ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শিখতে হবে
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি লাগে, সকল কিছু জানতে পারলে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনার লক্ষ্য স্থির করতে পারবেন। বর্তমান বিশ্ব এখন অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবসার প্রসার ঘটাচ্ছে।
উন্নত প্রযুক্তির সাথে ব্যবসার প্রচারণার পদ্ধতি গুলো পরিবর্তন হয়েছে আর এই পরিবর্তনের মূল কারণ হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। একই সময়.কমে আপনারা জেনে নিন ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কি কি লাগে?
পোষ্টের সূচিপত্রঃ ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা
- ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য কি কি প্রয়োজন
- ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ধারণা
- ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান
- ইউটিউব ও ভিডিও মার্কেটিং সম্পর্কিত ধারণা
- ওয়েবসাইট সম্পর্কিত ধারণা
- এসিও সম্পর্কিত সঠিক ধারণা
- কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কিত ধারণা
- ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি
- মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
- ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
- শেষ কথা: ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য কি কি প্রয়োজন
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জ্ঞান থাকা জরুরী। ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য প্রথমত প্রয়োজন ইচ্ছা শক্তি, মেধা, ধৈর্য। এছাড়াও মার্কেটিং ও ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এক ধরনের মার্কেটিং। আরো অন্যান্য বিষয় আছে যেগুলো আপনারা এখন জানতে পারবেন।ডিজিটাল ডিভাইস ও ফাস্ট ইন্টারনেট সংযোগ ।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে সর্বপ্রথম প্রয়োজন হচ্ছে একটি ডিজিটাল ডিভাইস। যেমন হতে পারে একটি ল্যাপটপ বা একটি মোবাইল ফোন বা ট্যাব ইত্যাদি। আরেকটা মূল জিনিস ইন্টারনেট সংযোগ। উন্নত ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আপনি কখনোই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন না। সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে চাইলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো জানতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাই অথচ ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার জানি না তাহলে কিন্তু হবে না। সর্বপ্রথম ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার সঠিকভাবে জানতে হবে। আপনার ফ্রিল্যান্সিং করা অসম্ভব। মোবাইল ফোন কিংবা ল্যাপটপ চালানো শিখতে হবে। ভালো রামযুক্ত মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন অতি সহজেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর ধারণা
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে আমরা বুঝি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, ইউটিউব, লিংকডইন ইত্যাদি। এ সকল পদ্ধতি গুলো আমরা শুধু পরিবার বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে যোগাযোগ রাখার জন্যই ব্যবহার করি। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য এ সকল পদ্ধতি গুলোই ব্যবহার করা হয়। এ সকল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করেই কোন পণ্যের ব্যবসার প্রচার বা প্রচারণা করা হয়।
আরো পড়ুন ঃ বর্তমানে ফিল্যানন্সিং এর সবথেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে আমরা যে সকল ভিডিও বা পোস্টগুলো দেখে থাকি সেগুলোই ডিজিটাল মার্কেটিং। এভাবে আপনি যদি একটা বিজনেস দাঁড় করাতে চান তাহলে আপনার যে প্রোডাক্ট গুলো আছে সেগুলোর ছবি অথবা ভিডিও করে আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় পাবলিস্ট করতে পারেন এভাবেই ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়।
ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কিত জ্ঞান
