শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায় ও নিয়মাবলী
মানুষের জীবনের সবচাইতে বড় সম্পদ হলো সুস্থতা। শরীর সুস্থ না থাকলে মন ভালো থাকে না। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা একে অপরের পরিপূরক। দৈনন্দিন জীবনে এবং আধুনিক জীবন দশায় আমাদের মন এবং শরীর সুস্থ রাখা অত্যন্ত জরুরি।
দৈনন্দিন জীবনে এবং কর্মব্যস্ততায় আমরা সবকিছুর খোঁজ নেই কিন্তু আমাদের নিজের শরীর এবং মনের যত্ন নিতে ভুলে যায়। সেজন্য প্রত্যেকের উচিত নিজের শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার এবং নিজের যত্ন নেওয়ার।সূচিপত্রঃসুস্থ থাকার উপায় ও নিয়মাব
- শারীরিক সুস্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
- মানসিক সুস্থতার উপায় ও গুরুত্ব
- শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
- বসবাসর উপযোগী পরিবেশ
- কাজের পাশাপাশি পরিমিত বিশ্রাম গ্রহণ
- রুটিন অনুযায়ী জীবন যাপন করা
- শেষ কথা- সুস্থ থাকার উপায় ও নিয়মাবলী সম্পর্কিত
শারীরিক সুস্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়
শারীরিক সুস্বাস্থ্য আমাদের জীবনের উপর খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে শরীর সুস্থ থাকা কতটা জরুরি সেটা অবশ্যই আপনারা সবাই জানেন। কর্মব্যস্ততায় শরীর সুস্থ রাখার কথা ভুলে যাই। কিন্তু সর্বপ্রথম সুস্বাস্থ্যের কথাই চিন্তা করা জরুরী। শারীরিক সুস্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি উপায় এবং গুরুত্ব আলোচনা করা হলো।
সুষম খাদ্য গ্রহণ
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আমাদের সুষম খাদ্য রাখা উচিত। যেমন ফল, সবজি , শর্করা, আমিষ, মিনারেল, ফ্যাট ও ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া। খাদ্য আমাদের দেহের একটা অপরিহার্য অংশ। আর প্রতিদিন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ না করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে না। মাছ, মাংস, ডাল এসব কিছু খাবার তালিকায় থাকা ভালো। পুষ্টিকর খাদ্য বলতে আমরা কি বুঝি চলুন দেখে নেই।
শর্করা-ভাত, রুটি, আলু
প্রোটিন-মাছ, মাংস, ডিম, ডাল
ভিটামিন ও মিনারেল-কাঁচা ফলমূল, শাকসবজি
ফ্যাট জাতীয়-বাদাম, তেল, বীজ ইত্যাদি
সময়মতো খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন তিন বেলা খাবার টাইম মতো খেতে হবে। বিশেষ করে সকালের নাস্তা বাদ দেওয়া যাবে না। সকালের খাবারটাই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপযোগী।
নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম
নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের শরীরের কার্যক্রম সচল রাখে। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাটা, সাইকেল চালানো বা দৌড়ানো। প্রতিদিন এরকম নিয়ম মেনে কাজ করা শুধু আমাদের ওজনকেই কমায় না আমাদের শরীর সুস্থ রাখে এবং শরীরের কার্যক্রম সক্রিয় রাখে হৃদি যন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য পানির কোনো বিকল্প নাই। পানি আমাদের শরীরের একটা অংশ । পানির অপর নাম জীবন এটা সবাই জানি তবে নিয়মিত কতটুকু পানি পান করা আমাদের প্রয়োজন এটা হয়তো অনেকের জানা নাই। একটা সুস্থ স্বাভাবিক মানুষকে প্রতিদিন ৩ থেকে সাড়ে তিন লিটার পানি পান করা উচিত। পানি পান করার ফলে আমাদের শরীর ঠান্ডা থাকে এবং মন স্থির থাকে, আমাদের কিডনি ভালো রাখে।
পর্যাপ্ত ঘুম
