল এর শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড থাকলে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ হবে। পোষ্টের টাইটেল অবশ্যই পাঁচ থেকে আট শব্দের মধ্যে লিখতে হবে। পোষ্টের টাইটেল এর সর্বনিম্ন ৬০ টা ক্যারেক্টার থাকতে হবে।
পোষ্টের টাইটেলে এমন একটি ফোকাস ফ্লোয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে যেন পাঠক পড়ার আগেই বুঝতে পারে আপনি আর্টিকেলে কি বুঝাতে চেয়েছেন বা কি নিয়ে আলোচনা করবেন। এইজন্য ফোকাস কিওয়ার্ড টা খুবই জরুরী। পোষ্টের শিরোনাম লেখার জন্য আরও যে সকল নিয়মকানুন গুলো আপনাদের ফলো করতে হবে চলুন নিচে সেগুলো আলোচনা করা যাক।
- প্রথমত টাইটেলের শুরুতে াস ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে
- পোস্ট লোভনীয় করে লিখতে হবে যেন পাঠক আকৃষ্ট হয়
- পোস্টার টাইটেল এ বিশেষ চিহ্ন (?,!,-,।) ইত্যাদি লেখা যাবে না।
- পোস্টের টাইটেল লোভনীয় না হলে বেশিরভাগ পাঠক পোস্টের টাইটেল দেখেই না পড়ে চলে যাই ।
- টাইটেল এর মধ্যে যদি দুইটা ফোকাস কীওয়ার্ড রাখতে চান তাহলে মাঝখানে শুধু একটা হাইফেন (-) ব্যবহার করতে পারবেন।
আর্টিকেলে ভূমিকা লেখার নিয়ম
ভূমিকা বা মেটা ডেসক্রিপশন লোভনীয় করে লিখতে হবে। আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু ভূমিকার মধ্যে তুলে ধরতে হবে যেন পাঠক সহজে বুঝতে পারে এর মধ্যে কি আছে। ভূমিকা লেখার উপর একটি ভূমিকা বাটন যুক্ত করতে হবে। ভূমিকা বাটন এর মধ্যে অবশ্যই অন্যান্য পোস্ট রিলেটেড ফোকাস কিওয়ার্ড বা লিংক রাখতে হবে। ভূমিকা বাটন ৫ থেকে ৬ শব্দের মধ্যে হতে হবে।
পোষ্টের সূচিপত্র লেখার নিয়ম
একটা আর্টিকেল বা পোস্টের জন্য সূচিপত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সূচিপত্র থাকলে পাঠক সহজে বুঝতে পারবে যে আপনি এর মধ্যে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। সূচিপত্র অবশ্যই ভূমিকা লেখর পরেই যুক্ত করতে হবে। পোস্টার সূচিপত্র যদি পোষ্টের মাঝখানে অথবা নিচে দিয়ে থাকেন তাহলে সেটা দেখতে ভালো লাগবে না।
সূচিপত্র বলতে আপনি আর্টিকেল বা পোষ্টের ভেতরে কোন কোন বিষয় তুলে ধরেছেন সে ব্যাপারে একটা ধারণা পাওয়া। পোস্ট সূচিপত্র দেয়া থাকলে পাঠকের পড়তে সুবিধা হবে কারণ পাঠক যতটুকু বা যে অংশটুকু পড়তে ইচ্ছুক সূচিপত্র থাকলে সেই অংশ থেকেই পড়তে পারবেন। কারন কোন আর্টিকেল বা পোস্ট আমাদের পাঠকের চাহিদা অনুযায়ী লিখতে হবে যেহেতু পাঠক কি ধরনের আর্টিকেল পছন্দ করে সে রকম শিরোনাম অথবা টাইটেল পছন্দ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে
