অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম ও অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা কি
Techysomoy
১৫ অক্টো, ২০২৪
অ্যালোভেরা জেল নিয়ে আমাদের মনে বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন হয়ে থাকে। আজকে এই
আর্টিকেলে আপনাদের জন্য এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম ও এর উপকারিতা
সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
যারা এলোভেরা জেল চেনেন কিন্তু এর ব্যবহার জানেন না তাদের জন্য আজকে এই আর্টিকেলে
জানিয়ে দেওয়া হবে কিভাবে এলোভেরা জেল ত্বকে, চুলে এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার
করা যায়। অ্যালোভেরা এমন একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।
অ্যালোভেরা এক ধরনের ভেষজ জাতীয় উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার গাছ দেখতে অনেক টা
আনারস গাছের মতো। এলোভেরা জেল ব্যবহার করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে একটি গাছ
লাগাতে হবে। সেই গাছ থেকে অ্যালোভেরা পাতা কেটে এর ভিতর থেকে জেলগুলো বের করতে
হবে। সাধারণত এই জেলগুলো ব্যবহারের জন্য উপযোগী। প্রাকৃতিক কিছু ব্যবহারের ফলে
যদি ত্বক সুন্দর এবং মস্রৃণ তে চান তাহলে এই অ্যালোভেরা জেল যথেষ্ট।
অ্যালোভেরা গাছ থেকে তুলে ভালো করে ধুয়ে তারপর এর ভেতর থেকে জেলগুলো বের করে
নেবেন। জেল বের করা হয়ে গেলে কাজের কোন পাত্রে অথবা বাষ্পমুক্ত
কোন কৌটাতে করে ফ্রিজে অনেক দিন রেখে দিতে পারেন। প্রত্যেকদিন দিনে দুই
থেকে তিনবার করে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া বাজারে এখন অনেক ভালো
অ্যালোভেরা জেল কিনে পাওয়া যায়। চাইলে আপনি সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
বাইরে রোদ থেকে আসার পরে ত্বক ভালো করে ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নেবেন তারপর
এই অ্যালোভেরা জেল গুলো একটু ভালো করে লেয়ার করে লাগিয়ে দিবেন। কিছুক্ষণ পরে
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলে দিবেন। গানের দাগ দূর করার জন্য অ্যালোভেরা নেই
বললেই চলে। এলোভেরা জেলের সঙ্গে মুলতানি মাটি এবং গোলাপজল
মিশিয়ে প্যাগ বানিয়ে মুখে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা
অ্যালোভেরা অনেকেই চেনে না। অ্যালোভেরা এর আরেকটি নাম ঘৃতকুমারী। কেউ ঘৃতকুমারী
নামে চেনে কেউ অ্যালোভেরা নামে চেনে তবে বর্তমানে এলোভেরা খুবই জনপ্রিয় হয়ে
উঠেছে সকলের কাছে। এলোভেরা জেল আমরা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করি।ত্বকে বিভিন্ন
ধরনের কালো দাগ, মেছতা, বয়সের ছাপ, চোখের নিচে কালো দাগ বিভিন্ন সমস্যা সমাধান
করা যায়।
বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের এলোভেরা জেল কিনে পাওয়া যায়। সেগুলো আপনি ব্যবহার
করতে পারেন। তাছাড়া প্রাকৃতিকভাবে গাছ থেকে এলোভেরা জেল তুলে নিয়ে ব্যবহার
করতে পারেন।এলোভেরা জেল ব্যবহারের ফলে ত্বক অনেক উজ্জ্বল দেখায়, মুখের
বিভিন্ন দাগ দূর হয়, ত্বক মসৃণ রাখে। মধু, চালের গুড়া, বেশন ইত্যাদির সাথে
মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেল চুলের জন্য খুবই উপকারী। চুলের গোড়া শক্ত করে, চুলকে সিল্কি করে
এবং চুল পড়া বন্ধ করে। অ্যালোভেরা জেল ব্লান্ড করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখা
যায়। এবং পরবর্তীতে সেগুলো গাছের মেহেদী, নারিকেল তেল,
লেবু একসাথে মিক্সড করে ভালোভাবে চুলে ম্যাসাজ করে নেবেন। দুই থেকে তিন
ঘন্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলে দেবেন।
অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করেও সেটি ব্যবহার করা যায়। তাছাড়া যাদের
পায়ের গোড়ালি ফেটে যায় সেখানে আলতোভাবে ঘষে লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে
নিতে হবে। যাদের মাথা গরম থাকে বা মাথা দিয়ে তাপ বের হয় তারা মাথায়
লাগিয়ে রাখতে পারেন মাথা ঠান্ডা থাকে। তবে যাদের ঠান্ডা লাগার সমস্যা আছে
তারা একটু সাবধানতা অবলম্বন করেন। কারণ এলোভেরা একটি ভেষজ উদ্ভিদ।
অ্যালোভেরা জেল তৈরি করার নিয়ম
অ্যালোভেরা জেল বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা যায় তবে ঘরোয়া কয়েকটি উপায়ে তৈরি
করার পদ্ধতি নিচে আলোচনা করা হল।প্রথমে কিছু অ্যালোভেরা পাতা নিয়ে পানিতে
ভিজিয়ে রাখতে হবে।হলুদ কষ বের হয়ে গেলে পাতা গুলো ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।
দুইপাশের কাঁটাযুক্ত অংশগুলো কেটে নিতে হবে তারপরে চা চামচ দিয়ে এর ভেতরের
নির্যাস গুলো ভালো করে বের করতে হবে।
আপনার পরিমাণ মত এলোভেরা জেল নিয়ে তাতে পরিমাণমতো গ্লিসারিন ও ভিটামিন-ই
ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ভালোমতো পেস্ট হয়ে গেলে
শুকনা কাচের পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। তবে ব্লেন্ড করার সময় খেয়াল রাখতে হবে পাতার
কোনো অংশ যেন এর ভেতরে না যায়।
কয়েকটা এলোভেরার পাতা কেটে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে কারণ এর ভিতর থেকে যে
হলুদ রঙের রস বের হয় সেগুলো সম্পূর্ণ বের হয়ে যেতে দিতে হবে কারণ ওই হলুদ রস
ল্যাটেক্স জাতীয় সেগুলোতে মুখ জ্বালা পোড়া করে। অ্যালোভেরার পাতার ভেতরের সাদা
নরম অংশগুল বের করে নিতে হবে যেন এর পাতার কোন অংশ না থাকে তারপর ভিটামিন সি
পাউডার মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেণ্ড করতে হবে এভাবে তৈরি করা যায় অ্যালোভেরা জেল।
ত্বকে এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারীতা
অ্যালোভেরা জেল বিভিন্ন ঋতুতে ব্যবহারে বিভিন্ন উপকারিতা হয়েছে। শুষ্ক ত্বকে
এলোভেরা জেল ব্যবহারে ত্বক মসৃণ, সুন্দর, সতেজ ও উজ্জ্বল রাখে। এক টেবিল চামচ
এলোভেরা জেল নিয়ে তাতে কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে মাখিয়ে রাখুন পনেরো
মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন ত্বকের সান বার্ন দূর করে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের ফলে ত্বক ভিটামিন এ,বি,সি,ই উপাদান ত্বকের পুষ্টি
যোগাতে সহযোগিতা করে। নিয়মিত এলোভেরা জেল ঠোঁটে মাখলে ঠোঁট ফাটা বন্ধ হয় এবং
নরম থাকে। শীতকালে এলোভেরা জেল মশ্চারাইজার হিসেবে খুবই উপযোগী। যাদের শরীর শুষ্ক
এবং শীতকালে পা ফেটে যাই এই অ্যালোভেরা জেল টি ভালোভাবে পায়ে মেসেজ করে ১০-১৫
মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলতে হবে এবং এর উপকারিতা লক্ষ্য করতে পারবেন।
অ্যালোভেরার সঙ্গে কয়েকটি উপকরণ যেমন-কাঁচা হলুদ, টক দই, মধু, চালের গুড়া, মসুর
ডালের গুড়ো, লেবু, নিমপাতা, ইত্যাদি যেকোনো দুই ধরনের উপকরণ এলোভেরার সঙ্গে
মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট বানিয়ে ত্বকে আলতো করে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ থেকে ২৫
মিনিট পর ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। তবে অবশ্যই এসব উপকরণ মুখে বা ত্বকে
লাগানোর আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
এসব উপকরণ ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক মসৃণ সতেজ এবং নরম হবে। তাছাড়া আপনি
শুধুমাত্র অ্যালোভেরা জেল ত্বকে তকে মেসেজ করতে পারেন এতে ও অনেক উপকার আছে।
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান পেয়ে যাবেন।
যেমন-
ত্বক কুঁচকে যাওয়া রোদ করে;
মুখের ব্রণের দাগ দূর হওয়া;
চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে;
তৈলাক্ততা দূর করে;
রোদে পোড়া কালো দাগ ভ্যানিশ করে;
মেছতার দাগ দূর করে;
ত্বকের যৌবন ঠিক রাখে;
স্কিনের মেকআপ রিমুভ করতে সহায়তা করে।
চুলের পরিচর্যায় এলোভেরা জেলের ব্যবহার
সুন্দর লম্বা চুল কে না পছন্দ করে সবাই চায় তার চুল সুন্দর সিল্কি রাখতে। এজন্য
আমাদের চুলের পরিচর্যা করতে হবে। কিভাবে আমরা ঘরোয়া উপায়ে চুলের পরিচর্যা করতে
পারি? এলোভেরা দিয়ে চুলের পরিচর্যা করা যায় এবং চুল লম্বা সিল্কি আকর্ষণীয় করা
যায়। বিভিন্ন উপায়ে এলোভেরা দিয়ে চুলের পরিচর্যা করা যায় কয়েকটা উপায়ে নিচে
আলোচনা করা হলো।
প্রথমত আপনার চুলের পরিমাণ মতো অ্যালোভেরা নিয়ে তার সাথে মেহেদী পাতা বাটা এবং
লেবুর রস ভালোভাবে পেস্ট করে আপনার চুলের গোড়ায় মাখিয়ে নিতে হবে। অর্থাৎ ভালো
করে চুলে ম্যাসাজ করে নিতে হবে। তারপর তিন থেকে চার ঘন্টা লাগিয়ে রেখে ভালোভাবে
শ্যাম্পু করে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
তাছাড়া এলোভেরার সাথে কাস্টার অয়েল ও লেবুর রস, মেহেদি পাতা একসাথে মিশিয়ে
পেস্ট করে চুলে ভালো করে মিস করতে হবে ভালোভাবে চুলে মেসেজ করার পর তিন থেকে চার
ঘন্টা রেখে দিতে হবে তারপর সুন্দর করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।তবে শ্যাম্পু
করে ধুয়ে ফেললে ভালো হয়। ফলে মাথার খুশকি দূর হয়।
অ্যালোভেরার সাথে ডিমের সাদা অংশ, পেয়াজ বাটা এবং নারিকেল তেল ভালো করে মিশিয়ে
অর্থাৎ পেস্ট বানিয়ে চুলের গোড়াই ভালোভাবে লাগিয়ে নিতে হবে। কারন আমাদের চুল
গোড়া থেকে শক্ত না হলে সেই চুল পড়ে যায় তাই চুলের গোড়াতে ভালোভাবে লাগানোটায়
উত্তম। চুলে লাগানোর পর চুল শুকিয়ে গেলে সুন্দর করে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিতে
হবে। হলে আপনার চুল অনেকটাই সিল্কি হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরার সঙ্গে মেথি বাটা, ক্যাস্টর অয়েল, লেবু মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট
বানিয়ে আপনার চুলে এপ্লাই করুন। তারপর তিন থেকে চার ঘণ্টা পর আপনার চুল ভালোভাবে