প্রতিদিন আমাদের পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। ঘুম না হলে আমাদের মেজাজ খিটখিটে থাকে শরীর ভালো থাকে না কাজে মনোযোগ বসেনা। সেজন্য প্রতিদিন আমাদের সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। ঘুমকে শরীর ভালো রাখার মেডিসিন বলা হয়। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ঘুম মানুষের জীবনকে সতেজ করে তোলে।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
রুটির মাফিক ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। মাঝেমধ্যে আমাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত আমাদের শরীরে কোথাও কোন সমস্যা আছে কিনা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু টেস্ট করা দরকার। পরামর্শ অনুযায়ী শরীর চেক করা অত্যন্ত জরুরি।
মানসিক সুস্থতার উপায় ও গুরুত্ব
শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক। যদি আপনার শরীর ভালো না থাকে তাহলে মন ও ভালো থাকবে না। দুইটা ব্যালেন্স করে আমাদের চলতে হবে। কি পন্থা অবলম্বন করলে আমাদের শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকবে সেটা লক্ষ করা উচিত।
শরীরের মত মনের স্বাস্থ্য রয়েছে তবে আমরা শরীর ভালো রাখার জন্য অনেক ধরনের কাজ করে থাকি যেমন ভালো ভালো খাবার খায়। কিন্তু আমরা মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য করি না। তাই অনেক সময় দেখা যায় শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও মানসিকভাবে ভালো থাকা যায় না। কাজে মনোযোগ বসাতে পারি না।
অনেক সময় লক্ষ্য করবেন মন প্রফুল্ল থাকলে শরীর খারাপ হলেও দৈনন্দিন জীবনের কাজকর্ম আমরা করে থাকি। কিন্তু মন ভালো না থাকলে শরীর ভালো থাকলেও আমরা কোন কাজে মনোযোগ বসাতে পারি না বা করতে পারি না তখন আমরা অলস জীবন যাপন করি। মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি উপায় আলোচনা করা হলো।
পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে যেমন মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, শাকসবজি ভিটামিন, মিনারেল ইত্যাদি খেতে হবে। এ সকল কিছু খাওয়ার ফলে আমরা শরীরে এনার্জি পাই তখন মন ও ভালো থাকে।
পরিমিত ঘুম
ঘুম শরীর সুস্থ রাখার ও মানসিক সুস্থ থাকার একটা অপরিহার্য অংশ। খাওয়া একটু কম হলেও ঘুমটা আমাদের অত্যন্ত জরুরী। ২৪ ঘন্টায় যদি আমরা ৪ ঘন্টাও না ঘুম হয় তাহলে আমাদের মন-মানসিকতা কিছুই ভালো থাকেনা। তখন পরিবারের লোকজন বা বাইরের সমাজের লোকজনের সাথে আমরা খারাপ আচরণ করে থাকি। তাই আমাদের প্রতিনিয়ত ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
আত্মীয়তার সাথে সু-সম্পর্ক
মানসিকতা ভালো রাখার জন্য আমাদের আত্মীয়তার সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলতে হবে। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে। আমরা জানি মানুষ সামাজিক জীব কিন্তু বড় হওয়ার পাশাপাশি আমরা আত্মীয়তার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে ফেলি কিন্তু মোটেও এটা উচিত নয়। তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতার করতে হবে তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে তাহলে আপনার মানসিক শান্তি লাভ করবেন।।
মাদকদ্রব্য ধূমপান বর্জন
অনেক সময় আমরা টেনশন দূর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের নেশায় জড়িত হয়ে যায় যেমন- মাদকদ্রব্য ধূমপান অ্যালকোহল জাতীয় ইত্যাদি। এ সকল কিছু পান করার ফলে আমাদের ক্যান্সার মত বড় ব্যাধি হতে পারে। এ সকল কিছু বর্জন করায় আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ইতিবাচক চিন্তা ভবনা
আমাদের সব সময় ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করতে হবে।। নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা আমাদের মন মানসিকতা নষ্ট করে দেয় ।মানুষিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য আমাদের ইতিবাচক চিন্তাভাবনার শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