সূচিপত্রর মধ্যে পোষ্টের হেডিং সাভারিং এবং ফোকাস কিওয়ার্ড সব ধরনের বিষয় উল্লেখ থাকবে। পোস্ট সূচীপত্র গুলো অবশ্যই বুলেট লিস্টিং করে লিখতে হবে। বুলেট লিস্টিং থাকলে সূচিপত্র আকর্ষণীয় লাগে এবং পড়তে সুবিধা হয়। সূচিপত্র এই শব্দটা উল্লেখ করার পর একটা কোলন দিতে হবে তারপর পোস্টের সেরা নামের ফোকাস কিওয়ার্ড টা যুক্ত করতে হবে। যেমন-(সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম করা) এভাবে সূচিপত্র লিখতে হবে। সূচিপত্র নিচে সূচিপত্র গুলো বুলেট লিস্টিং করে একের পর এক লিখতে হবে।
আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড লেখার নিয়ম
পূর্বেই আমরা ব্যাখ্যা করেছি ফোকাস কিওয়ার্ড কি। একটা আর্টিকেল বা পোষ্টের জন্য ফোকাস কিওয়ার্ড খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। ফোকাস কিওয়ার্ড ছাড়া একটা আর্টিকেল কখনোই যথাযথ আর্টিকেলের মর্যাদা পাবে না। একটা ফোকাস কিওয়ার্ড এর মাধ্যমেই আর্টিকেলের গুনাগুন বৃদ্ধি পায়। একটা পোষ্টের মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড সর্বনিম্ন ১০ বার ব্যবহার করতে হবে। একটা আর্টিকেলকে আকর্ষণীয় করতে সাহায্য করে।
টাইটেলে শুরুতে অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে। ভূমিকাতেও ফোকাস কি ওয়ার্ড রাখতে হবে। একটা আর্টিকেল যদি 2000 শব্দে লিখতে চান তাহলে এর মধ্যে অবশ্যই ১২ থেকে ১৫ বার প্রকাশ কি ওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। তবে যদি তিন থেকে চার হাজার শব্দের আর্টিকেল হয় তাহলে অবশ্যই এর বেশি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন।
ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচনের জন্য গুগলে বিভিন্ন সাইট আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। যেমন কয়েকটা সাইট হচ্ছে-
- উবার সাজেস্ট (Uber suggest),
- কিওয়ার্ড জেনারেটর (keyword generator),
- গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার (Google keyword planner),
- কীওয়ার্ড টুল ডট আই ও (keyword tool.io)
একটা ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচনের দ্বারায় আপনার আর্টিকেল গুগল শার্ট ইঞ্জিনের প্রথম পেজে আসার সুযোগ পায়। একটি প্রকাশকে অর নির্বাচনের দাঁড়ায় আপনার আর্টিকেল গুগল গুগল র্যাংকিং এ যাওয়ার সুযোগ পায়। প্রকাশ কিওয়ার্ড নির্বাচনের জন্য আপনি এসিও ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলা আর্টিকেলে হেডিং , সাব-হেডিং এবং প্যারাগ্রাফ লেখার নিয়ম
পোষ্টের প্রত্যেকটা হেডিং এ অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড উল্লেখ থাকতে হবে। পোষ্টের হেডিং সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১০ টি হতে হবে। হেডিং দশের অধিক হলে বেশি ভালো হয়। তবে প্রথম হেডিং অবশ্যই প্রকাশ যুক্ত করে লিখতে হবে। হেডিং লোভনীয় করে লিখতে হবে। হেডিং যত বেশি আকর্ষণীয় হবে লেখকের মনোযোগ ততই আর্টিকেলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
- প্রত্যেকটি হেডিং এ পাঁচ থেকে আট শব্দে লিখতে হবে।
- হেডিং লোভনীয় করে লিখতে হবে