ধুয়ে নেবেন। চুল শুকানোর পর আপনি নিজেই এর প্রতিফল দেখতে পাবেন। আপনার চুল অনেক
নরম মসৃণ এবং সতেজ ও সিল্কি হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
অ্যালোভেরা শুধু ত্বক এবং চুলের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় তা নয় এটি পেটের বিভিন্ন
সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়।হজম শক্তিতে সহায়তা করে অ্যালোভেরা। এলোভেরা রস
খাওয়ার ফলে দেহের অভ্যন্তরে অনেক দূষিত পদার্থ শুষে নিয়ে মলাশয় দিয়ে বের
করে,ফলে আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
খালি পেটে এলোভেরার রস খেলে কি হয়
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। কারণ এলোভেরাতে রয়েছে
ভিটামিন,মিনারেল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। খালি পেটে এলোভেরা খেলে হজমের সহায়তা
করে।কারণ এলোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।গ্যাসের
সমস্যা সমাধান হয়। প্রয়োজনে আপনি বাসায় এলোভেরা গাছ লাগিয়ে প্রতিদিন নিয়মিত
এর জুস করে খেতে পারেন
ওজন কমাতে সহায়তা করে
অ্যালোভেরা যেহেতু একটি ভেষজ উদ্ভিদ এবং প্রচুর পরিমাণে পানি থাকার কারণে শরীরে
জমে থাকা চর্বি বা মেদ কমাতে সহায়তা করে। যদিও এটা সরাসরি অর্থাৎ খালি মুখে
এলোভেরা রস পান করতে খারাপ লাগে তাহলে এর সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে
পারেন। আরো অন্যান্যো সমস্যা সমাধানে এলোভেরা জেলের ভূমীকা যেমন-
অ্যালোভেরার রস খাওয়ার পরে শরীর ঠান্ডা থাকে
মস্তিষ্ক ঠিক থাকে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
শরীরের মেদ কমায়
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
চিকিৎসায় এলোভেরা জেল এর ব্যবহার
চুলের শুষ্ক ভাব ও ত্বকের চুলকানি দূর করার জন্য এই জেল ঔষধ হিসেবে ব্যবহার
করতে পারেন। এটি অনেক সময় ক্ষতস্থানে ব্যবহার করা যায়। যেহেতূ এটিতে
অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও আন্টি ফাঙ্গাস উপাদান রয়েছে সেহেতু চুল শক্ত ও খুশকি
দূর করতে সহায়তা করে। চুলকানি, রোদে পোড়া দাগ এবং ত্বক মসৃণ, সতেজ রাখতে
সহায়তা করে । অ্যালোভেরা তে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক ইত্যাদি
ফলে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ভূমিকা রাখে।
হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এলোভেরার জুস। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত
সঞ্চালন সঠিক রাখে। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখে। মাংস পেশী ও জয়েন্টের
ব্যথা দূর করে। শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। খাওয়ার আগে ও পরে
নিয়মিত এলোভেরা জুস পান করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। স্তন ক্যান্সার
বিস্তার রোধ করে।
তাছাড়া এলোভেরার রসে অ্যামিনো এসিড থাকাই বুক জ্বালাপোড়া কমাই। অ্যালোভেরা বা
ঘৃতকুমারী মানব জীবনের জন্য খুবই উপকারী একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই জেল যেকোন ছোট ছোট
কাটা, পোড়া নিরাময়ে খুবই উপযোগী।