নিজেকে সময় দেয়া
আমাদের কর্মব্যস্তায় আমরা সব সময় অন্যকে নিয়েই বা কর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকি নিজের জন্য চিন্তা করি না। তবে সর্বপ্রথম আমাদের নিজেকে সময় দেওয়া উচিত। যে সকল কাজ করলে নিজে ভালো থাকা যায় সে ধরনের কাজ করা উচিত। ধরুন বই পড়া ,টিভি দেখা, কিংবা কোথাও ঘুরতে যাওয়া ইত্যাদি।
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার উপায়
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের করণীয় হচ্ছে ভালো কাজ। আমাদের যতগুলো বদ অভ্যাস আছে সেগুলো পরিহার করতে হবে এবং ভালো কিছু করার মানসিকতা নিয়ে আসতে হবে নিজের মধ্যে। নিজেকে পরিবর্তন করতে হবে অর্থাৎ আপডেট করে নিতে হবে। নিজের মধ্যে কিছু লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে যেগুলো আপনার ভবিষ্যতে কাজে দিবে।
সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনাকে মিথ্যা বলা পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বজায় রেখে চলতে হবে। পরিমিত খাদ্য অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মানুষের সাথে কথা বলার প্রবণতা তৈরি করতে হবে। নিজের কিছু পরিকল্পনা অন্যের সাথে শেয়ার করতে হবে। নিয়মিত ঘুমাতে হবে এবং যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে। মানসিক চাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে।
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য নেশাদ্রব্য জিনিস পরিহার করতে হবে। যে সকল জিনিস খাওয়ার ফলে মন মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায় সে সকল জিনিস বর্জন করতে হবে। শরীর দুর্বল মনে হলে এবং মন মানসিকতা অচল মনে হলে ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার। প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। ফ্যাট জাতীয় বা ফাস্টফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
শারীরিক ও মানসিক সুস্থ থাকার আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শারীরিক ব্যায়াম বা শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন শরীর চর্চা করলে মন ভালো থাকে এবং শরীরও ভালো থাকে। শরীরের ওজন হ্রাস পায়। চলাফেরা করে অনেকটা শান্তি লাগে। আপনার উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক থাকলে কোন কাজে আপনার অলসতা আসবেনা। নিয়মিত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাটাহাটি করতে হবে বা খেলাধুলা অথবা সাইকেল চালাতে পারেন।
বসবাসর উপযোগী পরিবেশ
শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপায় হল বসবাস উপযোগী পরিবেশ। আপনাকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যে পরিবেশে বসবাস করছেন সেটা আপনার জন্য কতটা স্বাস্থ্যসম্মত। সুন্দর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ না হলে আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে না এবং মন মানসিকতা ও ঠিক থাকবে না।।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ঈমানের অঙ্গ এটা আমরা সবাই জানি। সেটা আমরা কতটুকু মেনে চলি সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত। যখন আপনার চারপাশের পরিবেশ এবং লোকজন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে সেগুলো দেখে আপনার মন মানসিকতা এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে। মানুষ যেহেতু বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতি বেশি আকৃষ্ট সেহেতু পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখায় আমাদের অবশ্য পালনীয়।