- হেডিং এর নিচে সর্বনিম্ন তিনটি প্যারা থাকতে হবে।
- সর্বোচ্চ পাঁচ থেকে ছয়টি প্যারা হলে ভালো হয়।
- প্রতিটি প্যারাই তিন থেকে সাড়ে তিন লাইন লিখতে হবে।
- এক একটা হেডিং এর আন্ডারে তিন থেকে চারটি সাব- হেডিং যুক্ত করা যাবে।
- এবং প্রত্যেকটা সাব- হেডিং এ তিন থেকে চার লাইন লিখতে হবে। এর অধিক লেখা যাবে না।
- প্রত্যেকটা হেডিং, প্যারাগ্রাফ আকার লিখতে হবে।
- প্রত্যেকটা প্যারাগ্রাফে এক লাইন গ্যাপ দিতে হবে।
- একটা পেটের মধ্যে সাড়ে তিন থেকে চার লাইন লিখতে হবে এর বেশি লেখা যাবে না।
- কোন তথ্য গুরুত্ব সহকারে দেখানোর জন্য পয়েন্ট বা বুলেট লিস্ট দিয়ে লিখতে পারেন।
বাহ্যিক কিছু লিংক যুক্ত করে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখতে এবং আকর্ষণ বাড়াতে আপনার আর্টিকেলের মধ্যে কিছু লিংক যুক্ত করতে পারেন। সেই লিংকগুলো আপনি আরো পড়ুন সেকশন দিয়ে লিখতে পারেন। এই আরো পড়ুন সেকশন গুলো অবশ্যই আর্টিকেলের প্যারাগ্রাফের মধ্যে লিখতে হবে। অর্থাৎ দুইটা প্যারাগ্রাফের মধ্যে একটা আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করতে পারবেন। এই আরো পড়ুন সেকশনের মধ্যে অন্য কোন পোস্টের লিংক যুক্ত করা থাকবে।
যে সকল অতিরিক্ত লিংকগুলো আর্টিকেলের মধ্যে যুক্ত করবেন সে সকল লিংকগুলো আপনি যে আর্টিকেলটি লিখছেন সেই আর্টিকেল এর সাথে সামঞ্জস্য পূর্ণ আর্টিকেলের লিংক করতে হবে। মনে করেন আপনি লিখছেন "ঘরে বসে সহজে টাকা ইনকাম করার উপায়" তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটির মধ্যে যেই আর্টিকেলের লিংক দিতে চাচ্ছেন সে আর্টিকেলের শিরোনাম হবে "ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়"।
একটা আর্টিকেলের ভেতরে তিন থেকে চারটি আরো করুন সেকশন যুক্ত করতে পারেন। তাহলে পাঠক আপনার আর্টিকেলটি পড়তে পড়তে সেই আরো পড়ুন সেশনের ভেতরে গেলে আরেকটি আর্টিকেল দেখতে পাবেন। এভাবে আর কোন সেকশন যুক্ত করলে আর্টিকেল করতে পাঠকের মনোযোগ ক্ষুন্ন হবে না। তাই অবশ্যই এই পর্যন্ত সেকশনটি দেয়া গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে।
বাংলা আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ যুক্ত করার নিয়ম
আর্টিকেলের মধ্যে টিচার ইমেজ যুক্ত করা হচ্ছে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফিচার ইমেজ ছাড়া একটা আর্টিকেল দেখতে ভালো লাগে না। আর ফিচার ইমেজ যুক্ত করার মেইন উদ্দেশ্য হল আর্টিকেলের প্রতি পাঠকের আকর্ষণ। যে সকল ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে চাচ্ছেন সেগুলো অবশ্যই ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স থাকতে হবে। ক্রিয়েটিভ কমন লাইসেন্স ছাড়া টিচার ইমেজ যুক্ত করলে সেই ইমেজ কপিরাইটিং পড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কানাডার ভিজিট ভিসার নিয়ম