ভালো অ্যালোভেরা জেল নির্বাচনের উপায়
যদি কারো বাসায় এলোভেরা জেল বা গাছ না থাকে তাহলে মার্কেটে অনেক প্রোডাক্ট আছে
যেগুলো আপনি কিনতে পারেন। তবে কেনার আগে যাচাই বাছাই করে দেখে শুনে কেনা উচিত।
তবে মার্কেটে অনেক প্রোডাক্ট হওয়ার কারণে ভালো অ্যালোভেরা চিনতে সমস্যা হয়।
ভালো অ্যালোভেরা জেল নির্বাচন করতে হলে কয়েকটা শর্ত অবলম্বন করতে হবে।
প্রথমত প্যাকেজিং এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এলোভেরা জেল যে প্লাস্টিকের বোতলে
রাখা হয় সে বোতলটা অবশ্যই স্বচ্ছ হতে হবে। প্লাস্টিকের বোতলটা অবশ্যই সাদা রঙের
হবে যেন বাইরে থেকে দেখা যায়। কি কি কেমিক্যাল দেওয়া আছে সে প্রস্তুত প্রণালী
গুলো পড়ে নিতে হবে। সুগন্ধি জাতীয় কিছু নেশা থাকলে সেটা ক্রয় করা থেকে বিরত
থাকবেন।
যে সকল অ্যালোভেরা জেল তৈরি করতে কোন কেমিক্যাল প্রয়োজন হয়নি সে সকল অ্যালোভেরা
জেল ক্রয় করবেন। যদি তার সাথে প্রাকৃতিক কিছু প্রোডাক্ট মিশ্রিত থাকে যে সকল
প্রোডাক্ট আপনি জানেন বা চেনেন তাহলে আপনি অবশ্যই সেগুলো ভালোভাবে যাচাই করে
তারপর নিতে পারেন।
অ্যালোভেরা জেলের সুবিধা
অ্যালোভেরা জেলের অনেক সুবিধা আছে। তবে বিশেষ করে যে সুবিধা গুলো হল অন্যান্য
অনেক প্রোডাক্ট আছে যেগুলো বাইরে থেকে কিনে আমরা ব্যবহার করে থাকি। আর সে সকল
প্রোডাক্টগুলোতে অনেক ধরনের মেডিসিন অথবা সুগন্ধি যুক্ত থাকে। আমরা আসলে বুঝতে
পারি না কোনটা ভালো বা কোনটা খারাপ। কিন্তু এলোভেরা জেলের সেই সমস্যাটা
নাই।
বাড়িতে একটা এলোভেরা গাছ লাগিয়ে আমরা সেখান থেকে প্রতিনিয়ত সেগুলা ব্যবহার
করতে পারি। তাছাড়া এলোভেরা জেল কেনার জন্য আমাদের বাইরে যেতে হবেনা।
প্রাকৃতিকভাবে গাছ থেকে আমরা অ্যালোভেরার পাতা তুলে সেখান থেকে জেল বের করে
প্রতিনিয়ত আমরা ব্যবহার করতে পারি। অ্যালোভেরা জেল ব্যবহারের ফলে কোন সাইড
ইফেক্ট দেখা দেয় না।
আমরা টাকা খরচ ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে খুব কম সময়ে এলোভেরা জেল বানিয়ে ব্যবহার
করতে পারি। অন্যান্য গাছের মতো এই অ্যালোভেরা গাছের পরিচর্যা করার প্রয়োজন হয়
না একটা গাছ লাগালেই সেটা থেকে অনেক অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। এজন্য এলোভেরা জেলের
সুবিধা অনেক। প্রত্যেকের উচিত অ্যালোভেরা গাছ লাগানোর তাছাড়া এই গাছ শুধু ত্বক
অথবা শরীরে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হয় না এটি অন্যান্য ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত
হয়।
শেষ কিছু কথা
আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে এলোভেরা জেল ব্যবহারের নিয়ম এটি ব্যবহারের ফলে
ত্বকের কি কি উপকার হয়,কিভাবে ব্যবহার করতে হয় বুঝতে পেরেছেন।অ্যালোভেরা কে আদি
যুগ থেকে ঘৃতকুমারী
নামে পরিচিত।ঔষধী গাছ হিসেবেও অনেক খ্যাত আলভেরা।
আলভেরার উপকারিতা ও ব্যাবহারের নিয়ম সম্পর্কে এই পোস্টে যতটুকু আলোচনা করা হল আশা
করছি আপনি উপকৃত হয়েছেন।এই ধরনের আরও পোস্ট পরতে চাইলে টেকিসময় ডট কমে ভিজিট করতে
পারেন।আর পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে কমেন্ট অবশ্যয় করবেন।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url