কাজের পাশাপাশি পরিমিত বিশ্রাম গ্রহণ
শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য আমাদের কাজ করার প্রয়োজন। তবে একটানা কাজ করা আমাদের শরীরের জন্য ভালো নয়। মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বিশ্রাম গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা অনেক। কাজের পাশাপাশি আপনারা যথেষ্ট পরিমাণ বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে তাহলে আপনার ব্রেন এবং মস্তিষ্ক দুটাই ভালো থাকবে।
কাজ করা শেষে যখন আপনি বিশ্রাম গ্রহণ করবেন অর্থাৎ কিছুক্ষণ ঘুমাবেন তখন আপনার ব্রেন ফ্রেশ থাকে এবং পরবর্তীতে কাজে মনোযোগ আসে। কিন্তু আপনি যদি একটানা কাজ করে যান তাহলে আপনার মন মানসিকতা এবং শরীর দুটোই খারাপ হয়ে যাবে। কোন কিছুতেই আপনি এনার্জি পাবেন না। তাই শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে আমাদের কাজ এবং বিশ্রাম দুটোই ব্যালেন্স করে চলা উচিত।
অনেক সময় আমরা বিভিন্ন মানসিক টেনশনে থাকি এই টেনশন কমানোর জন্য আমাদের ব্যস্ততার প্রয়োজন আর ব্যস্ততার জন্য আমাদের কাজের প্রয়োজন। কাজের মাধ্যমে আমরা সেই টেনশন গুলো ভুলে থাকি। তাছাড়া অনেক সময় অন্যের সাথে গল্প করে নিজের টেনশন গুলোকে কমানো যায়। শরীর ক্লান্ত থাকেলেও কিন্তু মন সুস্থ রাখাটা আমাদের অত্যন্ত জরুরী।
রুটিন অনুযায়ী জীবন যাপন করা
সঠিকভাবে জীবন যাপন করলে আমাদের মন এবং স্বাস্থ্য দুটাই ভালো রাখা যায়। তাহলে কিভাবে আমরা দুটোই ব্যালেন্স করে চলবো এরকম প্রশ্ন থেকেই যাই তাই না? আগামীকাল আমি কি করবো, কোন টার পর কোনটা কর, কিভাবে চলাফেরা কর, এসব নিয়ে পূর্বের দিনেই আমাদের একটা রুটিন বা ঠিক করে রাখতে হবে।
প্রয়োজনে আপনি একটা নোট খাতা তৈরি করে রাখতে পারেন আপনার দৈনন্দিন সকল করণীয় কাজকর্ম নিয়ে। যেমন আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে কি করবেন, কি খাবেন, কোথায় যাবেন, কি কাজ করবেন,কখন ঘুমাবেন, কখন গোসল করবেন, কখন কোথায় যাবেন, কি পোশাক পড়বেন, কখন ঘুমাবেন ইত্যাদি রুটিন তৈরি করে রাখতে হবে। এ সকল কিছু মেইনটেন করে চললে আপনার চলার পথ অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
মানুষ ভালো থাকতে খুব বেশি টাকা পয়সা, খাবার, বিলাসিতা প্রয়োজন পড়ে না। একটু ভালো থাকার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল, সৎকর্মশীল এবং পরিশ্রমী হতে হবে। এভাবে চললে আপনার শরীর এবং মন দুটোই সুস্থ থাকবে। যত শরীর ও মন একে অপরের পরিপূরক দুইটাই ভালো রাখার চেষ্টা আমাদের করা বাঞ্জনীয়।।
শেষ কথা-সুস্থ থাকার উপায় ও নিয়মাবলী সম্পর্কিত
শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জীবনের জন্য একটি অপরিহার্য অংশ। এ দুইটার মধ্যে কোন একটা খারাপ হলে অন্যটি অনুরূপভাবে খারাপ হয়ে যায়। তাই আমাদের দুটাই ভালো রাখার জন্য পরিমিত সুষম খাদ্য গ্রহণ, বিশ্রাম গ্রহ, পরিমিত ঘুম,সামাজিক যোগাযোগ ইত্যাদি মেইনটেইন করে চলতে হবে। সুস্থ জীবন যাপন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা আপনাদের কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন। আপনারা যদি চান ভালো একটা জীবন যাপন করবেন তাহলে অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেইনটেইন করে চলার চেষ্টা করবেন জীবনে চলার পথে অনেক সাফল্য অর্জন করবেন। পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই শেয়ার এবং কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
টেকিসময় ডট কম ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url