পোস্টে ছবি যুক্ত করার জন্য প্রথমে আপনাকে গুগলে সার্চ দিতে হবে কি ধরনের ছবি আপনি চাচ্ছেন। Images-tools-uses rights-creative common licence-এরপর মাউসের লেফট বাটন চিপে সিলেক্ট-ছবির উপরে রাইট বাটন চাপ দিতে হবে-save as image তারপর ব্লগারের এডমিন প্যানেলে যেতে হবে-যাওয়ার পরে আপনি যে পোস্টে ছবি যুক্ত করতে চাচ্ছেন সেই পোষ্টের ভেতরে upload frum computer এখানে যেতে হবে। এভাবে আপনি ছবি যুক্ত করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি ফটোশপ থেকে ছবি যুক্ত করতে পারেন। ফটোপিয়া থেকেও ছবি যুক্ত করতে পারেন। একটা পোষ্টের মধ্যে তিনটা ইমেজ যুক্ত করা উচিত। এভাবে আপনি ফিচার ইমেজ 1, ফিটার ইমেজ 2, ফিচার ইমেজ 3 যুক্ত করতে পারেন। বিচার যুক্ত করার কারণ হচ্ছে আপনার পাঠকের আকর্ষণ। ধরুন পাঠক পড়তে পড়তে বিরক্ত হচ্ছেন তখন আপনার সেই ফিচার ইমেজগুলো তিনি দেখতে পারেন। যে সকল ছবিতে ওয়াটার মার্ক দেয়া থাকে সে সকল ছবি যুক্ত থেকে বিরত থাকুন।
বাংলা আর্টিকেল লেখার উপযুক্ত সময়
আর্টিকেল লিখার জন্য অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট সময় আপনাকে বের করতে হবে। একটা আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্যই হচ্ছে পাঠকের প্রশ্নের উত্তর দেয়া। আপনার পাঠক কি ধরনের প্রশ্ন করে সেটা মাথায় রেখে আপনাকে একটা আর্টিকেলের শিরোনাম পছন্দ করতে হবে। যে যে সকল বিষয় পাঠক জানতে চাই সে সকল বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। কোলাহল পণ্য জায়গায় আর্টিকেল লেখা যাবে না। আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই আপনার মস্তিষ্ক ঠান্ডা থাকতে হবে।
- যে সকল সময় আর্টিকেল লিখলে আর্টিকেলের ব্যাপারে আপনার মন মানসিকতা ঠিক থাকবে। সে সকল বিষয় সময় গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো।
- গভীর রাতে যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকবে তখন আর্টিকেল লেখা ভালো।
- নিরিবিলি কোন জায়গায় গিয়ে আর্টিকেল লেখা
- খুব সকালে অর্থাৎ ফজরের নামাজের পর আর্টিকেল লিখা।
- ফাঁকা জায়গা অর্থাৎ সবুজ ঘাসের উপরে বসে থেকে আর্টিকেল লেখা।
- প্রাকৃতিক কোন পরিবেশে গিয়ে আর্টিকেল লেখা।
- বাড়ির ছাদের উপরে গিয়ে বসে থেকে আর্টিকেল লেখা।
- রুমের পাশে বেলকনিতে গিয়ে বসে আর্টিকেল লেখা।
- ঘরের দরজা লাগিয়ে নিশ্চুপ পরিবেশে আর্টিকেল লেখা।
- কোন পার্কে বসে সুন্দর পরিবেশ আর্টিকেল লেখা।
সহজ শুদ্ধ ভাষা ও কপিরাইট ফ্রি আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আর্টিকেল লেখার সময় ভাষা অবশ্যই সহজ এবং শুদ্ধ হতে হবে। তৎসম শব্দ ব্যবহার করে আর্টিকেল লেখা যাবে না। আপনার নিজস্ব ভাষায় আর্টিকেল লিখতে হবে। আর্টিকেল লেখার আগে কোন নোটপ্যাড লিখে রাখা বা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখে রাখা লেখা কপি করে ব্লগে লেখা যাবে না। সরাসরি ওয়েবসাইটে লিখতে হবে।
