ডাব খাওয়ার উপকারিতা-পানির গুনাগুন সম্পর্কে

 ডাবে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম থাকায়  আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। ডাবের পানি খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ডাবের পানির উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না।

ডাব এমন একটা খাবার যা কমবেশি সবাই পছন্দ করে। ডাবের পানি কমবেশি ছোট বড় সকলেরই পছন্দ। ডাবের পানি পান করার ফলে সকলের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ বৃদ্ধি পায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক ডাবের পানির উপকারিতা কি কি? 

• স্যালাইন এর বিকল্প ডাবের পানির উপকারিতা
• ত্বকের যত্নে ডাবের পানি
• রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
•  ডাবের পানিতে যে সকল খনিজ থাকে
• কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও ডায়রিয়া দূর করতে
• ব্লাড প্রেসার কমাতে ডাবের পানি
• শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে 
• অন্যান্য সমস্যার সমাধানে ডাবের পানি
• লেখকের শেষ কথা

স্যালাইন এর বিকল্প ডাবের পানি উপকারিতা

প্রথমত আমরা বলতে পারি ডাবের পানি হচ্ছে প্রাকৃতিক স্যালাইন। আমরা যখন আমাদের কর্ম ক্ষেত্র থেকে অথবা স্কুল কলেজ থেকে বাসায় ফিরে আসি তখন আমরা স্যালাইন খেয়ে থাকি কিন্তু স্যালাইন না খেয়ে আমরা তখন ডাবের পানি পান করতে পারি। ডাবের পানিকে আমরা স্যালাইনের বিকল্প বলতে পারি।

ত্বকের যত্নে ডাবের পানি

আমাদের শরীরের সবচাইতে মূল্যবান জিনিস হচ্ছে ত্বক। ত্বক সুন্দর সতেজ রাখতে সবাই পছন্দ করে। মুখ জ্বালাপোড়া করলে ডাবের পানি দিয়ে আলতো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। মেস্তা, ব্রণ, মুখে ছোপ ছোপ কালো দাগ এসব কিছু ডাবের পানি দিয়ে নির্মূল করা যায় তবে কিছু ফর্মুলা ইউজ করতে হবে। যেমন আপনার ত্বকে পরিমাণ মতো লাগানোর জন্য ডাবের পানি, হলুদ গুঁড়া এবং মধু একসাথে মিশিয়ে মুখে মাখিয়ে রাখেন ২০ মিনিট, তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ডাবের পানি দিয়ে ত্বকের যত্ন করা যায়।

আরো পড়ুন ঃবাংলা ব্লগ লিখে ১১ ভাবে ইনকাম করা যায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে ডাবের পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন খাবারের সাথে যদি আমরা একগ্লাস করে ডাবের পানি পান করি তাহলে আমাদের দেহের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস গুলা নির্মূল করা যাবে। কারণ ডাবের পানিতে আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল পাওয়ার। 

ডাবের পানিতে যে সকল খনিজ থাকে

ডাবের পানিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, অ্যামিনো এসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদি। এসব গুনাগুন থাকার কারণে আমাদের হাড় মজবুত এবং খয় রোধ করে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর ও ডায়রিয়া দূর করতে

ডাবের পানিতে যেহেতু সুগারের পরিমাণ কম এবং পানির পরিমাণটাই বেশি সেহেতু আমাদের পাতলা পায়খানা ও বমি বমি ভাব হলে ডাবের পানি পান করা উচিত। একটা ডাবের পানিতে ৯৪% পানি থাকে। ডাবের পানিতে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ রাখে।

ব্লাড প্রেসার কমাতে ডাবের পানি

ডাবের পানিতে ভিটামিন সি এবং পটাশিয়াম থাকায় খুব দ্রুত ব্লাড প্রেসার কমায় অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণে রাখে। অতিরিক্ত ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর তাই জন্য ডাবের পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে

অতিরিক্ত গরমের ফলে আমাদের শরীর থেকে অনেক ঘাম বেরিয়ে যায় তাছাড়া যারা শরীর চর্চা করে তাদের শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায় এর ফলে আমাদের পানি সল্পতা দেখা দেয় এবং ডিহাইড্রেশনে ভুগতে থাকি তাই ডাবের পানি পান করার ফলে আমাদের ডিহাইড্রেশন কমতে থাকে। ডাবের পানি আমাদের শরীরকে শীতল রাখে।

অন্যান্য সমস্যার সমাধানে ডাবের পানি

ডাবের পানি এমন একটা ঔষধ যার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। তাছাড়া কিডনি সুস্থ রাখতে ডাবের পানি নিয়মিত পান করার প্রয়োজনিয়োতা অপরিসীম। মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখতে, শরীরের কে সতেজ রাখতে, মানসিক বৃদ্ধি ঘটাতে ডাবের পানির উপকারিতা প্রচুর। 

লেখকের শেষ কথা

এ পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। এরকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক পোস্ট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করে দেখতে পারেন আশা করি আমাদের ব্লক পোস্ট থেকে আপনি উপকৃত হবেন।