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হচ্ছে ইমেইল মার্কেটিং। ইমেল মার্কেটিং শিখে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের কাছে পৌছাতে পারেন ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোমোশনাল কন্টেন্ট পাঠাতে সক্ষম হবেন। ইমেইল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হলো গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা। সফল ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য সঠিক ইমেইল তালিকা করা অত্যন্ত জরুরী।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য ইমেইল মার্কেটিং টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইমেইল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটা ইমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি অনেকগুলো ইমেইল একাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এভাবে গ্রাহকদের ইমেইল একাউন্ট তালিকাভুক্ত করে আপনার যে সকল পণ্য আপনি তাদের কাছে পৌঁছাতে চান সেই ইমুলের মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে পাঠিয়ে দিতে পারেন।
ইমেইলে যে সকল কনটেন্ট তৈরি করবেন অবশ্যই সেগুলো আকর্ষণই হতে হবে এবং গ্রাহকদের কাছে সেগুলো প্রাসঙ্গিক ভাবে তুলে ধরতে হবে। আপনি কি বুঝাতে চাইছেন সেই উদ্দেশ্যটা যেন আপনার গ্রাহক বুঝতে পারে। ইমেইল আসলে হচ্ছে ইলেকট্রনিক মেইল। ইমেইল মার্কেটিং এর একটা সুবিধা হচ্ছে একসাথে অনেক জনকে ইমেইল পাঠানো যায় লিস্ট আকারে।
ইউটিউব ও ভিডিও মার্কেটিং সম্পর্কিত ধারণা
ইউটিউব বা ভিডিও মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে শুটিং স্ক্রিপ্ট এবং ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা অর্জন করতে হবে। বর্তমানে youtube মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ এখন সরাসরি ভিডিও দেখতেই পছন্দ করে। আর সঠিক কনটেন্ট তৈরি করে ইউটিউবে মাধ্যমে আপনার পণ্যের প্রচারণা করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব বা ভিডিও মার্কেটিং একটি সঠিক পন্থা। ব্যবসার প্রচার এবং প্রসারের অন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। বর্তমানে ইউটিউবের মাধ্যমে ভিডিও আপলোড করে কোন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার প্রচারণায় ইউটিউব মার্কেটিং। আপনার ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ইউটিউবে চ্যানেল খুলে আপনার পণ্যের প্রতারণা করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ কানাডার ভিজিট ভিসার নিয়ম ও ভিজিট ভিসা প্রসেসিং টাইম সম্পর্কে বিস্তারিত
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এ একটা বড় জায়গা নিয়ে আছে ইউটিউব মার্কেটিং। ছোট বড় সকলেই ইউটিউব ব্যবহার করে। আর একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে ইউটিউবে চ্যানেল খুলে সেই চ্যানেলে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে মানুষ ডিজিটাল ভাবে মার্কেটিং করে ইনকাম করছে। তবে সবার জন্য এই এই ট্যুর মার্কেটিং গ্রহণযোগ্য নয়। Youtube মার্কেটিং এর জন্য ভিডিও এডিটিং এবং ভিডিও আপলোড ও স্ক্রিপ্ট লেখা জানতে হবে।
ওয়েবসাইট সম্পর্কিত ধারণা
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে অবশ্যই আপনাকে ওয়েবসাইট সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে গ্রাহককে আপনার ওয়েবসাইটে নিয়ে আসা এবং বিভিন্ন সেবা ও কনটেন্টের মাধ্যমে আকৃষ্ট করা। ওয়েবসাইটে মূলত গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করে পাবলিস্ট করা।
ওয়েবসাইট ভালোভাবে কাস্টমাইজ করা যেন গ্রাহকরা দেখে আকৃষ্ট হয় এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া। আপনাকে বুঝতে হবে গ্রাহক সবচাইতে বেশি কোন জিনিস দিয়ে সার্চ করে সার্চ ইঞ্জিনে অবশ্যই মোবাইল দিয়ে কারণ মোবাইলটা একটা ছোট এবং সহজ জিনিস যেটা খুব সহজেই বহন করা যায়। বেশিরভাগ সার্চ মানুষ মোবাইল দিয়ে করে থাকে তাই আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
ওয়েবসাইট তৈরির মাধ্যমে আপনি খুব দ্রুত ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরি করার পর আপনি ভালোভাবে আপনার ওয়েবসাইটে কন্টেন্ট পাবলিস্ট করে সব নিয়মকানুন মেনে কাজ করলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি এডসেন্স পেয়ে যেতে পারেন। এইজন্য ওয়েবসাইট তৈরি করাটা একজন ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য খুবই জরুরী।
এসিও সম্পর্কিত সঠিক ধারণা