Microsoft world অথবা notepad লেখা কপি করে ব্লক পোস্টে পেস্ট করলে সেই লেখার প্রিফরমেটিং থেকে যায় ফলে অনেক সময় লেখার ফন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। কারণ microsoft world কিংবা নোটপ্যাডের লেখার ফন্ট ওয়েবসাইটের লেখার ফন্ট থেকে আলাদা ফলে কপি করা লেখা পেস্ট করলে সেগুলো ভেঙে যেতে পারে অথবা ছোট বড় হয়ে যেতে পারে। এজন্য সরাসরি ওয়েবসাইটে লেখায় উপযুক্ত।
আপনার নিজ ভাষায় নির্ধারণায় আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনার মত করে আর্টিকেল লিখলে, সেই আর্টিকেলে কপিরাইট সহজে পড়তে পারবে না। অভ্র স্পেল চেকার দিয়ে আপনার আর্টিকেলের স্পেলিং চেক করে নিতে পারেন। কারণ আর্টিকেলের মধ্যে কোন ভুল বানান লেখা যাবে না। আপনার আর্টিকেল আপনি যতই ক্লিন ভাবে লিখবেন ততই আপনার জন্য ভালো। সহজ সুন্দর ভাষা এবং শুদ্ধ উচ্চারণ একটা আর্টিকেলকে র্যাঙ্কে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করে।
আর্টিকেলের লেখা কালার করা যাবে না। অতিরিক্ত বুলেট লিস্টিং থেকে বিরত থাকতে হবে। আর্টিকেল লেখা শেষে অবশ্যই আর্টিকেল রিভিশিন দিতে হবে। কোথাও ভুল ত্রুটি থাকলে সেগুলো ঠিক করতে হবে। আর্টিকেল লেখা শেষ হলে পাবলিস্ট করার আগে অবশ্যই আপনাকে এক থেকে দুই বার পড়ে নিতে হবে। আর্টিকেলের লেখা জাস্টিফাই অ্যালাইনমেন্ট ব্যবহার করতে হবে। লেখা জাস্টিফাই করা মানে লেখাগুলো যেন বইয়ের লেখার মত দেখায়। আর্টিকেলে "আপনি", "আমি" ব্যবহার করতে হবে।
আর্টিকেল লেখার জন্য তথ্য সংগ্রহের নিয়ম
অবশ্যই আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আর্টিকেল লেখার জন্য এত শব্দ বাক্য কিভাবে লিখব তাই না? হ্যাঁ অবশ্যই একটা আর্টিকেল লেখার আগে আপনি ওয়েবসাইটে কিওয়ার্ড রিসার্চ করেছেন। সেই কিওয়ার্ড রিসার্চের সময় অনেক ওয়েবসাইট দেখা যায়। আপনি যে কিওয়ার্ড নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন সেই সেই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দিলে অনেক তথ্য পাওয়া যায় সেখান থেকে পড়ে পড়ে আপনি আপনার মত বুঝে তারপরে লিখবেন।
তাছাড়া ইউটিউবে সার্চ দিলে অনেক ভিডিও আসে সেই ভিডিওগুলো মনোযোগ সহকারে দেখবেন তারপর লেখা শুরু করবেন। গুগলে সার্চ দিলে একই টপিকের অনেকগুলো আর্টিকেল দেখতে পাওয়া যায় সেগুলো থেকে আইডিয়া নিয়ে আপনি লিখতে পারেন। সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দেয়ার পরে প্রথম 10 থেকে 12 টা আর্টিকেল ভালোভাবে পড়বেন তারপর সেখান থেকে আইডিয়া নিয়ে দেখবেন।
অবশ্যই ভালো লেখক হতে হলে ভালো পাঠক হতে হবে। আপনি যদি অন্যের আর্টিকেল পড়েন তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার আর্টিকেল ও অন্য কেউ পড়বে। আর্টিকেল লেখার সময় চ্যাট জিপিটি (chat GPT) ব্যবহার করা যাবে না। অন্যের আর্টিকেল কপি করে লেখা যাবে না। সবকিছু থেকে ধারণা নিয়ে নিজের মতো করে লিখতে হবে। গুগল ট্রান্সলেট ব্যবহার করা যাবে না।এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল হতে হবে
আপনি যে আর্টিকেল টি লিখতে যাচ্ছেন অবশেষে এসে ফ্রেন্ডলি হতে হবে। এসিও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখলে আপনি গুগলে রান করাতে পারবেন না। আপনার ওয়েবসাইট গুগলে র্যাঙ্ক করানোর জন্য অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে। এর জন্য আপনাকে সর্বপ্রথম এসিও করে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। এসিও দুই ধরনের হয়ে থাকে
- ওয়ান পেজ এসিও
- অফ পেজ এসইও
ওয়ান পেজ এসিও হতে হলে প্রত্যেকটি পোস্ট Unicode format এ চলিত ভাষায় লিখতে হবে। সারা বছর গুগলে, ফেসবুক ও ইউটিউবে সার্চ হয় এমন টপিকে কন্টেন্ট লিখতে হবে। ব্লক পোস্টে আপলোড করার জন্য ছবি Webp ফরমেট হতে হবে। প্রত্যেকটি পোষ্ট ভালো করে ফরমেটিং করে লিখতে হবে। একাধিক ছোট বড় ফন্ট বা বিভিন্ন কালার ব্যবহার করা যাবে না। পোষ্টের বানান অবশ্যই শুদ্ধ হতে হবে। মৌলিক তথ্য এক্সচেঞ্জ করে নিজের মত করে লিখতে হবে।
আর্টিকেলে উপসংহার লেখার নিয়ম
আর্টিকেলের শেষে অবশ্যই শেষ কথা লিখতে হবে। অর্থাৎ আর্টিকেলের ভিতরে আপনি যা কিছু লিখেছেন তার একটা কনক্লুশন লিখতে হবে। শেষ কথা লিখে একটা কলম দিয়ে আর্টিকেলের ফোকাস কিওয়ার্ড দিতে পারেন। আপনি এভাবে লিখতে পারেন যেমন লেখক এর শেষ কথা বা শেষ কথা লিখে ফোকাস কিওয়ার্ড যুক্ত করতে পারেন। শেষ কথা অবশ্যই দুই প্যারায় লিখতে হবে।
শেষ প্যারাতে আপনার মতামত অবশ্যই তুলে ধরবেন। যে পোস্টটি আপনি লিখলেন সেই পোস্ট সম্বন্ধে কিছু কথা লিখবেন। এবং লেখকের মন্তব্য জানাতে বলবেন। দুই প্যারাতে সাড়ে তিন থেকে চার লাইন লিখতে পারেন।
শেষ কথাঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আশা করি উপরোক্ত সকল আলোচনার থেকে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে কিছুটা হলেও আপনারা উপকৃত হয়েছেন। এ সকল নিয়মকানুন ঠিক রেখে যদি আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ইনশাহ্আল্লাহ বাড়বে। সঠিক নিয়মে আর্টিকেল লিখলে লেখক আগ্রহ হবে পড়তে এছাড়াও একটি ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে তাদের মনে।
সঠিক কৌশল অবলম্বন করে আর্টিকেল লিখলে পাঠক উপকৃত হবে সে সাথে তাদের জ্ঞানও বৃদ্ধি পাবে। পাঠক পরের তৃপ্তি পেলে আপনারও আর্টিকেল লেখার প্রতি আগ্রহ এবং সুধারণা এবং জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে। আটিকের লেখা যদি একটু হলেও ধারণা পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পোষ্টের শেষে কমেন্ট করতে ভুলবেন না। এ ধরনের আরও আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে আসতে পারেন।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url