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এ সিও সম্পর্কে যথার্থ ধারণা থাকতে হবে। কারণ একটা ওয়েবসাইটের জন্য এ সিও গুরুত্বপূর্ণ। এ সি ওর মাধ্যমে একটা ওয়েবসাইটকে গুগলে রেঙ্ক করতে সাহায্য করে। এশিয়ার অনেকগুলো সেক্টর আছে যেমন-এস ই এম, লোকাল এসিও, ই-কমার্স এসইও, ভিডিও এসো ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাচ স্কেল হচ্ছে এসইও। এশিয়ার খুঁটিনাটি এবং বিস্তারিত জেনে আপনি আপনার পছন্দের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারেন। আপনি যদি নিজেকে একজন এসো এক্সপার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন তাহলে মার্কেটিং এ আপনি নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। এ সিও করে আপনি ক্লায়েন্টের ওয়েবসাইটের এডিট এবং রিপোর্ট তৈরি করে দিতে পারেন।
আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এশিয়ার সবচাইতে ভালো একটি মাধ্যম ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য। এসো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক করানোর জন্য প্রথম পেজে আনা হয়। গুগল সহ প্রতিটি সার্চ ইঞ্জিনে টপ পজিশনে আপনার ওয়েবসাইট প্রথম পেজে আনার নাম এসিও।
কনটেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কিত ধারণা
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আরেকটি কৌশল হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি বা রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্যের প্রচার এবং গ্রাহকের আস্থা অর্জন করতে পারেন। কনটেন্ট মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে যেটি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে সঠিকভাবে কি ওয়ার্ড রিসার্চ। সুন্দর কনটেন্ট লেখার জন্য আপনাকে আকর্ষণীয় কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
কনটেন্ট তৈরী করে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন ব্লক এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা ইনফোগ্রাফিক এর ইত্যাদির মাধ্যমে। গ্রাহক কি ধরনের কনটেন্ট চাই সেরকম কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কনটেন্ট লিখতে হবে। কনটেন্ট কাস্টমাইজ করতে হবে ভালোভাবে যেন পাঠক ওয়েবসাইটের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভালো কনটেন্ট ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করতে হবে। যে সকল কিওয়ার্ড রেংক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সে ধরনের কিওয়ার্ড নিয়ে কন্টেন্ট লিখতে হবে। কনটেন্ট এর ভাষা অবশ্যই মার্জিত হতে হবে পাঠক যেন আপনার কন্টেন্ট পরে বুঝতে পারে সে ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে হবে। এভাবে কনটেন্ট রাইটিং করে ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটা জায়গা নিয়ে আছে। গোটা বিশ্ব এখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। ডিজিটাল মার্কেটিং করে সময় বাঁচানো ও সঠিক সময়ে পণ্যের প্রচার করানো সম্ভব হয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে ওয়ান লাইনের মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবার প্রচার করা বিশ্বের যে কোন প্রান্তে।
ডিজিটাল মার্কেটিং টা এমন একটা জায়গা যেখানে আপনি নিজ স্বাধীন মত কাজ করতে পারবেন। অর্থাৎ চাকরির ক্ষেত্রে যেটা দেখা যায় কারো আন্ডারে বা কোন বসের আন্ডারে কাজ করা নির্দিষ্ট একটা জায়গায় বসে কাজ করা কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংটা এর বিপরীত। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি বাইরে বা মার্কেটপ্লেসে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই আপনি ঘরে বসেই নিজ স্বাধীন মত নিজের ব্যবসা নিজেই চালিয়ে নিতে পারবেন।
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটা সবাই পছন্দ করে। আর কিরণ সিং এর মধ্যে অনেক সেক্টর আছে তার মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং। আর এর জন্য আপনার একটা ডিজিটাল ডিভাইস থাকলে চলবে। যেহেতু এটা অনলাইন ভিত্তিক অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকা বাঞ্জনীয়। নিজেকে একজন উদ্যোক্তা বানানোর জন্য অবশ্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন তুলনা হয় না।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং
হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন অনেক ডিজিটাল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম আছে যেগুলো আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারেন। প্রথমত আপনি মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে আপনার কান্ট্রি তো ডিজিটাল মার্কেটিং সার্চ দিবেন তারপর সেখানে অনেক টিউটোরিয়াল আছে সেগুলো দেখে আপনি প্র্যাকটিস করতে পারেন। তাছাড়া অনেক সুন্দর সুন্দর ব্লগ পোস্ট আছে সেগুলো অনুসরণ করে আপনি মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটে শিখতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার অনেক আরো উপায় হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার সুষ্ঠু ব্যবহার সোশ্যাল মিডিয়া বলতে instagram twitter facebook ইত্যাদি এগুলো ব্যবহার করে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন। এগুলোর মধ্যে অনেক বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ধারণা দিয়ে থাকে সেগুলো আপনি ফলো করতে পারেন।
অনেক চ্যানেল বা ফ্রিল্যান্সারদের ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা দিয়ে থাকে। সে সকল ধারনা গুলো আপনি আয়ত্ত করে মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারেন আর এ সকল কাজ বা ভিডিও দেখা আপনি মোবাইল দিয়েই করতে পারেন। তবে অনেক কাজ আছে যেগুলো মোবাইল দিয়ে করা যায় না যেমন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি এসব কিছু আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন না।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো প্ল্যাটফর্ম আছে। প্রথমত আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে কোন প্লাটফর্ম নিয়ে আপনি কাজ শিখতে চান অর্থাৎ ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান। নতুনরা যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান সর্বপ্রথম আপনাদের অনলাইনে ইউটিউবে অনেক ফ্রি ভিডিও আছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সে ভিডিওগুলা আপনি এক এক করে ভালোভাবে দেখে নিতে পারেন। তাহলে আপনি সাময়িক একটা ধারণা নিতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে সেক্টরগুলো আপনার কাছে সহজ মনে হবে আপনি সেটা নিয়েই কাজ করতে পারেন। ধরুন আপনার ইউটিউব মার্কেটিং পছন্দ হলো তাহলে ইউটিউব মার্কেটিং লিখে গুগলে অথবা youtube এ সার্চ দিলে অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন সেই টিউটোরিয়াল গুলো মনোযোগ সহকারে আপনি দেখতে পারেন। যখন আপনি ধারণা নিতে পারবেন তখন ইউটিউবে আপনি একটা অ্যাকাউন্ট খোলার চেষ্টা করবেন।
ইউটিউব জানলে আপনি আপনার পছন্দ মতো ভিডিও তৈরি করে সেগুলোকে পাবলিস্ট করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি মনে করেন না ইউটিউব মার্কেটিং এর থেকে এসিও মার্কেটিং আপনার কাছে সহজ মনে হয়েছে আপনি সেই ব্যাপারে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। এভাবে যে কোন একটা প্লাটফর্ম ভালোভাবে আয়ত্ত করে আপনি মার্কেটপ্লেসে অনেক কাজের এবং ইনকামের সুযোগ পাবেন।
আরেকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন যদি পূর্বেই আপনার কোন বিজনেস থেকে থাকে আর সেটা যদি অফলাইনে হয় তাহলে আপনি সেটাকে অনলাইন ভিত্তিক বিজনেস করে নিতে পারেন। আর অনলাইনে বিজনেস করতে হলে আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই করতে হবে। অর্থাৎ আপনার কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য আছে সেগুলো আপনি ডিজিটাল সেক্টরগুলোর মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছে দিবেন বিভিন্ন ভিডিও এবং পোস্টের মাধ্যমে।
শেষ কথা: ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য
আজকের এই পোস্টে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কি কি শেখা দরকার আশা করি আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর এ সকল সেক্টরগুলোর থেকে যেকোনো একটা বা দুইটা প্লাটফর্ম পছন্দ করে আপনি আপনার ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করাতে পারেন।
অবশেষে এটা বলতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং বা যেকোনো কাজ অথবা নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অবশ্যই আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং ধৈর্য সহকারে বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপ করে আপনাকে কাজ করতে হবে। যে সকল টপিক গুলো নিয়ে আজ আলোচনা করলাম সেগুলো নিয়ে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন। এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। ধন্যবাদ।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url